Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 9 বজরায় ডাকাতি
Complete solutions for the Chapter 9 of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
Text Book Solution
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
ক। রঙ্গরাজদের ছিপ কোথায় লুকিয়েছিল?
উত্তর: রঙ্গরাজদের ছিপ তেঁতুলগাছের ছায়ায় অন্ধকারে লুকিয়েছিল।
খ। দূরবিনে কী দেখেছিল?
উত্তর:দূরবিনে বজরা দেখেছিল।
গ। বজরার ছাদের উপর কারা ছিল?
উত্তর:বজরার ছাদের উপর আট জন হিন্দুস্থানি রক্ষক ছিল।
ঘ। ছিপ দেখে বজরা থেকে পাহারাদার কী বলেছিল?
উত্তর: ছিপ দেখে বজরা থেকে পাহারাদার বলেছিল যে ছিপ বজরার দিকে আসছে এবং সে দস্তুর মতো চিৎকার করে বলল, “ছিপ তফাত।”
ঙ। বন্দুকের ফাঁকা আওয়াজ শুনে রঙ্গরাজ কী বলেছিল?
উত্তর:বন্দুকের ফাঁকা আওয়াজ শুনে রঙ্গরাজ বলেছিল “কী পাঁড়ে ঠাকুর! একটা ছররাও নাই ? ধার দিব?”।
চ। প্রহরীর লাল পাগড়ি কীভাবে উড়ে গিয়েছিল?
উত্তর: রঙ্গরাজ প্রহরীর লাল পাগড়ির দিকে সজোরে তির ছাড়ায় তার পাগড়ি উড়ে গিয়েছিল।
ছ। ব্রজেশ্বর কোথায় যাচ্ছিলেন?
উত্তর:ব্রজেশ্বর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন।
জ। ডালরুটির বরাদ্দ বাড়িয়ে দেবার কথা কাদের উদ্দেশে বলা হয়েছিল?
উত্তর:ডালরুটির বরাদ্দ বাড়িয়ে দেবার কথা ব্রজেশ্বরের প্রহরীদের উদ্দেশে বলা হয়েছিল।
ঝ। রঙ্গরাজ ব্রজেশ্বরকে দ্বার খুলতে বলেছিল কেন?
উত্তর:রঙ্গরাজ ব্রজেশ্বরের সবকিছু লুটপাট করবে তাই রঙ্গরাজ ব্রজেশ্বরকে দ্বার খুলতে বলেছিল।
ঞ। দস্যু মূর্ছিত হয়েছিল কেন?
উত্তর: ব্রজেশ্বর হাতের বন্দুক দিয়ে মাথায় মারায় দস্যু মূর্ছিত হয়েছিল।
ট। বজরায় কী কী জিনিসপত্র ছিল?
উত্তর: বজরায় বিশেষ কিছু ছিল না, শুধু পরিধেয় বস্ত্রাদি, পূজার সামগ্রী এইসবই ছিল।
ঠ। জিনিসপত্র ছিপে তোলার পর ব্রজেশ্বর রঙ্গরাজকে কী বলেছিলেন?
উত্তর: জিনিসপত্র ছিপে তোলার পর ব্রজেশ্বর রঙ্গরাজকে বলেছিলেন- সব জিনিস তো নিয়েই নিয়েছ তবে আরো কেন দেড়ি করছ এখনি এখান থেকে চলে যাও।
ড। ব্রজেশ্বরকে রঙ্গরাজ কার কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল?
উত্তর:ব্রজেশ্বরকে রঙ্গরাজ দেবীচৌধুরানীর কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।
ঢ। ছিপটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত ছিল?
উত্তর:ছিপটির দৈর্ঘ্য ষাট হাত ও প্রস্থ ছিল তিন হাতের বেশি।
ণ। দু-জন হিন্দুস্থানী প্রহরী কী করছিল?
উত্তর: দু-জন হিন্দুস্থানী প্রহরী হাতিয়ার হাতে নিয়ে, মাথায় লাল পাগড়ি বেঁধে ছাদের উপর বসেছিল।
ত। বজরার মালিকের নাম কী ছিল?
উত্তর:বজরার মালিকের নাম কী ছিল ব্রজেশ্বর।
থ। বজরা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর:বজরা বলতে বোঝায় বিলাস বহুল বড়ো নৌকো।
দ। “দুজনেই তুল্য বলশালী”- দু-জন কে কে?
উত্তর:”দুজনেই তুল্য বলশালী”- দু-জন হল – রঙ্গরাজ ও ব্রজেশ্বর।
ধ। ছিপে কতজন মানুষ ছিল?
উত্তর:ছিপে পঞ্চাশজন মানুষ ছিল।
ন। ‘কারপরদাজ’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর:’কারপরদাজ’ শব্দটির অর্থ ভৃত্য।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। “আর একখানি নৌকা অন্ধকারে লুকাইয়া ছিল।”
– উদ্ধৃতাংশটি কার লেখা কোন্ রচনার অন্তর্গত?
– রঙ্গরাজের সংকেত শুনে দস্যুরা কী করেছিল?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি ‘বজরায় ডাকাতি’ রচনার অন্তর্গত। এর লেখক হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
– রঙ্গরাজের সংকেত শুনে ছিপে শুয়ে থাকা পঞ্চাশজন দস্যু একসঙ্গে উঠে বসল। বাঁশের চেলা তুলল সবাই, একগোছা সড়কি ও একখানা করে ছোটো ঢাল বের করল। অস্ত্র কেউ হাতে রাখল না; সবাই নিজে চেলার ওপর হাতিয়ার সাজিয়ে রাখল এবং একখানা ‘বোটে’ হাতে করে বসল।
খ। “কিন্তু আপনাকেও আমাদের সঙ্গে যাইতে হইবে।”
– কে কাকে একথা বলেছে?
– তাঁকে কোথায় কেন যেতে হবে?
উত্তর:-“কিন্তু আপনাকেও আমাদের সঙ্গে যাইতে হইবে।”- একথা রঙ্গরাজ, ব্রজেশ্বরকে বলেছে।
রঙ্গরাজ এবং তার দস্যুদল ব্রজেশ্বরের বজরা লুট করেছিল। কিন্তু লুট করে তেমন কিছু পায়নি কেবল পূজার সামগ্রী এবং পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া। তাই অবশেষে রঙ্গরাজ ঠিক করে যে, ব্রজেশ্বরকেও তাদের সাথে করে নিয়ে যাবে তাদের রানিকে দর্শন করাতে। যাতে তাকে আটক করে রেখে আরও কিছু পাওয়া যায়।
গ। “ভাবনা করিয়ো না কাল ডালরুটি বরাদ্দ বাড়াইয়া দিব।”
– কে কাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন? –
– কেন এমন কথা বললেন?
উত্তর:- ডালরুটি বাড়ানোর কথা ব্রজেশ্বর তার হিন্দুস্থানি প্রহরীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন।
ব্রজেশ্বর রাগে ক্ষোভে তাদেরকে এই কথা বলেছে। তাদের দায়িত্ব ছিল পাহারা দেওয়া । কিন্তু তারা তাদের কর্তব্য ঠিক মত করেনি। যার সুযোগ নিয়ে দস্যুদল তাদের বজরা লুট করতে এসেছে। তাই ব্রজেশ্বর একথা বলেছে।
ঘ। “তখন ছিপের লোক বজরার ভিতর প্রবেশ করিতে উদ্যত হইল।”
– তার আগে ছিপের লোক বজরায় উঠে কী করছিল?
উত্তর:-বজরার কাছাকাছি ছিপ আসতেই সেখান থেকে দশ- বারো জন লোক ছিপ থেকে হাতিয়ার নিয়ে বজরায় উঠে পরেছিল। যে ছয় জন হিন্দুস্থানি প্রহরী ঘুমিয়ে ছিল, তারা বন্দুকের আওয়াজে জেগে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু ঘুমের ঘোরে হাতিয়ার হাতে নিতে নিতেই তাদের সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। দ্রুত আক্রমণকারীরা তাদেরকে বেঁধে ফেলেছিল। যে দুজন প্রহরী জেগেছিল, তারা অল্পক্ষণের জন্য লড়াই করলেও আক্রমণকারীরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় তাড়াতাড়ি তাদেরকে পরাস্ত ও নিরস্ত্র করে বেঁধে ফেলেছিল। তারপর ছিপের লোক সহজেই বজরায় প্রবেশ করতে পারলো।
ঙ। ব্রজেশ্বরের বজরার কামরায় ডাকাতির ঘটনাটি বর্ণনা করো।
উত্তর:- ব্রজেশ্বর বজরায় করে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময়ে রঙ্গরাজ ও তার দস্যুদল মিলে ব্রজেশ্বরের বজরা আক্রমণ করে। বজরার দ্বার বন্ধ থাকায় রঙ্গরাজ ব্রজেশ্বরকে দ্বার খুলতে বলে কিন্তু ডাকাতের পরিচয় পেয়ে ব্রজেশ্বর দ্বার না খুলে তাদের হুমকি দেয় যে, কামরায় কেউ প্রবেশ করলে তার প্রাণ নিয়ে নিবে সে। তারপর বজরার পাশের দিকের কপাট ভেঙ্গে একজন ডাকাত কামড়ার ভিতরে প্রবেশ করে, এবং তাকে ব্রজেশ্বর বন্দুক দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সেই দস্যু তখন তখনি অজ্ঞান হয়ে যায় । এরকম সময়ে রঙ্গরাজ বাইরের কপাট লাথি মেরে ভেঙ্গে কামড়ার ভিতরে প্রবেশ করে। ব্রজেশ্বর আবার বন্দুক ঘুরিয়ে রঙ্গরাজকে মারতে গেলে তিনি তার বন্দুক হাত থেকে কেড়ে নেয়। তারপর ব্রজেশ্বর হাত দিয়ে ঘুষি মারতে গেলে সেটাও রঙ্গরাজ হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়। অবশেষে ব্রজেশ্বর তরবারি দিয়ে রঙ্গরাজকে কাটতে গেলে আর পাঁচজন দস্যু তার হাত থেকে তরবারি ছিনিয়ে নেয় এবং দুই হাত চেপে ধরে আর বলে তাকে বাধতে হবে নাকি। ব্রজেশ্বর তখন নিজেকে সমর্পণ করে এবং বজরার কামরায় সবকিছু লুট করতে দেয়।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। বাক্য রচনা করো:
১) হাতিয়ার- ডাকাত দলের প্রত্যেকের হাতে হাতিয়ার ছিল।
২) রক্ষক- ব্রজেশ্বরের রক্ষক বজরার ছাদের ওপরে বসেছিল।
৩) অভিভূত- রাম তার কথায় খুবই অভিভূত হয়ে উঠল।
৪) তফাত- ঝালের সাথে মিষ্টির তফাত অনেকটা।
৫) অধিক – সে বোনের থেকে ভাইকে অধিক বেশি ভালোবাসে।
৬) সামগ্রী – বিনয় বিদেশ থেকে অনেক দামি দামি সামগ্রী নিয়ে এসেছিল।
৭) আটক- চোরটি পুলিশের হেফাজতে আটক রয়েছে।
গ। পদ পরিবর্তন করো:
১) ত্যাগ – ত্যাগী
২) নিদ্রিত – নিদ্রা
৩) অধিক – অধিকতর
৪) নিশ্চয় –নিশ্চয়তা
৫) আক্রমণ –আক্রমণাত্মক
ঘ। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
১) নিদ্রিত – জাগ্রত
২) স্বীকার –অস্বীকার
৩) অধিক – স্বল্প
৪) প্রবেশ- প্রস্থান
৫) নিকট- দূর
ঙ। পদ নির্ণয় করো:
১) ব্রজেশ্বর –বিশেষ্য পদ
২) দেবীচৌধুরানি –বিশেষ্য পদ
৩) মধুর – বিশেষণ পদ
৪) পঞ্চাশ-বিশেষণ পদ
৫) ভিক্ষা- ক্রিয়া পদ
চ। লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
১) আরোহী – আরোহিণী
২) নদী- নদ
৩) শ্বশুর- শাশুড়ি
৪) ব্রাহ্মণ – ব্রাহ্মণী
৫) রানি – রাজা
ছ। শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১। মুহূর্ত/মুহূর্ত/মুহূর্ত
শুদ্ধ – মুহূর্ত
২। শ্বশুর/শশুর/শশুড়
শুদ্ধ -শ্বশুর
৩। মুষ্ঠিবদ্ধ/মুষ্টিবদ্ধ/মুস্টিবদ্ধ
শুদ্ধ -মুষ্টিবদ্ধ
Work Book Solution
শব্দার্থ লেখো:
গাদাগাদি- চাপাচাপি
চেলা- শিষ্য
বোটে- বড় নৌকা
অভিভূত-কাতর
বজরা- বিলাস বহুল বড় নৌকা
ক্ষিপ্র-দ্রুত
দ্বার- দরজা
কপাট- দরজার পাল্লা
গোল- বৃত্ত
ঈষৎ- অল্প
ভ্রম-ভুল
বরাদ্দ- হার
দোনালা- দুটি নল আছে এমন।
সমুদয়-উত্থান
উত্থিত-উদ্যত
কয়েদ-বন্দী
অভিপ্রায়ে-মতলব
ঢাল- অস্ত্রের আঘাত প্রতিরোধ করার জন্য এক প্রকার যন্ত্র।
মধুর- মনোহর
তফাৎ- ব্যবধান
নিমেষ- অল্প সময়
উদ্যত- উৎসুক
তরফ- দিক
লক্ষ-শত সহস্র
আপত্তি- অসম্মতি
মুহূর্ত- অতি অল্প সময়
দ্রব্য- জিনিস
ধার- দেনা
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
ক) ‘বজরায় ডাকাতি’ গদ্যাংশটির লেখকের নাম কি?
উত্তর: ‘বজরায় ডাকাতি’ গদ্যাংশটির লেখকের নাম সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
খ) ‘বজরায় ডাকাতি’ গদ্যাংশটি লেখকের কোন্ উপন্যাসের অন্তর্গত?
উত্তর:’বজরায় ডাকাতি’ গদ্যাংশটি লেখকের ‘দেবী চৌধুরাণী’ উপন্যাসের অন্তর্গত।
গ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন।
ঘ) রঙ্গরাজ কে?
উত্তর:রঙ্গরাজ হল একজন ডাকাত।
ঙ) কার সংকেত শোনামাত্র ছিপের পঞ্চাশজন মানুষ উঠে বসল?
উত্তর:রঙ্গরাজের সংকেত শোনামাত্র ছিপের পঞ্চাশজন মানুষ উঠে বসল।
চ) আটজন প্রহরী কার বজরায় ছিল?
উত্তর:আটজন প্রহরী ব্রজেশ্বরের বজরায় ছিল।
ছ) বজরার ছাদে আটজন কি প্রহরী ছিল?
উত্তর:বজরার ছাদে আটজন হিন্দুস্থানি প্রহরী ছিল।
জ) ছিপ দেখে পাহারাদার হেঁকে কী বলেছিল?
উত্তর:ছিপ দেখে পাহারাদার হেঁকে বলেছিল “ছিপ তফাত।”
ঝ) রঙ্গরাজ পাহারাদারকে কি বলেছিল?
উত্তর:রঙ্গরাজ পাহারাদারকে বলেছিল “তোর দরকার হয়, তুই তফাত যা।”
ঞ) ‘বজরায় ডাকাতি’ গদ্যাংশে উল্লিখিত ‘যুবতী’ কে?
উত্তর:’বজরায় ডাকাতি’ গদ্যাংশে উল্লিখিত ‘যুবতী’ হল
ট) ‘ছিপকে বড় বেশি উজাইতে হইল না।’-কারণ কী?
উত্তর:’ছিপকে বড় বেশি উজাইতে হইল না।’-কারণ বজরা দ্রুত ছিপের খুব কাছে চলে এসেছিল।
ঠ) ব্রজেশ্বর কে?
উত্তর: ব্রজেশ্বর একজন ব্রাহ্মণ।
ড) “একটা ছররাও নাই? ‘ধার দিব?” কে, কাকে একথা বলেছিল?
উত্তর:”একটা ছররাও নাই? ‘ধার দিব?” – এখানে রঙ্গরাজ,বজরার ছাদের ওপরে বসে থাকা লাল পাগড়ি মাথায় দেওয়া এক প্রহরীকে একথা বলেছিল।
ঢ) “তোমায় এবার মারিব না।”- কে, কাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছে?
উত্তর:”তোমায় এবার মারিব না।”রঙ্গরাজ,বজরার ছাদের ওপরে বসে থাকা লাল পাগড়ি মাথায় দেওয়া এক প্রহরীকে একথা বলেছিল
ণ) ‘প্রহরী কখন ‘রাম রাম’ শব্দ করেছিল?
উত্তর: রঙ্গরাজ যখন প্রহরীর মাথার লাল পাগড়ি তির মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল তখন প্রহরী ‘রাম রাম’ শব্দ করেছিল।
থ) “মহাশয়! দ্বার খুলুন।”-এখানে কাকে ‘মহাশয়’ বলা হয়েছে?
উত্তর:এখানে ব্রজেশ্বরকে ‘মহাশয়’ বলা হয়েছে।
দ) ‘সদ্যোনিদ্রোত্থিত’ কথাটির অর্থ কি?
উত্তর:’সদ্যোনিদ্রোত্থিত’ কথাটির অর্থ কি সবে ঘুম থেকে জাগনা পাওয়া।
ন) “আপনাকে আটক করিলে যদি কিছু পাওয়া যায়।”-উক্তিটি কার?
উত্তর:”আপনাকে আটক করিলে যদি কিছু পাওয়া যায়।”-উক্তিটি রঙ্গরাজের।
২। রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর:
ক। “আমাকে কি হিন্দুস্থানি ভেড়িওয়ালা পাইলে?”
অ) আলোচ্য অংশটি কোন্ গদ্যাংশের এবং লেখক কে?
আ) বক্তা ‘ভেড়িওয়ালা’ শব্দটির দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: অ) আলোচ্য অংশটি ‘বজরায় ডাকাতি’ গদ্যাংশের এবং লেখকের নাম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
আ) বস্তা, ভেড়িওয়ালা’ শব্দটি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, সে কোন ভেড়ার মতো নিরীহ জীব মাত্র নয়, এমনকি, মেয়ে ভেড়াও নয়। কারণ ভেড়ার থেকে ভেড়ি আরো অনেক নিরীহ এবং যে, সেও খুবই নিরীহ। কিন্তু ব্রজেশ্বর অত্যন্ত সাহসী পুরুষ। বিনা লড়াইতে ডাকাতদের হাতে আত্মসমর্পন করা তিনি ভাবতেই পারেননা। ব্রজেশ্বর আর পাচজন নিরীহ প্রাণীর মত না ব্রজেশ্বর নিজে যে অন্যান্যদের তুলনায় আলাদা, সে কথা বোঝাতেই যেন উপরিউক্ত কথাটি বলেছিল।
খ) “রঙ্গরাজ বুঝিল, ফাঁকা আওয়াজ”
অ) কে বা কারা, কেন ফাঁকা আওয়াজ করেছিল?
আ) কোন্ পরিস্থিতিতে তাঁরা একাজ করে এবং রঙ্গরাজ তার উত্তরে কী বলেছিল?
উত্তর:অ) ব্রজেশ্বরের একজন প্রহরী বজরার দিকে একটা ছিপ আসতে দেখে তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য একটা ফাঁকা আওয়াজ করেছিল।
ব্রজেশ্বর যে বজরায় করে আসছিল তার ছাদের ওপরে আটজন হিন্দুস্থানি প্রহরী ছিল। তার মধ্যে থেকে ছয়জন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল আর দুজন পাহারায় ছিল। তাদের মধ্যে একজন দেখল একটা ছিপ বজরার দিকে আসছে। সেই দেখে সে জোরে চিৎকার করল ছিপকে দূরে থাকতে। সেই ছিপে থাকা রঙ্গরাজ তখন উত্তর দিল তাকে দূরে থাকতে। তারপর সেই প্রহরী গণ্ডগোলের পূর্বাভাস বুঝতে পারে। তাই সে ছিপের লোকজনকে ভয় দেখানোর জন্য বন্দুকে একটা ফাঁকা আওয়াজ করে । কিন্তু রঙ্গরাজ বুঝতে পেরে যায় যে সেটি একটি ফাঁকা আওয়াজ। তখন রঙ্গরাজ হেসে বলে বন্দুকে কি গুলি নেই নাকি? তাকে কি গুলি ধার দিতে হবে।
গ) “মিছামিছি ব্রহ্ম হত্যায় কাজ কী?”
অ) কে, কাকে একথা বলেছে?
আ) বক্তা কেন ‘মিছামিছি’ শব্দটি ব্যবহার করেছে?
উত্তর:অ)“মিছামিছি ব্রহ্ম হত্যায় কাজ কী?”- রঙ্গরাজ, ব্রজেশ্বরকে বলেছে।
আ) রঙ্গরাজ চেয়েছিল যে, ব্রজেশ্বরকে বজরা তার দস্যুরা মিলে আক্রমণ করলে সে ভয় পেয়ে সবকিছু অনায়াসেই দিয়ে দিবে। কিন্তু তার ঠিক উল্টোটা হয়েছিল। রঙ্গরাজ ও তার দস্যুদল মিলে ব্রজেশ্বরের বজরায় আক্রমণ করলেও সে তার বীরতার সাহস দেখায় এবং বলে বজরায় কামরায় যে প্রবেশ করবে তারই প্রাণ নিবে সে। এমনকি ব্রজেশ্বর আরও বলে যে সে কোনো হিন্দুস্থানি ভেরিওয়ালা না এবং তার হাতে দোনলা বন্দুক আছে। তখন রঙ্গরাজ বলে তারা দুজনেই ব্রাহ্মণ বেকার একতরফা ব্রহ্মহত্যা করে লাভ নেই। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই রঙ্গরাজ মিছামিছি শব্দটি ব্যবহার করেছে।
ঘ) ‘ডাকাইতের রাজরানি তো কখন শুনি নাই’-ব্যাখ্যা লেখো।
উত্তর:’ডাকাইতের রাজরানি তো কখন শুনি নাই’- এই উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বজরায় ডাকাতি’ গল্পের অংশ। এই উক্তিটি করেছেন ব্রজেশ্বর। রঙ্গরাজ এবং তার দস্যুদলের কাছে তিনি পরাজয় স্বীকার করে এবং রঙ্গরাজকে বলে তারা কি চায় সব দিতে রাজি ব্রজেশ্বর। তার উত্তরে রঙ্গরাজ বজরার সবকিছু নেওয়ার দাবি জানায়। দস্যুদলেরা বজরায় তেমন কিছু না পাওয়ায় রঙ্গরাজ ব্রজেশ্বরকে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। ব্রজেশ্বর জানতে চায় তাকে তারা কোথায় নিয়ে যাবে । সেই উত্তরে রঙ্গরাজ বলে যে তাদের রানির কাছে। সেই কথা শুনে ব্রজেশ্বর তাদের রানির ব্যাপারে জানতে চায়। ডাকাতের রাজরানির কথা আগে কখনো শোনেননি তিনি। তার সবকিছু নিয়ে নেওয়ার পরেও তারা ব্রজেশ্বরকে দেবী চৌধুরানীর কাছে নিয়ে যেতে চায় একটাই কারণ যে তাকে তারা কয়েদ করে রেখে তার কাছ থেকে কিছু আদায় করবে।
ঙ) “আপনাকে আটক করিলে যদি কিছু পাওয়া যায়”
অ) কে, কাকে একথা বলেছে?
আ) তাদের আসল উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর:অ)”আপনাকে আটক করিলে যদি কিছু পাওয়া যায়”- একথা রঙ্গরাজ, ব্রজেশ্বরকে বলেছে।
প্রথমদিকে রঙ্গরাজ এবং তার দস্যুদলের উদ্দেশ্য ছিল ব্রজেশ্বরের বজরা থেকে সব লুটপাট করা। বজরা থেকে সব আদায় করার পর দেখতে পারলো যে সেখানে তেমন কিছুই ছিল না কেবল পরিধেয় বস্ত্রাদি, পূজার সামগ্রী এইসব ছাড়া। তাই তারা ঠিক করল যে ব্রজেশ্বরকে তাদের সাথে নিয়ে যাবে রানির কাছে। তাদের রানিকে দর্শন করাতে। যাতে তাকে কয়েদ করে রেখে আরও কিছু তার কাছ থেকে আদায় করা যায়।
চ) “আমি পরাজয় স্বীকার করিলাম”
অ) কে, কার কাছে পরাজয় স্বীকার করল?
আ) বক্তা কেন পরাজয় স্বীকার করেছিল?
উত্তর:অ)”আমি পরাজয় স্বীকার করিলাম”- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বজরায় ডাকাতি’ থেকে এই উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। এখানে ব্রজেশ্বর, রঙ্গরাজ এবং তার দস্যু দলের কাছে পরাজয় স্বীকার করল।
আ) ব্রজেশ্বর বজরায় করে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে রঙ্গরাজ ও তার দস্যুদল তাকে আক্রমণ করেছিল। রঙ্গরাজ বজরার ভেতরের সব কিছু লুট করার জন্য প্রথমে ব্রজেশ্বরকে দ্বার খুলতে বলেছিলেন। কিন্তু রঙ্গরাজের মত ব্রজেশ্বরও বলশালী ছিলেন। তিনি এত সহজে বশ্যতাস্বীকার করতে রাজি ছিলেন না। তাই তিনি বললেন কামরায় যে প্রথম প্রবেশ করবে তার প্রাণ নিবেন তিনি। তারপর কয়জন বজরার পেছনের কপাট ভেঙ্গে বজরার ভেতরে প্রবেশ করে আর রঙ্গরাজ সামনের কপাট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করা মাত্রই ব্রজেশ্বর তার দোলনা বন্দুক দিয়ে রঙ্গরাজকে লক্ষ্য করছিলেন, এমন সময়ে রঙ্গরাজ তার হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রবল লড়াই শুরু হয়। ব্রজেশ্বর তখন দৃঢ়ভাবে মুষ্টিবদ্ধ করে শক্তির সঙ্গে রঙ্গরাজের মাথায় ঘুষি তুলে এবং সেটি রঙ্গরাজ হাত দিয়ে আটকে দেয়। এরপরে ব্রজেশ্বর আরও রেগে গিয়ে তরবারি ওঠায় রঙ্গরাজকে কাটার জন্য। সেই সময় চার পাঁচ জন দস্যু তার হাত থেকে তরবারি কেড়ে নেয়। দুজন হাত চেপে ধরে আর একজন দড়ি নিয়ে ব্রজেশ্বরকে বাঁধবে কিনা জিজ্ঞাসা করে। সেই উত্তরে ব্রজেশ্বর বলে বাঁধার প্রয়োজন নেই, সে নিজের থেকেই পরাজয় স্বীকার করে। আর কোনো উপায় না থাকায় সে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
ছ) “আমাকে রানি দর্শনে যাইতে হইবে কেন?”
অ) ‘রানি’ কে?
আ) তিনি রানি দর্শনে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন কেন?
উত্তর:অ) “আমাকে রানি দর্শনে যাইতে হইবে কেন?”- এখানে রানি হল দেবী চৌধুরানী।
আ) এখানে তিনি হলেন ব্রজেশ্বর। তিনি রাতে বজরায় করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে রঙ্গরাজের দস্যুদল তাকে আটক করে এবং বজরার যাবতীয় জিনিসপত্র লুট করে। তেমন কিছু বজরার থেকে না পাওয়ায় ব্রজেশ্বরকে তাদের রানির কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু ব্রজেশ্বর সেই প্রস্তাবে রাজি হয় না। তিনি বলেন তার সব কিছুতো দস্যুদল নিয়েই নিয়েছে এখন তাকে কিসের জন্য নিয়ে যাবে। বিপদ আছে জেনেও স্বেচ্ছায় তো কেউ বিপদের মুখে যেতে চায় না। তারা ছিল ডাকাত দলের লোক সেটি ব্রজেশ্বর জানার পরেও তাদের সাথে কিভাবে নিজের ইচ্ছায় যেত। তার মনে ভয় ছিল তাকে রানির কাছে নিয়ে আরও বেশি হেনস্থা করবে তারা। তাই ব্রজেশ্বর রানি দর্শনে অনীহা প্রকাশ করেছিল।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক) বাক্য রচনা করো:
হাত- স্কুলের ভালো কাজটিতে রামের হাত ছিল।
মাথা: মাথা লাগিয়ে কোনো কাজ করা উচিত।
বন্দুক:তার বন্দুকে গুলি ভরা ছিল না।
আদায়:রাম মোহিতের কাছ থেকে টাকাগুলো আদায় করে নিল।
রঙ্গরাজ: দেবীচৌধুরানীর গল্পে রঙ্গরাজ এক চরিত্র ছিল।
ছিপ:ছিপ দেখতে বড়ো ছোটো সব আকৃতির হয়।
গ) পদ পরিবর্তন করো:
অভিপ্রায়- অভিপ্রেত
দর্শন-দার্শনিক
পরাজয়- পরাজিত
দুঃখিত-দুঃখী
সাহস-সাহসী
দক্ষিণ-দাক্ষিণাত্য
লক্ষ্য-লক্ষ্যনীয়
স্তব্ধ-স্তব্ধতা
আরম্ভ-আরম্ভিক
পাপ-পাপী
ঘুম-ঘুমন্ত
নিকট-নিকটবর্তী
সময়-সাময়িক
দরকার-দরকারি
নিঃশব্দ- নিঃশাব্দিক
পরিধেয়-পরিধান
বস্ত্রাদি- বস্ত্র
লোক- লৌকিক
মধুর-মাধুর্য
প্রবেশ-প্রবেশিকা
দিন-দৈনিক
দল-দলীয়
অধিক-আধিক্য
ভয়-ভীতু
ঘ) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
লক্ষ্য- অলক্ষ্য
স্বীকার- অস্বীকার
নিদ্রিত- জাগ্রত
মধুর- তিক্ত
দুঃখিত- আনন্দিত
পথ- বিপথ
ত্যাগ- ভোগ
দক্ষিণ-উত্তর
ঈষৎ- অধিক
উদ্যত- বিরত
অনেক- অল্প
ভাল-খারাপ
বীরপুরুষ- কাপুরুষ
আগে- পরে
বেশি- কম
প্রাণ- শব
দল-নির্দল
প্রবেশ- প্রস্থান
নিকট- দূর
ক্ষিপ্র- মন্থর
উত্থিত-পতন
বন্ধ- খোলা
নিরস্ত্র-সশস্ত্র
পাপ-পুণ্য
পরাজয়-জয়
ছায়া- রোদ
বাহির-ভিতর
দৃঢ়-শিথিল
যাইব-আসবো
বিপদ-বিপদহীন
দিন-রাত
আরম্ভ-শেষ
নিশ্চয়-অনিশ্চয়
অধিক-কম
ঘুম- নির্ঘুম
লম্বা-খাটো
ভয়-নির্ভয়
গোটা-অর্ধেক
পরাস্ত-জয়ী
হাসিয়া-কাঁদিয়া
নিঃশব্দ-শব্দ
আদায়- অনাদায়
ফাঁকা- ভরা
অন্ধকার- আলো
ছোট-বড়ো
চওড়া- সংকীর্ণ
উপর- নীচ
উঠাইল-নামাইল
রক্ষক-ভক্ষক
ত্যাগ- ভোগ
চ) লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
ঠাকুর – ঠাকুরানি
মূর্ছিত-মূর্ছিতা
যুবতী- যুবক
দেবী- দেব
শ্বশুর- শাশুড়ি
ছ) শুদ্ধরূপটি লেখো:
অবিভূত / অভিবৃত / অভিভূত
উত্তর- অভিভূত
খিপ্র / ক্ষিপ্র / ক্ষীপ্র
উত্তর- ক্ষিপ্র
মুস্টি / মুষ্টি / মুষ্টি
উত্তর- মুষ্টি
বজরা / বজড়া / বজঢ়া
উত্তর- বজরা
বজ্রেশ্বর / ব্রজেশ্বর / ব্রযেশ্বর
উত্তর- ব্রজেশ্বর
খরস্রোত / খরস্রোত / খরস্রোত
উত্তর- খরস্রোত
জ) সমার্থক শব্দ লেখো:
ঘুসি – কিল, মুষ্ঠাঘাত।
বল- শক্তি
ডাকাইত- ডাকাত, চোর
লক্ষ্য-তাক
কারপরদাজ- ভৃত্য
প্রহরী- পাহারাওয়ালা
রাত্রি- নিশি
নৌকা- তরী
হাত- হস্ত
গাছ- বৃক্ষ
ঞ) এক কথায় প্রকাশ করো:
১। দুটি নল আছে যার – দোনালা
২। রক্ষা করে যে- রক্ষক
৩। যে যন্ত্র দূরকে নিকট দেখায় –দূরবীন
ট) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। এই কথা না ফুরাইতে শব্দ হইল। (ফুরাইতে/মডুমডু)
উত্তর: এই কথা ফুরাইতে না ফুরাইতে মড়মড় শব্দ হইল।
২। ………পাশের দিকের একখানা কপাট ভাঙ্গিয়া। (বজরার/নৌকার)
উত্তর: বজরার পাশের দিকের একখানা কপাট ভাঙ্গিয়া।
৩। একজন ………… কামরার ভিতর প্রবেশ করিল দেখিয়া,…………হাতের বন্দুক ফিরাইয়া তাহার মাথায় মারিল। (ডাকাইত/ব্রজেশ্বর)
উত্তর: একজন ডাকাইত কামরার ভিতর প্রবেশ করিল দেখিয়া,ব্রজেশ্বর হাতের বন্দুক ফিরাইয়া তাহার মাথায় মারিল।
৪। সেই বজরার ছাদের উপরে…………. হিন্দুস্থান………… ছিল। (আটজন/রক্ষক)
উত্তর: সেই বজরার ছাদের উপরে আটজন হিন্দুস্থানী রক্ষক ছিল।
৫। ……………… দ্বার বন্ধ। (বজরার/কামরার)।
উত্তর:বজরার দ্বার বন্ধ।
৬। তাহাতে প্রায় ……………… জন মানুষ গাদাগাদি হইয়া শুইয়াছিল। (পঞ্চাশজন/ষাটজন)
উত্তর: তাহাতে প্রায় পঞ্চাশজন মানুষ গাদাগাদি হইয়া শুইয়াছিল।
৭। ……………… সংকেত শুনিবা মাত্র সেই …… একেবারে উঠিয়া বসিল। (রঙ্গরাজের/পঞ্চাশজন)
উত্তর:রঙ্গরাজের সংকেত শুনিবা মাত্র সেই পঞ্চাশজন একেবারে উঠিয়া বসিল।
ঠ) সঠিক উত্তরে (খ) চিহ্ন দাও:
১। ব্রজেশ্বরের বজরার ছাদে রক্ষক ছিল মোট (ছয়/সাত / আট) জন।
উত্তর:ব্রজেশ্বরের বজরার ছাদে রক্ষক ছিল মোট আট জন।
২। ব্রজেশ্বর হল দেবী চৌধুরাণীর (বন্ধু/স্বামী/ ভাই)।
উত্তর: ব্রজেশ্বর হল দেবী চৌধুরাণীর বন্ধু।
৩। ছিপে মোট (কুড়ি/ ত্রিশ/ পঞ্চাশ) জন ডাকাত ছিল।
উত্তর:ছিপে মোট পঞ্চাশ জন ডাকাত ছিল।
৪। দেবীর অন্যতম অনুচর ছিল (রঙ্গরাজ / ভৃঙ্গরাজ / মেঘরাজ)।
উত্তর:দেবীর অন্যতম অনুচর ছিল রঙ্গরাজ।
৫। ‘বজরায় ডাকাতি’ শীর্ষক রচনাটি (সীতারাম / দেবী চৌধুরাণী / আনন্দমঠ) থেকে গৃহীত।
উত্তর:’বজরায় ডাকাতি’ শীর্ষক রচনাটি দেবী চৌধুরাণী থেকে গৃহীত।
ড) সাধু ভাষা থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর করো:
১। এই কথা ফুরাইতে না ফুরাইতে মড়মড় শব্দ হইল।
উত্তর: একথা শেষ হতে না হতে মড়মড় শব্দ হলো।
২। বজরার পাশের দিকের একখানা কপাট ভাঙ্গিয়া একজন ডাকাইত কামরার ভিতর প্রবেশ করিল।
উত্তর: বজরার পাশের দিকের একটি দরজার পাল্লা ভেঙ্গে একজন ডাকাত কামরার ভিতর প্রবেশ করল।
৩। ব্রজেশ্বর একথা বলিবার পূর্ব্বেই দস্যুরা জিনিসপত্র বজরা হইতে ছিপে তুলিতে আরম্ভ করিয়াছিল।
উত্তর: ব্রজেশ্বর একথা বলবার আগেই দস্যুরা জিনিসপত্র বজরা থেকে ছিপে তুলতে শুরু করেছিল।
৪। এই সময়ে রঙ্গরাজ বাহিরের কপাটে জোরে দুইবার পদাঘাত করিল।
উত্তর:এসময়ে রঙ্গরাজ বাইরের দরজার পাল্লায় জোরে দুবার পা দিয়ে আঘাত করল।
৫। তাহাতে প্রায় পঞ্চাশজন মানুষ গাদাগাদি হইয়া শুইয়া ছিল।
উত্তর:তাতে প্রায় পঞ্চাশজন মানুষ একত্র হয়ে শুয়ে ছিল।
৬। আটজনের মধ্যে দুইজন হাতিয়ার বন্ধ হইয়া, মাথায় লাল পাগড়ি বাঁধিয়া ছাদের উপর বসিয়া ছিল।
উত্তর: আটজনের মধ্যে দুজন হাতিয়ার নিয়ে, মাথায় লাল পাগড়ি বেঁধে ছাদের ওপর বসে ছিল।
৭। এই বলিয়া রঙ্গরাজ সেই প্রহরীর মাথা লক্ষ্য করিয়া বন্দুক উঠাইল।
উত্তর:এই বলে রঙ্গরাজ সেই প্রহরীর মাথা লক্ষ্য করে বন্দুক তুলল।
৮। তিনি শ্বশুড় বাড়ি হইতে বাড়ি যাইতেছিল।
উত্তর: তিনি শশুর বাড়ি থেকে বাড়ি যাচ্ছিল।
৪। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে সাথে দেওয়া প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
নদীর বুকের দিকে ব্রজেশ্বরের বজরা এগিয়ে চলেছে। রঙ্গরাজের সংকেত পাওয়ার পরেই ছিপের পঞ্চাশজন ডাকাত উঠে বসল। পূর্বে তারা নিজেদের অদৃশ্য রাখবার জন্য ছিপে শুয়েছিল। তাদের অস্ত্রগুলো নৌকার চেলাকাঠের উপর রেখে দিয়ে দাঁড় টানতে লাগল। ছিপটি নদীর বুকে ভাসমান বজরার দিকে এগিয়ে চলল।
ক) নদীর বুকের দিকে ……… বজরা এগিয়ে চলেছে। (তারকেশ্বরের / ব্রজেশ্বরের)
উত্তর:নদীর বুকের দিকে ব্রজেশ্বরের বজরা এগিয়ে চলেছে। (তারকেশ্বরের / ব্রজেশ্বরের)
খ) ………… সংকেত পাওয়ার পরে ছিপের ডাকাতরা উঠে বসল। (রসরাজে / রঙ্গরাজের)
উত্তর: রঙ্গরাজের সংকেত পাওয়ার পরে ছিপের ডাকাতরা উঠে বসল।
গ) পূর্বে তারা নিজেদের অদৃশ্য রাখবার জন্য ……… শুয়েছিল। (ছিপে / পুকুর পাড়ে)
উত্তর: পূর্বে তারা নিজেদের অদৃশ্য রাখবার জন্য ছিপে শুয়েছিল।
ঘ) অস্ত্রগুলো ……… চেলাকাঠের উপর রেখে দাঁড় টানতে লাগল। (জাহাজের / নৌকার)
উত্তর:অস্ত্রগুলো নৌকার চেলাকাঠের উপর রেখে দাঁড় টানতে লাগল।
ঙ) ছিপটি ………… ভাসমান বজরার দিকে এগিয়ে চলল। (নদীর বুকে / সাগরের বুকে)
উত্তর: ছিপটি নদীর বুকে ভাসমান বজরার দিকে এগিয়ে চলল।
৫। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে সাথে দেওয়া প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
বাংলা উপন্যাস জগতের প্রথম সার্থক শিল্পী ও জনক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি সাহিত্য সাধনা করেন। তিনি ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি ‘দুর্গেশবন্দিনী’, ‘কপালকুন্ডলা’, ‘মৃণালিনী’, ‘চন্দ্রশেখর’, ‘রাজসিংহ’, ‘আনন্দমঠ’, ‘দেবী চৌধুরাণী’, ‘বিষবৃক্ষ’, ‘কৃন্তকান্ডের উইল’ প্রভৃতি। তিনি বাংলা সাহিত্যে সাহিত্য সম্রাট নামে পরিচিত। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যু হয়।
ক। কত সালে, কোথায় বঙ্কিমচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন।
খ। বঙ্কিমচন্দ্রের পিতার নাম লেখো?
উত্তর:বঙ্কিমচন্দ্রের পিতার নাম যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
গ। বঙ্কিমচন্দ্র কোন্ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
ঘ। বঙ্কিমচন্দ্রের দুটি উপন্যাসের নাম লেখো?
উত্তর:বঙ্কিমচন্দ্রের দুটি উপন্যাসের নাম ‘কপালকুন্ডলা’ও ‘মৃণালিনী’।
ঙ। বাংলা সাহিত্যে সাহিত্য সম্রাট নামে কে পরিচিত?
উত্তর:বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা সাহিত্যে সাহিত্য সম্রাট নামে পরিচিত।
Chapter 15: পরিবেশ দূষণ ও পরিণাম