Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 8 পথের গল্প
Complete solutions for the Chapter 8 পথের গল্প of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
Text Book Solution
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
ক। ‘পথের গল্প’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: ‘পথের গল্প’ কবিতাটি কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা।
খ। হাট বাজারে কী ছুটছে?
উত্তর: হাট বাজারে মানুষজন, ট্যাক্সি – মোটর সব ধরণেরই গাড়ি ছুটছে।
গ। একের পিঠে তিন চলা মানুষদের মাথায় কী নেই?
উত্তর: একের পিঠে তিন চলা মানুষের মাথায় হেলমেট নেই।
ঘ। চালকেরা বেপোরোয়া দেখে কার রাগ হল?
উত্তর: চালকেরা বেপোরোয়া পথে চলা এক দাদুর রাগ হল।
ঙ । একটা গাড়ি কী কারণে ধাক্কা খেল?
উত্তর: একটা গাড়ি নিয়ম ভাঙার কারণে ধাক্কা খেল।
চ। ‘পথের গল্প’ কবিতায় বর্ণিত মোটর দুর্ঘটনায় কতজন মানুষ সারাজীবন পঙ্গু হয়ে রইল?
উত্তর:’পথের গল্প’ কবিতায় বর্ণিত মোটর দুর্ঘটনায় চারজন মানুষ সারাজীবন পঙ্গু হয়ে রইল।
ছ। কবি গাড়ি-চালকদের কেমন করে গাড়ি চালাতে বললেন?
উত্তর: কবি গাড়ি – চালকদের মন শান্ত করে গাড়ি চালাতে বললেন।
জ। “এদিক ওদিক দু-দিক দেখে রাস্তা হবি পার।”-কথাটি কার?
উত্তর: কথাটি একজন পথচারী স্যারের।
ঝ। পথ নীরবে তার বুকে কী জমিয়ে রাখে?
উত্তর: পথ নীরবে তার বুকে দুঃখ ব্যাথা জমিয়ে রাখে।
ঞ। আমরা যদি সচেতন হই তাহলে কীভাবে থাকতে পারব?
উত্তর: আমরা যদি সচেতন হই তাহলে পরম সুখে থাকতে পারবো।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। “কোথায় কেমন চলবে গাড়ি নিয়ম সে তো আছে।”
– কার কোন্ কবিতা থেকে পঙ্ক্তিটি নেওয়া হয়েছে?
উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য কী?
উত্তর:- কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা ‘পথের গল্প’ নামক কবিতা থেকে পঙ্ক্তিটি নেওয়া হয়েছে।
– কথাটির তাৎপর্য এই যে, সকল দেশেই যানবাহন চলার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মানুষের পথচলা নিরাপদ করার লক্ষ্য নিয়ে জারি করা এই নিয়মকানুন কিছু সংখ্যক চালক ও আরোহী মানতে চান না। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। তাই সকলকে নিয়ম মেনে চলতে হবে ।
খ। “তাইতো বলি চালাও গাড়ি শান্ত করে মন।”
উক্তিটি কার, কোন কবিতার অংশ?
– কাদের উদ্দেশ্যে কেন এই উক্তি?
উত্তর:- উক্তিটি কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা ‘পথের গল্প’ কবিতার অংশ ।
এই কবিতায় কবি পথে চলাচলকারী মানুষদের উদ্দেশ্যে এই উক্তিটি ব্যাক্ত করেছে। অনেক গাড়ি চালক রাস্তায় চলাকালীন নিয়মনীতি মানে না। এক জনের পেছনে দুই- তিন জন বসে গাড়ি চলাচল করে তাও আবার হেলমেট ছাড়াই। গাড়ির গতিবেগ এতোটাই দ্রুত যে পথে চলতি মানুষদের খুব অসুবিধায় পরতে হয়। এর ফলে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে এমনকি মানুষ মারা পর্যন্ত যায়। তাই কবি সব গাড়ি চালকদের উদ্দেশ্য মন শান্ত করে মনোযোগ সহকারে গাড়ি চালাতে বলেছেন।
গ। ‘পথ যে নীরব, দুঃখ ব্যথা জমিয়ে রাখে বুকে।’ পঙ্ক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:-উক্তিটি কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা ‘পথের গল্প’ কবিতার অংশ ।
এই কবিতায় একজন স্কুলের শিক্ষক পথে যেতে যেতে তার ছাত্রকে বলছিলেন রাস্তার দুদিক ভালো করে লক্ষ করে তারপর পাড় হতে। এদিক ওদিক লক্ষ না করলে যেকোনো সময়ে অঘটন ঘটে যেতে পারে। কারন পথ বাক্যহীন ভাবে থাকে। তারও অনেক কষ্ট, ব্যাথা আছে যেগুলো সে প্রকাশ করতে পারে না । কেবল বুকে জমিয়ে রাখে। তাই পথে চলার সময় সব নিয়মনীতি মেনে চলতে হয় । তাহলে দুর্ঘটনায় পরিমাণ অনেক কমে যায়।
ঘ। ‘পথের গল্প’ কবিতাটির বিষয় সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর:-‘পথের গল্প’ কবিতাটি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা। এই কবিতায় কবি শহরের রাস্তাঘাটের ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের কথা তুলে ধরেছেন। শহরাঞ্চলে মানুষ বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে । এর মধ্যে কিছু কিছু যানবাহন নিয়ম নীতি না মেনেই গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে । এর ফলে দিনের পর দিন অঘটনের সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কবিতার শেষের দিকে কবি গাড়ি চালকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন মনোযোগ সহকারে গাড়ি চালাতে । সব নিয়ম মেনে এবং মন শান্ত করে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার পরিমাণ কমে যাবে । এমনকি যানবাহন চলাচলে এবং রাস্তাঘাত পারাপারের সময় পথচারীদের সতর্কতাও বিশেষ প্রয়োজন ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। বিপরীত শব্দ লেখো:
১) বাড়ছে-কমছে
২ ) দুঃখ- সুখ
৩) নিয়ম- অনিয়ম
৪) ভেঙে- গড়ে
৫) ভাঙল- গড়লো
৬) জীবন-মরণ
৭) শান্ত- অশান্ত
গ। পদ পরিবর্তন করো:
১) পথ- পাথেয়।
২) শহর-শহুরে
৩) রাগ- রাগী
৪) ঝড়- ঝোড়ো
৫) নিয়ম- নিয়মিত
৭) নীরব- নীরবতা
৮) মন- মানসিক
ঘ। নীচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো:
১) ভিরমি – বাজারে জিনিস পত্রের দাম শুনে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা।
২) বেপরোয়া – সে বেপরোয়া ভাবে কাজ করছে।
৩) শান্ত- রাম খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে।
৪) ব্যথা- অতুনু কাল পরে গিয়ে খুব ব্যাথা পেয়েছিল।
৫) নীরব- দুদিন ধরে অলস খুব নীরব হয়ে গেছে।
ঙ। শুদ্ধ রূপটি লেখোঃ
১) বেপোয়ারা/বেপরোয়া/বেপোরোয়া
শুদ্ধ বেপোরোয়া –
২) পড়ু/পঙ্গু/পোঙ্গু।
শুদ্ধ: পঙ্গু
৩) নিরব/নীড়ব/নীরব।
শুদ্ধ: নীরব
Work Book Solution
শব্দার্থ লেখো:
বাড়ছে – বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শহর- গঞ্জ
ভিড়- লোক সমাগম
হাট- কেনা- বেচার জায়গা
ছুটছে-দৌড়ান
সাঁই সাঁই- এক ধরনের আওয়াজ
ভিরমি- মাথাঘোরা
পিঠে- পশ্চাৎ
শিরে- মাথায়
ধাক্কা- ঠেলা দেওয়া
পঙ্গু- হাঁটতে অক্ষম
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখো:
ক) ‘পথের গল্প’ কবিতাটি কোন্ মূল কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘পথের গল্প’ কবিতাটি ‘নির্বাচিত ছড়া’ নামক মূল কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
খ) শহরে কীসের বহর বাড়ছে?
উত্তর: শহরে ভিড়ের বহর বাড়ছে।
গ) বাইক কীভাবে ছুটছে?
উত্তর: বাইক সাই সাই করে ছুটছে।
ঘ) ‘একের পিঠে তিন চলেছে’- কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: কথাটির অর্থ হল রাস্তায় বাইক গেলে দেখা যায় একজনের পেছনে তিন জন বসে আছে।
ঙ) চালকরা কেমন?
উত্তর:চালকরা খুবই বেপরোয়া ।
চ) ‘রাবণরাজা’ কার লেখা?
উত্তর:’রাবণরাজা’ বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা।
ছ) দাদু রেগে কী বলেন?
উত্তর:দাদু রেগে বলেন রাস্তাঘাটের গাড়ির চালকেরা খুবই বেপরোয়া ।
জ) কীসের নিয়ম রয়েছে?
উত্তর:কোথায় কেমন গাড়ি চলবে তার নিয়ম রয়েছে ।
ঝ) গাড়ি কোথায় ধাক্কা খেল?
উত্তর:গাড়ি গাছে ধাক্কা খেল ।
ঞ) শান্ত মনে গাড়ি না চালালে কী হবে?
উত্তর:শান্ত মনে গাড়ি না চালালে ভুলের মাশুল গুনতে হবে সারাক্ষন ।
ট) ‘আমার ছড়া তোমার ছবি’-কার লেখা?
উত্তর:’আমার ছড়া তোমার ছবি’ বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা ।
ঠ) দু’দিক দেখে কী পার হতে হবে?
উত্তর:দু’দিক দেখে রাস্তা পার হতে হবে।
ড) ‘প্রতিদিন রবীন্দ্রনাথ’ কার লেখা?
উত্তর:’প্রতিদিন রবীন্দ্রনাথ’ বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা।
ঢ) কে নীরবে দুঃখ-ব্যথা বুকে জমিয়ে রাখে?
উত্তর:পথ নীরবে দুঃখ-ব্যথা বুকে জমিয়ে রাখে।
ণ) বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর জন্ম কবে হয়েছিল?
উত্তর:বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর জন্ম হয়েছিল ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর ।
২। রচনাধর্মী প্রশ্ন:
ক) “একের পিঠে তিন চলেছে হেলমেটও নেই শিরে।”
অ) কার লেখা?
আ) কোন্ কবিতার অংশ?
ই) উদ্ধৃতিটির মর্মার্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: অ) এই কবিতাটি বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা।
আ) এটি ‘পথের গল্প’ নামক কবিতার অংশ।
ই) শহরে মানুষ, বাইক, ট্যাক্সি, মোটর সব কিছুরই প্রচন্ড ভিড়। পথ চলার নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি রয়েছে সবার জন্যই । বর্তমানকালে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু বাইক চালক সমস্ত নিয়ম-নীতি ভেঙে সাঁই সাঁই করে বাইক চালিয়ে যাচ্ছে। এক বাইকের উপর আরোহী হচ্ছে তিনজন। নিয়ম না মেনে হেলমেট বিহীন অবস্থায় বাইক চালিয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড গতিতে। এর ফলে যে কোন মুহূর্তে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গ) “আমরা যদি হই সচেতন থাকব পরম সুখে।”
অ) কোন্ কবির, কোন্ কবিতার অংশ?
আ) উদ্ধৃতিটির মর্মার্থ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ অ) বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা ‘পথের গল্প’ নামক কবিতার অংশ।
আ) কবি এই উক্তিটির মাধ্যমে বলতে চেয়েছে রাস্তাঘাটে সতর্কের সাথে চলাচল করতে । কিন্তু অনেক গাড়ি চালক রাস্তায় মন অশান্ত করে শাঁই শাঁই করে গাড়ি নিয়ে ছোটাছুটি করে । যার ফলে অনেক ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। তাই কবি বলতে চেয়েছেন রাস্তা ঘাটে চলাচলের সময় সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে । গাড়ি নিয়ে চলতে গেলে মন শান্ত করে রাস্তা ঘাটে চলাচল করতে হবে। আমরা যদি সচেতন ভাবে রাস্তা- ঘাটে চলাচল করি তাহলে দুর্ঘটনা ছাড়া সুখে দিন কাটাতে পারব সকলে।
ঘ) ‘পথের গল্প’ কবিতাটির মূলভাব নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: ‘পথের গল্প’ কবিতায় কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী এক সতর্কবার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছে সকলের কাছে। শহরের রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের কথা বলা হয়েছে এই কবিতায়। শহরে যেমন ভিড় বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে তেমনই যানবাহন ও বাড়ছে। বর্তমানে একটি বাইকে করে তিনজন আরোহী হেলমেট ছাড়াই চলাচল করছে যা দেখে বয়স্ক ব্যাক্তিরা তাদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এই কবিতায়। রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচলের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে যেটি না মেনে চলার কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে । গাড়ি চালাতে হলে মনোযোগ সহকারে চালাতে হবে তা না হলে সারা জীবন পস্তাতে হবে। আমরা সচেতন হয়ে চললে দুর্ঘটনা ছাড়াই দিন অতিবাহিত করতে পারব।
ঙ) “এদিক ওদিক দু’দিকে দেখে রাস্তা হবি পার।”- লাইনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:”এদিক ওদিক দু’দিকে দেখে রাস্তা হবি পার।”-কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা ‘পথের গল্প’ নামক কবিতার অংশ। কবিতায় এক স্যার স্কুলের পথ দিয়ে যেতে যেতে তার ছাত্রকে বলে রাস্তার দুইদিক ভালো করে লক্ষ করে রাস্তা পার হতে। আরও বলে পথ খুবই নীরব এবং সে তার দুঃখ গুলো, ব্যাথা গুলো দীর্ঘদিন ধরে বুকে চেপে রাখে। সে তার দুঃখ প্রকাশ করতে পারে না । তাই সকলে যদি সচেতন ভাবে রাস্তায় চলাফেরা করে তাহলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাই থাকবে না ।
চ) “সারা জীবন পঙ্গু হয়ে রইল গোটা চার।”
অ) কোন্ কবিতার অংশ, কবির নাম কি?
আ) সারা জীবনের জন্য চারজন পঙ্গু হয়ে রইলো কেন?
উত্তর: অ)”সারা জীবন পঙ্গু হয়ে রইল গোটা চার।”-উক্তিটি কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা ‘পথের গল্প’ নামক কবিতার অংশ।
আ) শহরের রাস্তাঘাটে পথ চলার নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু গাড়ি চালক সেই নিয়ম-নীতি ভেঙ্গে তাড়াহুড়ো করে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যায়। এই কবিতায় নিয়ম ভেঙ্গে গাড়ি চলানোর কারণে একটি গাড়ি গাছে গিয়ে ধাক্কা খায়। গাড়ি থেকে উল্টে পড়ে দুজন মানুষ মারা যায়, এবং চারজন মানুষের হাড় ভেঙ্গে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়।
ছ) “দেখ না কেমন এঁকে বেঁকে যায় সে ঝড়ের বেগে।”
অ) কে, কাকে উদ্দেশ্য করে উক্তিটি করেছে?
আ) এরূপ উক্তি করার কারণ কী বুঝিয়ে দাও?
উত্তর:অ) কবিতায় একজন বয়স্ক দাদু, বেপরোয়া গাড়ি চালকদের উদ্দেশ্য করে উক্তিটি করেছে।
আ) তিনি পথে চলার সময় বার বার ভিরমি খেয়ে পরছিলেন। রাস্তায় বাইক সাঁই সাঁই করে চলছে তার ওপর আবার একজনের পিছনে দুই- তিন জন করে বসে রয়েছে। মাথায় হেলমেট না পরেই গাড়ি নিয়ে চলাচল করছে রাস্তায় । বাইক চালকরা খুবই দ্রুত ঝড়ের বেগে একেবেকে গাড়ি চালাচ্ছে। এর ই কারণে বয়স্ক দাদুটি রাস্তা পাড় হতে ভিরমি খেয়ে পড়ছে বার বার । তাই তিনি ক্ষোভে গাড়ি চালকদের বেপরোয়া বলে মন্তব্য করেছে।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক) বিপরীত শব্দ লেখো:
ভুল- শুদ্ধ
এক- অনেক
যেতে- আসতে
উল্টা- সোজা
বেঁকে-সোজা
ভিড়- ফাঁকা
এদিক- ওদিক
সুখে-দুখে
সচেতন- অসচেতন
আমরা- তোমরা
দুঃখ- সুখ
মরলো- বাচলো
নিয়ম- অনিয়ম
বাড়ছে- কমছে
পথের- অপথের
খ) পদ নির্ণয় করো:
সচেতন- বিশেষণ
ভুল- বিশেষণ
শান্ত- বিশেষণ
চালক- বিশেষ্য
ছবি- বিশেষ্য
নিয়ম- ক্রিয়া
হাড়- বিশেষ্য
গাড়ি- বিশেষ্য
ঝড়- বিশেষ্য
বাজার-বিশেষ্য
শহর- বিশেষ্য
পঙ্গু-বিশেষণ
গ) পদ পরিবর্তন করো:
শান্ত- শান্তি
সচেতন-সচেতনতা
মানুষ-মনুষ্য
নিয়ম- নিয়মিত
মন-মানসিক
জীবন-জীবনী
দুঃখ- দুঃখিত
পথ- পথ্য
ঘ) বাক্য রচনা করো:
সচেতন-সচেতন না হয়ে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
দুঃখ: সে এক রাশ দুঃখ বুকে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে চলে গেলো।
ব্যথা: রাম কাল সাইকেল থেকে পরে গিয়ে খুব ব্যাথা পেয়েছিল ।
হাড়: সিতার পরে গিয়ে হাতের হাড় মচকে গিয়েছে ।
নিয়ম: রিমা নিয়ম করে প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করতো।
এঁকে বেঁকে: রাস্তায় মোটর বাইকটি খুব এঁকে বেঁকে চলছিল।
হেলমেট: রাস্তায় বাইক নিয়ে বেড়োলে হেলমেট পরা উচিত।
ছবি: গিতা খুব ছবি তুলতে ভালোবাসে ।
শহরঃ শহরে গাড়ি ঘোড়া বাড়ার সাথে সাথে ভিড়ও বাড়ছে ।
বাড়ছেঃ দিন দিন বাড়ি ঘরের পরিমাণ বেড়েই চলেছে ।
রোগঃ এবার অতিরিক্ত গরম পরায় মানুষ খুব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
ঙ) শুদ্ধ রূপটি লেখো:
নীরব / নিরব / নীঃরব
= নীরব
বেথা / ব্যাথা / ব্যথা
= ব্যাথা
সচেতন / শচেতন / যচেতন
= সচেতন
ধাক্কা / ধাক্কা / ধাক্যা
= ধাক্কা
পাষে / পাশে / পাসে
= পাশে
হ্যালমেট / হেলম্যাট/ হেলমেট
= হেলমেট
টেক্সি / ট্যাক্সি / টাস্কি
= ট্যাক্সি
ভিড়/ ভির / ভীড়
= ভিড়
ভিরমি / ভীরমি / ভিমরি
= ভিরমি
পংগু / পঙ্গু / পঙ্গো
= পঙ্গু
ছ) সমার্থক শব্দ লেখো:
পঙ্গু – বিকলাঙ্গ, বিকৃত অঙ্গ-
নীরব- বাক্যহীন
বুক- বক্ষ
রাগ- অভিমান
হাড়- অস্থি
ঝড়- টংকার
মানুষ- গন
ব্যথা- বেদনা
স্কুল- বিদ্যালয়
সুখ- আনন্দ
মন- হৃদয়
ভুল- বেঠিক
দুঃখ- ক্লেশ
রাস্তা- পথ
শির- মাথা
জ) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। বাড়ছে শহর ভিড়ের …………… দুইপাশে দুই ছবি।
উত্তর: বাড়ছে শহর ভিড়ের বহর দুইপাশে দুই ছবি।
২। বাইক সাঁই সাঁই …………… যে খাই বাপরে সে কী ভিড়ে।
উত্তর:বাইক সাঁই সাঁই ভিরমি যে খাই বাপরে সে কী ভিড়ে।
৩। কোথায় কেমন চলবে …………… নিয়ম সে তো আছে।
উত্তর:কোথায় কেমন চলবে গাড়ি নিয়ম সে তো আছে।
8। …………… পথে যেতে যেতে বলেন সেদিন স্যার।
উত্তর:স্কুলের পথে যেতে যেতে বলেন সেদিন স্যার।
৫। পথ যে ………………, দুঃখ ব্যথা জমিয়ে রাখে বুকে।
উত্তর:পথ যে নীরব, দুঃখ ব্যথা জমিয়ে রাখে বুকে।
৬। আমরা যদি হই ………………… থাকব পরম সুখে।
উত্তর:আমরা যদি হই সচেতন থাকব পরম সুখে।
ঝ) সত্য মিথ্যা যাচাই করো:
১। বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৬শে জানুয়ারী।- মিথ্যা।
২। ‘নির্বাচিত ছড়া’ সংকলনের লেখক বিমলেন্দু দাম।- মিথ্যা।
৩। নিয়ম ভেঙ্গেই একটা গাড়ি ধাক্কা খেল গাছে। – সত্য ।
৪। বিগ বাজারে ছুটছে মানুষ ট্যাক্সি মোটর সব-ই।- মিথ্যা।
৫। একের পিঠে তিন চলেছে হেলমেটও নেই শিরে। – সত্য ।
ঞ) সঠিক উত্তরে চিহ্ন দাও:
১। বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর জন্ম (বাঘাউড়া / ভাঙ্গাউড়া / ভাওয়াইয়া) গ্রামে।
উত্তর:বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর জন্ম বাঘাউড়া গ্রামে।
২। সারা জীবন (অচল / সচল / পঙ্গু) হয়ে রইল গোটা চার।
উত্তর:সারা জীবন পঙ্গু হয়ে রইল গোটা চার।
৩। ‘নির্বাচিত ছড়া’ নামক সংকলন থেকে যে কবিতাটি নেওয়া হয়েছে তা হল (বিয়েবাড়ির মজা / পথের দাবী / পথের গল্প)।
উত্তর:’নির্বাচিত ছড়া’ নামক সংকলন থেকে যে কবিতাটি নেওয়া হয়েছে তা হল পথের গল্প।
৪। ‘উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ যিনি পেয়েছেন তিনি হলেন (বিমল চক্রবর্তী/ বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী / বিপ্লব চক্রবর্তী)
উত্তর:’উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ যিনি পেয়েছেন তিনি হলেন বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী ।
৫। বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী পিতা হলেন (বীরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী/ ধীরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী/ ক্ষেমেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী)।
উত্তর:বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী পিতা হলেন বীরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী ।
৪। নিচের পদ্যাংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
চালকরা কী বেপরোয়া বলেন দাদু রেগে।
দেখ না কেমন এঁকে বেঁকে যায় সে ঝড়ের বেগে।
কোথায় কেমন চলবে গাড়ি নিয়ম সে তো আছে
নিয়ম ভেঙেই একটা গাড়ি ধাক্কা খেল গাছে।
মরল দু-জন উল্টে পড়ে, ভাঙল ক-খান হাড়
সারা জীবন পঙ্গু হয়ে রইল গোটা চার।
তাই তো বলি চালাও গাড়ি শান্ত করে মন
নইলে কিন্তু ভুলের মাশুল গুণবে সারাক্ষণ।
ক। একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১) ‘পথের গল্প’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: ‘পথের গল্প’ কবিতাটি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা।
২) কবি কেমনভাবে গাড়ি চালাতে বলেছেন?
উত্তর:কবি মন শান্ত করে গাড়ি চালাতে বলেছেন।
৩) কতজন লোক সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়?
উত্তর: চারজন লোক সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়।
৪) একটি গাড়ি কোথায় ধাক্কা মারে?
উত্তর: একটি গাড়ি গাছে ধাক্কা মারে।
৫) কত জন গাড়ি উল্টে মারা যান?
উত্তর:দুজন গাড়ি উল্টে মারা যান।
৬) দাদু রেগে কী বলেন?
উত্তর:দাদু রেগে বলেন চালকরা খুবই বেপরোয়া ।
খ। শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বাক্য নির্বাচন করো:
১) কোথায় কেমন গড়বে বাড়ি নিয়ম যে তো আছে।
উত্তর:অশুদ্ধ।
২) তাই তো বলি চালাও গাড়ি দুরন্ত করে মন।
উত্তর:অশুদ্ধ।
৩) ভাঙল ক-খান হাড়।
উত্তর:শুদ্ধ।
গ। শূন্যস্থান পূরণ করো:
১) দেখ না কেমন এঁকে বেঁকে যায় যে ……………… বেগে।
উত্তর:দেখ না কেমন এঁকে বেঁকে যায় যে ঝড়ের বেগে।
২) মরল দু-জন ……………… পড়ে।
উত্তর:মরল দু-জন উল্টে পড়ে।
৩) নইলে কিন্তু ভুলের …………… গুণবে সারাক্ষণ।
উত্তর:নইলে কিন্তু ভুলের মাশুল গুণবে সারাক্ষণ।
ঘ। সঠিক উত্তর নির্বাচন করো:
১) সারা জীবন পঙ্গু হয়ে রইল গোটা-
অ) পাঁচ
আ) চার
ই) তিন
ঈ) দুই
উত্তর:আ) চার।
২) নিয়ম ভেঙেই একটা গাড়ি ধাক্কা খেল
অ) গাছে
আ) লাইট পোস্টে
ই) বাড়িতে
ঈ) বাসে
উত্তর:অ) গাছে।
৩) চালকরা কী বেপরোয়া বলেন
অ) বাবা রেগে
আ) দাদু রেগে
ই) দিদা রেগে
ঈ) কাকা রেগে
উত্তর:আ) দাদু রেগে।
৫। নীচের অনুচ্ছেদগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
খ্যাতনামা শিশুসাহিত্যিক বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর অধুনা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঘাউড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বীরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী। মায়ের নাম প্রিয়বালা চক্রবর্তী। তিনি বাংলা শিশু সাহিত্যের নামকরা লেখক। ত্রিপুরা সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর তাঁকে ‘সুকান্ত পুরস্কার’ প্রদান করেছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছড়া, গল্প ও কবিতার বইগুলোর মধ্যে আছে ‘রাবণরাজা’, ‘ঘুমভাঙা নদী’, ‘রসিকলালের রসিকতা’, ‘নির্বাচিত ছড়া’, ‘আমার ছড়া তোমার ছবি’, ‘দুইশ শিশুর কান্ড’, ‘প্রতিদিন রবীন্দ্রনাথ’ প্রভৃতি।
ক) বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর, অধুনা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঘাউড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
খ) বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী পিতা ও মাতার নাম কি?
উত্তর:বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর পিতা বীরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী ও মাতার নাম প্রিয়বালা চক্রবর্তী।
গ) ত্রিপুরা সরকারের কোন্ দপ্তর, কোন্ পুরস্কারে ‘বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীকে প্রদান করেছে?
উত্তর:ত্রিপুরা সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর, ‘সুকান্ত পুরস্কারে’ বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীকে প্রদান করেছে।
ঘ) বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর দুটি ছড়ার বইয়ের নাম লেখো?
উত্তর:বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর দুটি ছড়ার বইয়ের নাম ‘রাবণরাজা’ও ‘ঘুমভাঙা নদী’।
ঙ) বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর:বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী দুটি কবিতার বইয়ের নাম ‘দুইশ শিশুর কান্ড’ও ‘প্রতিদিন রবীন্দ্রনাথ’।
Chapter 9: বজরায় ডাকাতি