Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 6 খোকার আকাঙ্ক্ষা
Complete solutions for the Chapter 6 খোকার আকাঙ্ক্ষা of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
খোকার আকাঙ্ক্ষা
শব্দার্থ লেখো:
চড়ব- আরোহণ করব।
মস্ত- বড়
ধনী- বড়লোক
মোদের- আমাদের
বাসা- বাড়ি
ধারে- কাছে
বাড়ি- ঘর
দোরে- দরজায়
রবি- সূর্য
গড়া- তৈরি করা
শুনতে- শ্রবণ করতে
কিনব- ক্রয় করবে
ছোঁয়া- স্পর্শ
ঘর- বাড়ি
প্রদীপ- দীপ
রইবে- থাকবে
আকাঙ্ক্ষা- আশা
সুখে- আনন্দে
ক। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১) ‘পল্লি কবি’ নামে কে পরিচিত?
উত্তর: জসীমউদ্দীন ‘পল্লিকবি’ নামে পরিচিত।
২) ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর:’খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতাটি ‘হাসু’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
৩) খোকা কার কাছ থেকে তার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে?
উত্তর:খোকা আশ পাশের মানুষের কাছ থেকে তার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে।
৪) খোকা কীসের জন্য বই পড়বে না?
উত্তর:খোকা বই পড়বে না কারন সে বড় বাড়ি বানাতে চায় না, গাড়িও চড়বে না ।
৫) রায় বাবুদের বাড়ি কোথায়?
উত্তর:রায় বাবুদের বাড়ি খোকার বাড়ির পাশে ।
৬) সবার বাড়ির সুর কিসে বাজবে?
উত্তর: খোকার বাড়ির বাশিতে সবার বাড়ির সুর বাজবে ।
৭) “আলোক দিবে সবে”- কোন্ কবিতার লাইন?
উত্তর:উক্ত লাইনটি ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতার লাইন ।
৮) ‘হাসু’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর:’হাসু’ কাব্যগ্রন্থটি জসীমউদ্দীনের লেখা।
৯) জসীমউদ্দীন কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তার জন্ম ।
১০) রায়বাবু কে?
উত্তর: ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় খোকাদের বাড়ির পাশে ধনী প্রতিবেশী ।
১১) “ফেলবে আকাশ ফাড়ি”-কে আকাশ বিদীর্ণ করবে?
উত্তর:খোকাদের বাড়ির পাশে রায় বাবুদের মস্ত অট্টালিকা আকাশ বিদীর্ণ করবে।
১২) কার ঘরে বাতাস আসে না?
উত্তর: খোকাদের ঘরে বাতাস আসে না ।
১৩) রায়বাবুদের বাড়ি কিসে ঘেরা?
উত্তর:রায়বাবুদের বাড়ি পাঁচিলে ঘেরা।
১৪) ‘সোজন বেদিয়ার ঘাট’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর:’সোজন বেদিয়ার ঘাট’ কাব্যগ্রন্থটি জসীমউদ্দীনের লেখা।
১৫) ‘উচ্চ তাহার চুড়ো যেন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: খোকাদের বাড়ির পাশে রায়বাবুদের বাড়ি মস্ত বড় এবং সেটি অনেক তলার তৈরি বাড়ি । সেটাকেই এই কবিতায় উচ্চ তার চুড়ো বলেছে ।
১৬) খোকা কেমন বাড়ি গড়বে না?
উত্তর: খোকা যে বাড়ি আকাশ ভেদ করে সেরকম মস্ত বাড়ি গড়বে না ।
১৭) ‘দুখীর বেদন-ধারা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:’দুখীর বেদন-ধারা’ বলতে এই কবিতায় যারা খুব অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছে সেই মানুষজনদের কথা বলা হয়েছে ।
১৮) কারা দুখীর বেদন-ধারা শুনতে পান না?
উত্তর: যারা মস্ত অট্টালিকায় পাঁচিল ঘেরা দিয়ে থাকে তারা দুখীর বেদন-ধারা শুনতে পান না।
১৯) খোকার ঘরে কারা মিলে-মিশে থাকবে?
উত্তর:খোকার ঘরে সকলে মিলে-মিশে থাকবে।
২০) ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর:’নকশি কাঁথার মাঠ’ কাব্যগ্রন্থটি জসীমউদ্দীনের লেখা।
খ। রচনাধর্মী প্রশ্ন:
ক) “সবার সাথে মিশব বলে থাকব সবার মনে।”
অ) কোন্ কবির, কোন্ কবিতার পঙক্তি?
আ) কার, কেন এই বাসনা, তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উত্তর: অ) মানবতাবাদী কবি জসীমউদ্দীনের ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ নামক কবিতার থেকে পঙ্ক্তি।
আ) কবিতায় উল্লিখিত খোকা লেখাপড়া শিখে মস্ত ধনী হতে চায় না। সে চায় সত্যিকারের মানুষ হতে। খোকার শিক্ষা হবে বিনয়ের শিক্ষা, মানবতার শিক্ষা। যে শিক্ষা খোকার কাছে কাম্য নয়। সে শিক্ষিত হয়ে গাড়ি কিনতে চায় না। আকাশ ছোঁয়া বাড়িরও সে পক্ষপাতি নয়। লেখা পড়া শিখে খোকা সবার সাথে মিশতে চায়, সবার সাথে থাকতে চায়। প্রকৃত মানুষ হয়ে খোকা সাধারণ মানুষের সমাজে সকলের সাথে মিলে মিশে বাস করতে চায়।
ঘ) “কী হবে আর আমি যদি মস্ত ধনী হই।”
অ) কোন্ কবির, কোন্ কবিতার অংশ?
আ) উদ্ধৃতাংশটি মর্মার্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: অ) “কী হবে আর আমি যদি মস্ত ধনী হই।”- উদ্ধৃতাংশটি পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ নামক কবিতার থেকে নেওয়া হয়েছে ।
আ)কবি এই ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’কবিতায় খোকার আকাঙ্ক্ষা দিয়ে একজন প্রকৃত মানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেছেন । এই কবিতায় খোকা তার মাকে বলেছে লেখাপড়া করে মস্ত ধনী হয়ে কি হবে যদি সে সমাজের সকল মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকতে না পারে । সকলের সুখ – দুখের সাথী না হতে পারে, তাহলে মস্ত ধনী কেন হবে সে । সে লেখাপড়া করে মস্ত ধনী হতে চায় না, সে লেখাপড়া করে মানুশের পাশে দাড়াতে চায়, সমাজের সকল মানুষের সাথে একত্রে বসবাস করতে চায় ।
ঙ) “শুনতে না পায় মোদের মতো দুখীর বেদন-ধারা।”
অ) কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করা হয়েছে?
আ) কারা কেন দুখীর বেদন-ধারা শুনতে পায় না?
উত্তর:অ)”শুনতে না পায় মোদের মতো দুখীর বেদন-ধারা।”- সমাজের যেসব ধনী ব্যক্তিরা সাধারন মানুষকে অসুবিধায় ফেলে নিজেরা সুখে থাকে কিন্তু আশপাশের গরিব- দুখিদের কষ্ট বোঝেনা সেই প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করা হয়েছে ।
আ) অনেক ধনী ব্যাক্তি আছে যারা একের পর এক বিল্ডিং বাড়ি তৈরি করে, তাদের উচু শৃঙ্গ যেন আকাশ ভেদ করে বেড়িয়ে যাবে। সেইসব বাড়ির জন্য আশপাশের সাধারন মানুষদের ঘরে ঠিক মত আলো বাতাস পৌঁছাতে পারে না । তারা খুব কষ্টে, অসহায় ভাবে দিন কাটায়। কিন্তু ধনী মানুষেরা বাড়ির চারপাশে পাঁচিল দিয়ে দিব্যি সুখে থাকেন । তারা কারোর অসুবিধার কথা মাথায় রাখে না ।
চ) ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতাটির মূলভাব নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর:মানবতাবাদী কবি জসীমউদ্দীনের ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতাটির মাধ্যমে সকলের মানবতাকে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন । কবিতায় উল্লিখিত খোকা লেখাপড়া শিখে মস্ত ধনী হতে চায় না। গাড়িতে চড়বে বলে সে লেখাপড়া শিখবে না, একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার জন্য সে লেখাপড়া করতে চায় । কবিতায় উল্লিখিত খোকা আকাশ ভেদ করে যাওয়া পাঁচিল ঘেরা মস্ত অট্টালিকা পছন্দ করে না। কারন সেইসব বাড়ির মানুষজনেরা সমাজের দুখী, সাধারন মানুষদের কথা চিন্তা করে না । খোকার আশা সে লেখাপড়া শিখে সমাজের সকল মানুষজনদের সাথে মিলিত হয়ে থাকবে। প্রকৃত মানুষ হয়ে খোকা একে অপরের সুখ- দুখে পাশে দাঁড়াবে, যারা ঠিক ঠাক খেতে পারে না তাদের মুখে খাওয়ার তুলে দিবে । নিজের সবকিছু সবার সাথে ভাগ করে নিবে সে ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক) পদ পরিবর্তন করো:
গাড়ি – গাড়োয়ান।
ধনী-ধনবান
সুখ- সুখী
লেখা- লেখনীয়
বেদন- বেদনা
উচ্চ-উচু
ফুল-ফুলেল
মুখ- মৌখিক
বাতাস-বাতাসি
ঘর- ঘরেলা
আলো- আলকিত
আকাশ- আকাশী
খ) লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
বাবু – ভৃত্য
বোন- ভাই
ভাই- বোন
মা-বাবা
গ) বিপরীত শব্দ লেখো:
চড়ব- নামব
অনাহারী- আহারী
আলোক- অন্ধকার
তলে- ওপরে
সুখে- দুখে
আড়ালে- সামনে
উচ্চ- নিম্ন
ধনী- গরিব
দূর- কাছে
হাসে- কান্না করে
নিজের- পরের
সবার- একার
বেঁধে- খুলে
আকাশ- পাতাল
মস্ত- ক্ষুদ্র
সুর- বেসুর
হাসব- কানব
কিনব- বেচব
ঘ) নিম্নলিখিত শব্দগুলি দিয়ে বাক্য রচনা করো:
বাড়ি- নিজের বাড়ি থাকার মজাই আলাদা।
মাটির প্রদীপ: আমার কাকু সুন্দর মাটির প্রদীপ বানাতে পারে ।
বাগিচা: রামদের বাড়িতে ফুলের বাগিচা আছে ।
সুর: মধুমিতার গানের সুর খুব ভাল ।
খাবার: আমার মা ভাল ভাল খাবার বানাতে পারে ।
ভাই-বোনে: তারা ভাই – বোনে মিলে সুন্দর খেলা করছে ।
দুঃখী: বিজয় একটি দুঃখী ছেলে।
পাঁচিল : পাঁচিল টপকে একটি বিড়াল এসেছে আমাদের বাড়ি ।
আড়ালে: রাম আড়াল থেকে সব লেখাগুলো দেখে নিয়েছে ।
মস্ত: আমার মামাদের একটি মস্ত বাড়ি আছে ।
গাড়ি: আমার রেলগাড়িতে চড়তে খুব ভাল লাগে ।
ঙ) শুদ্ধ রূপটি লেখো:
পাঁচীল / পাঁচিল / পাচিল
= পাঁচিল
ফারি / ফাঁড়ি/ফাড়ি
= ফাড়ি
আঢ়াল / আরাল / আড়াল
= আড়াল
মস্ত / মস্থ / মস্তো
= মস্ত
ধ্বনি / ধ্বনি / ধনী
= ধনী
বাশি/ বাষি/ বাঁশি
= বাঁশি
প্রদিপ / প্রদীপ / প্রদীফ
= প্রদীপ
বাঘিচা/ বাগিছা / বাগিচা
= বাগিচা
মিসর / মিষব / মিশব
= মিশব
আকাস / আকাশ / আকাষ
= আকাশ
ছ) সমার্থক শব্দ লেখো:
ধনী- ধনবান,
বিত্তবান-ধনবান
বড়োলোক- ধনী
মুখ- মুখমণ্ডল
ঘর- বাড়ি
রবি- সূর্য
মা- জননী
ভাই- ভ্রাতা
বোন- ভগিনী
গাছ- বৃক্ষ
বাতাস- বায়ু
মস্ত- বিশাল
আকাশ- গগন
ঘোড়া- অশ্ব
ঝ) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১) ………… ঘোড়ায় চড়ব বলে পড়ব না মা বই।
উত্তর: গাড়ি ঘোড়ার চড়ব বলে পড়ব না মা বই।
২) এই তো মোদের বাসার ধারে …………বাবুদের বাড়ি।
উত্তর:এই তো মোদের বাসার ধারে রায় বাবুদের বাড়ি।
৩) মোদের দোরে রবির আলো কখন নাহি ……… ।
উত্তর:মোদের দোরে রবির আলো কখন নাহি আসে ।
৪) চার ধারেতে ……………… বেঁধে সুখে আছেন তাঁরা।
উত্তর:চার ধারেতে পাঁচিল বেঁধে সুখে আছেন তাঁরা।
৫) সবার সাথে মিশব বলে থাকব সবার …………।
উত্তর:সবার সাথে মিশব বলে থাকব সবার সনে।
৬) …………… শিখব মাগো, কিনব না ………।
উত্তর: লেখাপড়া শিখব মাগো, কিনব না গাড়ি।
৭) ………………… তলে ঘর বাঁধিয়া মিলব যে ভাই-বোনে।
উত্তর: গাছের তলে ঘর বাঁধিয়া মিলব যে ভাই-বোনে।
৪। নীচের গদ্যাংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
লেখাপড়া শিখব মাগো, কিনব নাকো গাড়ি,
গড়ব নাকো মস্ত বড়ো আকাশ-ছোঁয়া বাড়ি
সবার সাথে মিশব বলে থাকব সবার সনে,
গাছের তলে ঘর বাঁধিয়া মিলব যে ভাই-বোনে।
সবার সুখে হাসব আমি কাঁদব সবার দুখে।
নিজের খাবার বিলিয়ে দেব অনাহারীর মুখে।
আমার বাড়ির ফুল-বাগিচা, ফুল সকলের হবে,
আমার ঘরে মাটির প্রদীপ আলোক দিবে সবে।
ক। একটি বাক্যে উত্তর লেখো:
১) নিজের খাবার কাদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে?
উত্তর:নিজের খাবার অনাহারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে।
২) খোকা সবার সুখে ও দুঃখে কী করবে?
উত্তর:খোকা সবার সুখে হাসবে ও দুঃখে কান্না করবে।
৩) ভাই-বোনে মিলেমিশে কোথায় ঘর বেঁধে থাকবে?
উত্তর:ভাই-বোনে মিলেমিশে গাছের নীচে ঘর বেঁধে থাকবে।
৪) কে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চেয়েছে?
উত্তর: খোকা সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চেয়েছে।
৫) খোকা কী তৈরি করবে না-বলে জানায়?
উত্তর: খোকা মস্ত বাড়ি তৈরি করবে না-বলে জানায়।
৬) খোকা লেখাপড়া শেখার কথা কার কাছে বলে?
উত্তর:খোকা লেখাপড়া শেখার কথা তার মায়ের কাছে বলে।
খ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
১) লেখাপড়া শিখব মাগো, কিনব নাকো-
(অ) বাড়ি
(আ) ঘোড়া
(ই) গাড়ি
(ঈ) হাতি
উত্তর:(ই) গাড়ি।
২) গাছের তলে ঘর বাঁধিয়া মিলব যে-
(অ) ছেলে-মেয়ে
(আ) ভাই-বোন
(ই) দাদু-দিদা
(ঈ) বাবা-মায়ে
উত্তর:(আ) ভাই-বোন
৩) আমার ঘরে –
(অ) মাটির প্রদীপ
(আ) কেরোসিনের প্রদীপ
(ই) বিদ্যুতের প্রদীপ
(ঈ) এদের কোনটিই নয়।
উত্তর:(অ) মাটির প্রদীপ
গ। শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বাক্যটি নির্বাচন করো:
১) গাছের তলে ঘর বাঁধিয়া মিলব যে ভাই-বোনে।
উত্তর:শুদ্ধ
২) আমার বাড়ির চা-বাগিচা, ফুল সকলের হবে।
উত্তর:অশুদ্ধ
৩) সবার সুখে কাঁদব আমি হাসব সবার দুখে।
উত্তর:অশুদ্ধ
ঘ। শূন্যস্থান পূরণ করো:
১) আমার বাড়ির ফুল-বাগিচা ……………সকলের হবে।
উত্তর:আমার বাড়ির ফুল-বাগিচা ফুল সকলের হবে।
২) নিজের খাবার বিলিয়ে দেব ……………… মুখে।
উত্তর:নিজের খাবার বিলিয়ে দেব অনাহারীর মুখে ।
৩) সবার সাথে মিশব বলে থাকব সবার ……………।
উত্তর:সবার সাথে মিশব বলে থাকব সবার সনে ।
ঙ। নীচের অনুচ্ছেদগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
পল্লিকবি জসীমউদ্দীন জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে, ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি। তাঁর পড়াশোনা ফরিদপুর ও কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম.এ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৪ সালে ভারত সরকারের প্রচার বিভাগে কাজে যোগ দেন। পল্লিবাংলার সরল অকৃত্রিম জীবন ও পল্লিপ্রকৃতিই ছিল তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘নকশি কাঁথার মাঠ’, ‘সোজন বেদিয়ার ঘাট’, ‘হাসু’ প্রভৃতি। কবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ‘একুশে পদক’; রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৭৬ সালে ১৪ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়।
ক) পল্লিকবি কবে, কোথায়, জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:পল্লিকবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
খ) কত সালে, কোন্ সরকারের প্রচার বিভাগে জসীমউদ্দীন যোগ দেন?
উত্তর:১৯৪৪ সালে ভারত সরকারের প্রচার বিভাগে জসীমউদ্দীন যোগ দেন।
গ) জসীমউদ্দীনের দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:জসীমউদ্দীনের দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হল ‘নকশি কাঁথার মাঠ’, ও ‘সোজন বেদিয়ার ঘাট’।
ঘ) জসীমউদ্দীনের কোন্ কোন্ উপাধিতে ভূষিত হন।
উত্তর:জসীমউদ্দীনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ‘একুশে পদক’; রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত হন।
ঙ) জসীমউদ্দীনের প্রয়াণ কবে?
উত্তর:জসীমউদ্দীনের প্রয়াণ ঘটে ১৯৭৬ সালে ১৪ মার্চ ।
Text book solutions
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
ক। বাংলা সাহিত্যে কে পল্লিকবি নামে খ্যাত?
উত্তর: বাংলা সাহিত্যে জসীমউদ্দীন পল্লিকবি নামে পরিচিত।
খ। কবি জসীমউদ্দীনের একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো?
উত্তর:কবি জসীমউদ্দীনের একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম হল ‘নকশি কাঁথার মাঠ’।
গ। কে মস্ত ধনী হতে চায় না?
উত্তর:খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় খোকা মস্ত ধনী হতে চায় না।
ঘ। খোকার বাসার ধারে কাদের বাড়ি?
উত্তর:খোকার বাসার ধারে রায় বাবুদের বাড়ি।
ঙ। “শুনতে পায় না…….।”
– কে কী শুনতে পায় না?
উত্তর: ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় খোকার বাসার ধারের রায় বাবুরা খোকাদের মত দুখীদের বেদনা শুনতে পায় না।
চ। ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় খোকা কাকে নিজের আকাঙ্ক্ষার কথা বলছে?
উত্তর:’খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় খোকা তার মাকে নিজের আকাঙ্ক্ষার কথা বলছে।
ছ। খোকা কোথায় ঘর বাঁধবে?
উত্তর:খোকা গাছের নীচে ঘর বাঁধবে।
জ। খোকার ঘরে কীসের প্রদীপ জ্বলবে?
উত্তর: খোকার ঘরে মাটির প্রদীপ জ্বলবে।
ঝ। ‘আকাঙ্ক্ষা’ শব্দের অর্থ লেখো।
উত্তর:’আকাঙ্ক্ষা’ শব্দের অর্থ হল ইচ্ছা বা বাসনা ।
ঞ। ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতাটির মূল গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতাটির মূল গ্রন্থের নাম ‘হাসু’ ।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতার ভাববস্তু সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উত্তর: ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় খোকা তার মাকে বলছে যে, ধনী হওয়ার জন্য সে লেখাপড়া শিখবে না। সে রায় বাবুদের মতো আকাশছোঁয়া বাড়ি বানাতে চায় না; চায় না গাড়িও কিনতে। সবার সঙ্গে মিলে মিশে, মানুষের সুখে দুঃখে একাকার হতে চায় সে। উপবাসী-নিরন্ন মানুষকে নিজের খাবার বিলিয়ে দেবে। লেখাপড়া শিখে খোকা সবার সুখ-দুঃখের অংশীদার হবে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখবে না।
খ। ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় খোকার কী কী সাধ ব্যক্ত হয়েছে?
উত্তর: কবি জসীমউদ্দীনের ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় উল্লিখিত খোকার সাধগুলো ব্যক্ত হয়েছে । খোকা লেখাপড়া শিখে একজন প্রকৃত মানুষ হবে । সে লেখাপড়া শিখে ধনী মানুষদের মত আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
বানাবে না । সে সমাজের সকল মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকবে এবং গাছের নীচে ঘর বানিয়ে ভাই বোনের মত মিলে থাকবে । সবার সুখ – দুখের সঙ্গী হবে সে । নিজের খাবার সে অনাহারীর মধ্যে বিলিয়ে দিতে চায় । সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখবে না সে ।
গ। “আমার বাড়ি সবার বাড়ি রইবে না কো দূর।” – পঙ্ক্তিটির অর্থ বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: উল্লিখিত কবিতায় খোকা লেখাপড়া শিখে মস্ত বাড়ি বানাতে চায় না । সে সমাজের সকল সাধারন মানুষদের সাথে একত্রে মিলেমিশে থাকতে চায় । কবিতায় খোকা বলেছে গাছের নীচে বাড়ি বানিয়ে সবাই ভাই বোনের মত মিলে বসবাস করবে । সবার সুখ- দুখে সঙ্গ দিতে চায় । সমাজের সাধারণ মানুষের সাথে দূরত্ব বজায় রাখবে না সে।
ঘ। “… রায় বাবুদের বাড়ি”
– রায় বাবুদের বাড়ি কোথায়? –
– বাড়িটি কেমন? তার বর্ণনা দাও।
উত্তর:”… রায় বাবুদের বাড়ি”- উক্ত লাইনটি কবি জসীমউদ্দীনের ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে । উল্লিখিত কবিতায় রায়বাবুদের বাড়ি খোকাদের বাড়ির পাশেই ।
-রায়বাবুদের বাড়ি মস্ত বড় । তাদের বাড়ির চুড়োগুলো এতটাই উঁচু, মনে হয় যেন আকশ ছুঁয়ে ফেলবে এবং বাড়ির চারপাশটা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। তাদের বাড়ি এতটাই বিশাল যে আশপাশের বাড়িগুলোতে আলো, বাতাস যায় না বললেই চলে ।
ঙ। “…. সুখে আছেন তাঁরা।”
– কারা সুখে আছেন?
– তারা কীভাবে সুখে আছেন?
উত্তর:”…. সুখে আছেন তাঁরা।”- জসীমউদ্দীনের ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় রায়বাবুরা সুখে আছেন ।
– উল্লিখিত কবিতায় খোকাদের প্রতিবেশী রায়বাবুরা ধনবান মানুষ । তাদের মস্ত বাড়ির উচু চুড়ো যেন আকাশ ছুঁতে চায় । কিন্তু তাদের বাড়ির জন্য খোকার মত আর সাধারন মানুষদের বাড়িতে আলো বাতাস কিছু পৌঁছায় না । সাধারন মানুষ খুব কষ্টে দিন অতিবাহিত করে । কিন্তু রায়বাবুদের মত ধনী মানুষেরা সাধারন মানুষের বেদনা বুঝে না । তারা বাড়ির চারপাশে পাঁচিল দিয়ে দিব্যি সুখেই থাকে ।
চ। “সবার সুখে হাসব আমি কাঁদব সবার দুখে”
– কার লেখা কোন্ কবিতার পঙ্ক্তি? –
– উদ্ধৃতিটির অর্থ পরিস্ফুট করো।
উত্তর:পঙ্ক্তি জসীমউদ্দীনের ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতার।
উল্লিখিত কবিতায় খোকা লেখাপড়া শিখে একজন প্রকৃত মানুষ হতে চায় । খোকা মস্ত বাড়ি ও গাড়ির পক্ষপাতী নয় । সে লেখাপড়া শিখে সমাজের সাধারন মানুষের পাশে দাড়াতে চায় । অসহায় মানুষের সঙ্গী হয়ে সকলের সাথে মিলেমিশে থাকতে চায় সে। সাধারন মানুষের সুখে -দুখে পাশে থাকাই তার জীবনের মূল লক্ষ ।
জ। “নিজের খাবার বিলিয়ে দেব……।”
– কে, নিজের খাবার কাদের বিলিয়ে দেবে?
– সে কেনই বা নিজের খাবার বিলিয়ে দেবে?
উত্তর:”নিজের খাবার বিলিয়ে দেব……।”- কবি জসীমউদ্দীনের ‘খোকার আকাঙ্ক্ষা’ কবিতায় উল্লিখিত খোকা নিজের খাবার অনাহারীর মুখে বিলিয়ে দিবে ।
– কবি এই কবিতায় খোকার মধ্যে দিয়ে মানুষের মানবিকতাকে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন । খোকা পড়াশুনো শিখে কখনো ধনী মানুষ হতে চায়না কারন ধনী মানুষেরা কখনও নিজের ছাড়া অপরের সুখ- দুখ বোঝেনা। অনেক মানুষ আছে যারা দিনের পর দিন উপোষ করে দিন কাটাচ্ছে, তাদের প্রতি একটু সহানুভূতি দেখান না তারা । তাই খোকা পড়াশুনো শিখে মানুষের মত মানুষ হতে চায় । যাতে সে অনাহারী মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পারে ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। পদ পরিবর্তন করো:
১) আকাঙ্ক্ষা – আকাঙ্ক্ষিত
২) ধনী- ধন
৩) আলো- আলোকিত
৪) দুখি- দুখিত
৫) দূর- দূরত্ব
খ। লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
১) মা-বাবা।
২) ভাই- বোন
৩) বোন- ভাই
গ। বিপরীত শব্দ লেখো:
১) আকাঙ্ক্ষা – অনাকাঙ্ক্ষা।
২) মস্ত-ক্ষুদ্র
৩) আড়ালে- সামনে
৪) আলো- অন্ধকার
৫) ধনী- গরীব
৬) দুখি- সুখী
৭) উচ্চ- নিম্ন
৮) কাঁদব – হাসব
ঘ। নিম্নলিখিত শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো:
১) ধনী – খোকা ধনী না হয়ে ভালো মানুষ হতে চায়। –
২) আকাশ- রায়বাবুদের মস্ত বাড়ির উঁচু শৃঙ্গ মনে হয় যেন আকাশ ভেদ করে ।
৩) সুর-তার গানের সুর ভীষণ সুন্দর ।
৪) অনাহারী –অনাহারী মানুষজন খুব কষ্টে দিন যাপন করে ।
৫) প্রদীপ-মাটির প্রদীপ জ্বালানোর জন্য তেলের প্রয়োজন হয় ।
৬) বাঁশি- তালপাতা দিয়ে বাঁশি বানানো যায় ।
ঙ। শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১) আকাঙ্খা/আকাঙ্ক্ষা/আকাংখা
শুদ্ধ-আকাঙ্ক্ষা
২) মস্ত/ম্য/মস্তো।
শুদ্ধ- মস্ত
৩) অনাহারি/আনাহারী/অনাহারী।
শুদ্ধ-অনাহারী
Chapter 14: আমের কুসি