Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 5 সবার আমি ছাত্র
Complete solutions for the Chapter 5 সবার আমি ছাত্র of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
Text Book Solution
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
ক। আকাশ কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর: আকাশ উদার হতে শিক্ষা দেয়।
খ। কর্মী হবার মন্ত্র কার কাছ থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর: কর্মী হবার মন্ত্র বায়ুর কাছ থেকে পাওয়া যায়।
গ। পাহাড় আমাদের কী শেখায়?
উত্তর:পাহাড় আমাদের তার মতন মৌন মহান হতে শেখায়।
ঘ। খোলা মাঠ কী উপদেশ দেয়?
উত্তর:খোলা মাঠ দিল খোলা হওয়ার উপদেশ দেয়।
ঙ। সূর্য কী মন্ত্রণা দেয়?
উত্তর:সূর্য আপন তেজে জ্বলার মন্ত্রণা দেয়।
চ। চাঁদ কী শেখায়?
উত্তর: চাঁদ শেখায় মধুর কথা বলতে এবং হাসতে।
ছ। নদীর কাছে কী শিক্ষা পাই?
উত্তর: নদীর কাছে আপন বেগে চলার শিক্ষা পাই।
জ। সহিষ্ণুতা শিক্ষা কার কাছ থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর:সহিষ্ণুতা শিক্ষা মাটির কাছ থেকে পাওয়া যায়।
ঝ। পাষাণ কী দীক্ষা দেয়?
উত্তর:পাষাণ দীক্ষা দেয় নিজের কাজে কঠোর হওয়ার।
ঞ। প্রাণে গান জাগায় কে?
উত্তর:প্রাণে গান জাগায় ঝরনা।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। “বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর”
– পঙ্ক্তিটি কোন কবির, কোন্ কবিতার অংশ?
– কবি ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ কেন বলেছেন?
উত্তর:- এই পঙ্ক্তিটি কবি সুনির্মল বসুর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
সুনির্মল বসু উদার প্রকৃতির কাছে তাঁর চিরদিনের ঋণ স্বীকার করেছেন। আমার সামগ্রিক গুণগত শিক্ষার পবিত্র অঙ্গন হল বিস্ময়কর ও উর্বর প্রকৃতি। প্রকৃতিই হল প্রথম, প্রধান ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষাকেন্দ্র । দুনিয়া জুড়ে বিস্তৃত প্রকৃতির কোল আলো করেই জ্ঞান ও বিকাশের দিশারি হয়ে আছে জল-স্থল-অন্তরীক্ষ। কোনো ভৌগোলিক সীমা দ্বারা এরা সীমাবদ্ধ নয়। সারা বিশ্বে এরা উদারতার প্রমান দিয়ে গেছে। শুধু কুড়িয়ে নিতে জানলেই হল। কবি নিজের প্রাণ ভরে, সকল কৌতূহল মিটিয়ে নিয়েছে প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে।
খ। মানুষকে দিল খোলা হওয়ার শিক্ষা কে দেয়? দিল খোলা হওয়ার দরকার কী?
উত্তর: খোলা মাঠ মানুষকে দিল খোলা হওয়ার শিক্ষা দেয়।
বর্তমানে মানুষ হয়ে উঠেছে সংকীর্ণ মানুসিকতার । মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক খুবই নীরস হয়ে উঠছে। মানুষ মন খুলে কথা বলা দিনে দিনে ভুলে যাচ্ছে । মানুষের মনে নানান ধরনের প্যাঁচ- গোচ দিয়ে ভরে যাচ্ছে। যার কারণে পরিবেশের সাম্যতা দিনের পর দিন লোভ পাচ্ছে। তাই কবি এই কবিতায় সকলকে মন খুলে বাঁচতে বলেছে। মাঠের সাথে তুলনা করে মানুষকে দিল খোলা হতে বলেছে। মাঠের বুকটা যেমন অনেকটা খোলামেলা সবার জন্য, তেমনই মানুষকেও তার কাছ থেকে দিল খোলা হওয়ার শিক্ষা নিতে বলেছে।
গ। “মাটির কাছে সহিষ্ণুতা, পেলাম আমি শিক্ষা”
কোন্ কবিতার অংশ ও কবি কে?
– কথাটির অর্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:”মাটির কাছে সহিষ্ণুতা, পেলাম আমি শিক্ষা”- লাইনটি ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার, কবি হলেন – সুনির্মল বসু ।
কবি বলতে চেয়েছেন সবচেয়ে প্রাণবন্ত পাঠশালা হল প্রকৃতি। প্রকৃতির কাছ থেকে আমরা সবচেয়ে কঠিন জিনিসগুলোর শিক্ষা পেয়ে থাকি। তেমনই মাটির কাছ থেকে আমরা সহিষ্ণুতার শিক্ষা পাই। মাটি যেমন ঝড়, বৃষ্টি, রোদ, খরা, বন্যা প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে সহ্য করে দিনের পর দিন গাছপালাকে তার বুকের মাঝে আগলে রাখে, তেমনই কবি মাটির কাছ থেকে সহিষ্ণুতার শিক্ষা পেয়েছে।
ঘ। ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটির মর্মকথা লেখো।
উত্তর:’সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটি সুনির্মল বসুর লেখা। এই কবিতায় কবি প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষালাভের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি প্রকৃতির কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষালাভ করেছেন। তার কাছে প্রকৃতির শিক্ষাই হল শ্রেষ্ঠ শিক্ষা। যেমন আকাশ তাকে উদার হতে শিখিয়েছে, বাতাস তাকে কাজ করার মন্ত্রণা দিয়েছে। পাহাড়ের কাছ থেকে তিনি মৌন -মহান হতে শিখেছে। খোলামাঠ তাকে দিল খোলা হওয়ার উপদেশ দিয়েছে। সূর্যের কাছ থেকে নিজের তেজে জ্বলার ও চাঁদ তাকে মধুর কথা বলতে শিখিয়েছে। মাটি তাকে সহিষ্ণুতার শিক্ষা দিয়েছে। পাথরের মত কর্মে কঠোর হতে শিখেছে। কবি সকলের উদ্দেশ্যেই প্রকৃতির কাছ থেকে পাঠ লাভের কথা তুলে ধরেছেন এই কবিতার লাইনগুলোর মধ্যে দিয়ে।
ঙ। “শিখছি সে-সব কৌতূহলে” কেন বক্তা কৌতূহলে সব কিছু শিখছেন?
উত্তর: এখানে বক্তা হলেন কবি সুনির্মল বসু। সব বিষয়ের প্রতি কৌতূহল থেকে তিনি পৃথিবীর জটিল জিনিস গুলো জানতে পেরেছেন। তার মধ্যে জানার কৌতূহল না থাকলে তিনি এতকিছু শিখতে পারতেন না। সবার মধ্যে এই জানার কৌতূহল থাকলে কোনো জিনিস শিখতে পারাটা কঠিন মনে হবে না। কৌতূহল থেকেই কবি অনেক কিছু শিখতে পেরেছে।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। চারটি করে সমার্থক শব্দ লেখো:
১) আকাশ –গগন, অম্বর, ব্যোম, অন্তরীক্ষ।
২) বায়ু- পবন, বাতাস, হাওয়া, বাই।
৩) নদী-তটিনী, স্রোতস্বিনী, তরঙ্গিণী, প্রবাহিণী।
৪) সূর্য- রবি, ভানু, তপন, প্রভাকর।
৫) চাঁদ- চন্দ্র, শশধর, শশী, সোম।
খ। নিম্নলিখিত শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো:
১) উদার –রামবাবু খুবই উদার মানুষ, হাত খুলে গরিবদের দান করেন।
২) মন্ত্র- ব্রাহ্মণ মন্ত্র বলে পূজা করে।
৩) পাহাড়-আমার পাহাড়ে বেড়াতে যেতে খুব ভালো লাগে।
৪) উপদেশ- গুরুজন ছোটদের ভালো উপদেশ দেয়।
৫) পাঠশালা – পাঠশালার একজন পণ্ডিতমশাই রামকে পড়াতে আসেন।
৬) কৌতূহলে –পড়াশোনার বিষয়ে জানার কৌতূহল সবার থাকা দরকার।
গ। নীচের বাক্যে দাগ দেওয়া শব্দগুলো কোন্ পদ তা লেখো:
১) কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাইরে।
কর্মী –বিশেষণ পদ।
২) শ্যাম বনানী সরসতা আমায় দিল ভিক্ষা।
ভিক্ষা- ক্রিয়া পদ।
৩) আকাশ আমায় শিক্ষা দিল উদার হতে ভাইরে।
উদার- বিশেষণ পদ।
ঘ। পদ পরিবর্তন করো:
১) মহান- মহত্ত্ব।
২) পাহাড়-পাহাড়ি
৩) শিক্ষা- শিক্ষিত
৪) কঠোর- কঠোরতা
৫) অন্তর-আন্তরিক
৬) দীক্ষা- দিক্ষিত
ঙ। শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১) কৌতুহল/কৌতূহল/কতূহল
শুদ্ধ- কৌতূহল
২) মৌন/মোন/মৌণ।
শুদ্ধ-মৌন
৩) ইংগিত/ইঙ্গীত/ইঙ্গিত।
শুদ্ধ-ইঙ্গিত
Work Book Solution
শব্দার্থ লেখো:
আমায়- আমাকে
মন্ত্র- একটি পবিত্র উচ্চারণ
মহান- উদার
দিল খোলা- খোলা মেলা হৃদয়ের
আপন- নিজের
সাগর- সমুদ্র
রত্ন- মণি- মুক্তা
কঠোর- কঠিন
বেগে- দ্রুত গতি
পাষাণ- পাথর
ঝরণা- ফোয়ারা
সহজ- সোজা
বনানী- অরণ্য
সরসতা – মধুরত্ব
বিশ্ব- পৃথিবী
মোর- আমার
সন্দেহ- সংশয়
ক। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখো:
১) ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটি কোন্ মূল উৎস থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘ সবার আমি ছাত্র ‘ কবিতাটি ‘আমার ছড়া’ মূল উৎস থেকে নেওয়া হয়েছে।
২) ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর:’সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটি সুনির্মল বসুর লেখা।
৩) সুনির্মল বসু কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:সুনির্মল বসু ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুলাই, বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মালখান নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৪) আকাশ কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর:আকাশ উদার হওয়ার শিক্ষা দেয়।
৫) কবি কাদের উদার হবার শিক্ষা দিয়েছেন?
উত্তর:কবি মানবজাতিকে উদার হবার শিক্ষা দিয়েছেন।
৬) কর্মী হবার মন্ত্র কবি কার কাছ থেকে পেয়েছেন?
উত্তর:কর্মী হবার মন্ত্র কবি বায়ুর কাছ থেকে পেয়েছেন।
৭) বায়ুর কাছে আমরা কী পাই?
উত্তর:বায়ুর কাছে আমরা কর্মী হবার মন্ত্র পাই।
৮) খোলা মাঠ কী উপদেশ দেয়?
উত্তর:খোলা মাঠ দিল খোলা হতে উপদেশ দেয়।
৯) আপন তেজে জ্বলতে কে মন্ত্রণা দেয়?
উত্তর: সূর্য আপন তেজে জ্বলার মন্ত্রণা দেয়।
১০) সূর্য কী মন্ত্রণা দেয়?
উত্তর:সূর্য আপন তেজে জ্বলার মন্ত্রণা দেয়।
১১) চাঁদ কবিকে কী শিখিয়েছে?
উত্তর:চাঁদ কবিকে মধুর কথা বলতে ও হাসতে শিখিয়েছে।
১২) সাগর ইঙ্গিতে কী শেখায়?
উত্তর:সাগর ইঙ্গিতে অন্তরকে রত্ন আকর করতে শেখায়।
১৩) আপন বেগে চলতে কে শিক্ষা দেয়?
উত্তর: আপন বেগে চলার শিক্ষা নদী দেয়।
১৪) ‘হইচই’ গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর:হইচই’ গ্রন্থটি সুনির্মল বসুর লেখা।
১৫) “পাষাণ দিল দীক্ষা”- পাষাণ কী দীক্ষা দিল?
উত্তর: “পাষাণ দিল দীক্ষা”- পাষাণ দীক্ষা দিল আপন কাজে কঠোর হতে।
১৬) ‘শ্যাম বনানী’ কথার অর্থ কী?
উত্তর: ‘শ্যাম বনানী’ কথার অর্থ সবুজ অরণ্য।
১৭) ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর’- কথাটি কোন্ কবিতার অংশ?
উত্তর: ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর’- কথাটি ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার অংশ।
১৮) সরসতা ভিক্ষা কে দিয়েছে?
উত্তর:সরসতা ভিক্ষা দিয়েছে শ্যাম বনানী।
১৯) ‘ছানাবড়া’ গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর:’ছানাবড়া’ গ্রন্থটি সুনির্মল বসুর লেখা।
খ। রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১) ‘পাহাড় শিখায় তাহার সমান
হই যেন ভাই মৌন-মহান’
অ) আলোচ্য অংশটি কোন্ কবিতার?
আ) কবির নাম কি?
ই) তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:
অ) আলোচ্য অংশটি ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার।
আ) কবির নাম সুনির্মল বসু।
ই) পাহাড়-পর্বত যেমন নীরবে সব কিছু সহ্য করে দাঁড়িয়ে থাকে, তেমনি আমরাও তারই মত অটল-অচলভাবে জীবনের পথে দাঁড়িয়ে থাকার ও সব কিছু সহ্য করার শিক্ষা পাহাড়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। নীরবতা পাহাড়কে মহৎ করেছে। আমরাও যেন তার মত নীরব অথচ মহৎ হতে পারি।
২) ‘শিখছি যে সব কৌতূহলে’
অ) কোন্ কবির, কোন্ কবিতার অংশ?
আ) কেন বক্তা কৌতূহল সহকারে সব কিছু শিখছেন?
উত্তর: অ) উক্ত লাইনটি সুনির্মল বসুর, ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার অংশ।
আ) এখানে বক্তা সুনির্মল বসুর কোনো কিছুকে জানার ও শেখার আগ্রহ খুব। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে তার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাস্থান হল প্রকৃতি। সব বিষয়ের প্রতি কৌতূহল থেকে তিনি পৃথিবীর জটিল জিনিস গুলো জানতে পেরেছেন। তার মধ্যে জানার কৌতূহল না থাকলে তিনি এতকিছু শিখতে পারতেন না। সবার মধ্যে এই জানার কৌতূহল থাকলে কোনো জিনিস শিখতে পারাটা কঠিন মনে হবে না। কৌতূহল থেকেই কবি অনেক কিছু শিখতে পেরেছে।
৩)’সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটি কবি কার কাছ থেকে কী শিক্ষা লাভ করেন?
উত্তর:’সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি আকাশের কাছ থেকে উদার হতে, বাতাসের কাছ থেকে কাজ করার, পাহাড়ের কাছ থেকে মৌন- মহান হতে, মাঠের কাছ থেকে দিল- খোলা হতে, সূর্যের কাছ থেকে নিজের তেজে জ্বলার, চাঁদের কাছ থেকে মধুর কথা বলার, সাগরের কাছ থেকে অন্তরকে রত্ন- আকর করার, নদীর কাছ থেকে আপন বেগে চলার, মাটির কাছ থেকে সহিষ্ণুতার, পাষাণের কাছ থেকে কঠোর হওয়ার শিক্ষা লাভ করেছেন।
৬) ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটিতে প্রকৃতির কাছ থেকে কি কি শিক্ষালাভ করেছে শিশু?
উত্তর:’সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটিতে প্রকৃতির কাছ থেকে শিশু ভিন্ন ধরনের শিক্ষালাভ করেছে। প্রকৃতির শিক্ষাই হল শ্রেষ্ঠ শিক্ষা। এখানে শিশু অর্থাৎ কবি প্রকৃতির কাছ থেকে উদারতা, কর্মদক্ষ,মহান, দিল খোলা হয়ে থাকার শিক্ষা পেয়েছে। সূর্যের কাছ থেকে নিজের তেজে জ্বলার এবং চাঁদের কাছ থেকে মধুর কথা বলতে শিখেছে। সাগরের ইঙ্গিত থেকে মনকে রত্ন- আকর করতে শিখেছে । আপন বেগে চলতে শিখেছে নদীর কাছ থেকে। সহিষ্ণুতা এবং কঠোর হবার শিক্ষাও তিনি লাভ করেছেন প্রকৃতির কাছ থেকে।
৮) ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটির মর্মার্থ লেখো।
উত্তর:’সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটি সুনির্মল বসুর লেখা। এই কবিতায় কবি বলতে চেয়েছেন প্রকৃতির শিক্ষাই হল শ্রেষ্ঠ শিক্ষা। তিনি প্রকৃতির থেকে শিক্ষালাভের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে প্রকৃতির কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষালাভ করা যায়। তার কাছে যেমন আকাশ তাকে উদার হতে শিখিয়েছে, বাতাস তাকে কাজ করার মন্ত্রণা দিয়েছে। পাহাড়ের কাছ থেকে তিনি মৌন -মহান হতে শিখেছে। খোলামাঠ তাকে দিল খোলা হওয়ার উপদেশ দিয়েছে। সূর্যের কাছ থেকে নিজের তেজে জ্বলার ও চাঁদ তাকে মধুর কথা বলতে শিখিয়েছে। মাটি তাকে সহিষ্ণুতার শিক্ষা দিয়েছে। পাথরের মত কর্মে কঠোর হতে শিখেছে। কবি সকলের উদ্দেশ্যেই প্রকৃতির কাছ থেকে পাঠ লাভের কথা তুলে ধরেছেন এই কবিতার লাইনগুলোর মধ্যে দিয়ে।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক) চারটি করে সমার্থক শব্দ লেখো:
বিদ্যালয়-পাঠশালা – স্কুল,শিক্ষা নিকেতন, বিদ্যাভবন
ভাই- ভ্রাতা, সহোদর, ভাইয়া, ভাইজান।
রাত্র-নিশি, রজনী, যামিনী, শর্বরী
বন- অরণ্য, জঙ্গল, বনানী, কানন
বায়ু-পবন, বাতাস, হাওয়া, বাই।
ঝরণা- ফোয়ারা, নির্ঝর, ধারা,
পাষাণ- শিলা, পাথর, প্রস্তুর,
খ) নিম্নলিখিত শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো:
শিক্ষা: পশুপাখি নিজে নিজে শিক্ষা লাভ করলেও মানুষকে শিক্ষা দিতে হয়।
জিনিস: রাম তার বাবার জন্য মস্ত বড়ো একটি জিনিস উপহার এনেছে।
ভিক্ষা: অনেক বয়স্ক মানুষ আছে ভিক্ষা করে দুবেলা খেয়ে বাঁচে ।
অন্তর: ভগবানের প্রতি ভালবাসা অন্তর থেকে আসে।
মধুর: সিমার গানের সুর অত্যন্ত মধুর ।
মন্ত্রণা: গুরুজনদের মন্ত্রনা ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগে।
সন্দেহ: কথায় কথায় সন্দেহ করাটা একটা বাজে কাজ।
বনানী: আমার বনানী পরিবেশ খুব ভাল লাগে ।
দীক্ষাঃ আমাদের গুরুর থেকে আমরা দীক্ষা নেই।
রত্নঃ আগেকার রাজা- রানীদের কাছে অনেক রত্নের ভাণ্ডার থাকত।
ইঙ্গিত: রাম গতকালের স্বপ্নে এক অঘটনের ইঙ্গিত পেয়েছিল।
মহান: হুমায়ুন একজন মহান প্রকৃতির লোক।
উদার: রাজা গরীবের প্রতি খুবই উদার।
গ) নীচের দেওয়া শব্দগুলো কোন্ পদ তা লেখো:
মহান – বিশেষণ
আমি-সর্বনাম
পাষাণ-বিশেষণ
সহিষ্ণুতা- বিশেষণ
বায়ু- বিশেষ্য
পৃথিবী- বিশেষ্য
মন্ত্র- বিশেষ্য
কৌতূহল-বিশেষণ
মেদুর-বিশেষণ
নতুন-বিশেষণ
বিরাট-বিশেষণ
সাগর-বিশেষ্য
আমার-সর্বনাম
সূর্য-বিশেষ্য
ঘ) পদ পরিবর্তন করো:
চাঁদ – চাঁদনি
পৃথিবী- পার্থিব
নতুন- নতুনত্ব
কথা-কথ্য
মন্ত্র- মন্ত্রণা
শিক্ষা- শিক্ষিত
প্রাণ-প্রাণী
মাটি- মেটে
তেজ-তেজী
ঙ) শুদ্ধ রূপটি লেখো:
মেদুর / মেদূর / মেদুড়
= মেদুর।
পাটশালা / পাঠসালা / পাঠশালা
= পাঠশালা।
দিক্ষা / দীক্ষা / দীখা
= দীক্ষা।
মন্ত্রনা / মন্ত্রণা / মনত্রনা
= মন্ত্রণা।
পৃথিবি / প্রীথিবী/পৃথিবী
= পৃথিবী।
পাসান / পাষাণ / পাষান
= পাষাণ।
ইংগিত / ইঙ্গীত / ইঙ্গিত
= ইঙ্গিত।
চ) বিপরীত শব্দ লেখো:
পাহাড়-সমতল
ছাত্র- ছাত্রী
বিরাট- ক্ষুদ্র
মধুর- তিক্ত
জ্বলতে- নিভতে
আকাশ- পাতাল
কাজ- অকাজ
প্রাণ- নিষ্প্রাণ
হাসতে- কাঁদতে
আপন- পর
নতুন- পুরান
সহজ- কঠিন
মৌন- মুখর
উদার- সংকীর্ণ
মহান- হীন
খোলা- বন্ধ
শিক্ষা-অশিক্ষা
ছ) লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
ছাত্র- ছাত্রী
নদী-নদ
ভাই- বোন
ঝ) গদ্যরূপ লেখো:
মোর- আমার
তাহার-তার
কঠোর-কঠিন
নাই- নেই
আপন-নিজ
বায়ুর-বাতাসের
ঞ) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। ………………তাহার সহজ………….
উত্তরঃ ঝরনা তাহার সহজ গানে
২। সূর্য আমায় …………… দেয়।
উত্তরঃ সূর্য আমায় মন্ত্রণা দেয়।
৩। আপন তেজে…………।
উত্তরঃ আপন তেজে জ্বলতে।
৪। এই পৃথিবীর বিরাট……………।
উত্তরঃ এই পৃথিবীর বিরাট খাতায়।
৫। ……………… যে সব পাতায় পাতায়।
উত্তরঃ পাঠ্য যে সব পাতায় পাতায়।
৬। …………… হবার ……… আমি
উত্তরঃ কর্মী হবার মন্ত্র আমি
৭। ………… কাছে পাইরে।
উত্তরঃ বায়ুর কাছে পাইরে।
৮। …………… মাঠের………/……… হই তাইরে।
উত্তরঃ খোলা মাঠের উপদেশে দিল -খোলা হই তাইরে।
ট) সঠিক উত্তরে (খ) চিহ্ন দাও:
১। শ্যাম বনানী মানুষকে (সরসতা / সজীবতা / বিরূপতা)-র শিক্ষা দেয়।
উত্তরঃ শ্যাম বনানী মানুষকে সরসতার শিক্ষা দেয়।
২। সাগরের অপর নাম (রত্নাকর / দিবাকর / ভাস্কর)।
উত্তরঃসাগরের অপর নাম রত্নাকর।
৩। মানুষ কর্মী হবার মন্ত্র লাভ করে (ঝরণা / আকাশ/ বাতাসের) কাছ থেকে।
উত্তরঃমানুষ কর্মী হবার মন্ত্র লাভ করে বাতাসের কাছ থেকে।
৪। ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার কবি (সুনির্মল ঘোষ / সুনির্মল কর / সুনির্মল বসু)।
উত্তরঃ ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার কবি সুনির্মল বসু ।
৫। ‘আমার ছড়া’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা হল (মা/ বিয়েবাড়ির মজা / সবার আমি ছাত্র)।
উত্তরঃ’আমার ছড়া’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা হল সবার আমি ছাত্র।
ঠ) নীচের পদ্যাংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
আকাশ আমায় শিক্ষা দিল
উদার হতে ভাইরে;
কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাইরে।
পাহাড় শিখায় তাহার সমান
হই যেন ভাই মৌন-মহান
খোলা মাঠের উপদেশে
দিল খোলা হই তাইরে।
সূর্য আমায় মন্ত্রণা দেয়
আপন তেজে জ্বলতে
১। একটি বাক্যে উত্তর লেখো:
ক) ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটির কবি কে?
উত্তর:’সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটির কবি সুনির্মল বসু ।
খ) নিজের তেজে জ্বলে ওঠার মন্ত্রণা দিয়েছেন কে?
উত্তর: নিজের তেজে জ্বলে ওঠার মন্ত্রণা দিয়েছেন সূর্য।
গ) মাঠ কবিকে কী উপদেশ দেন?
উত্তর:মাঠ কবিকে দিল খোলা হওয়ার উপদেশ দেন।
ঘ) মৌন-মহান হওয়ার শিক্ষা কবি কার কাছ থেকে পেয়েছেন?
উত্তর:মৌন-মহান হওয়ার শিক্ষা কবি পাহাড়ের কাছ থেকে পেয়েছেন।
ঙ) বায়ুর কাছ থেকে কবি কীসের মন্ত্র পেয়েছেন?
উত্তর:বায়ুর কাছ থেকে কবি কর্মী হওয়ার মন্ত্র পেয়েছেন।
চ) কবি কার কাছ থেকে উদার হওয়ার শিক্ষা পেয়েছিল?
উত্তর:কবি আকাশের কাছ থেকে উদার হওয়ার শিক্ষা পেয়েছিল।
২। শুদ্ধ অশুদ্ধ বাক্যটি নিবার্চন করো:
ক) আকাশ আমায় জ্ঞান দিলো।
উত্তর:অশুদ্ধ।
খ) সূর্য আমায় মন্ত্রণা দেয়।
উত্তর: শুদ্ধ।
গ) কর্মী হবার দীক্ষা আমি নদীর কাছে পাইরে।
উত্তর: অশুদ্ধ।
৩। শূন্যস্থান পূরণ করো:
ক) ………… হতে ভাইরে।
উত্তর: উদার হতে ভাইরে।
খ) …………… শিখায় তাহার সমান।
উত্তর:পাহাড় শিখায় তাহার সমান।
গ) খোলা মাঠের …………………
উত্তর:খোলা মাঠের উপদেশে ।
৪। সঠিক উত্তর নিবার্চন করো:
ক) আকাশ আমায় –
অ) শিক্ষা দিল
আ) যন্ত্রণা দিল
ই) ভালোবাসা দিল
ঈ) আর্শীবাদ করল
উত্তরঃ অ) শিক্ষা দিল।
খ) কর্মী হওয়ার মন্ত্র পাই-
অ) আকাশের কাছে
আ) সূর্যের কাছে
ই) বায়ুর কাছে
ঈ) এদের কোনোটিই নয়
উত্তরঃ ই) বায়ুর কাছে
গ) সূর্য আমায়
অ) মন্ত্রণা দেয়
আ) যন্ত্রণা দেয়
ই) দুঃখ দেয়
ঈ) ‘আ’ ও ‘ই’ ঠিক
উত্তরঃঅ) মন্ত্রণা দেয়
৪। নীচের অনুচ্ছেদগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
সুনির্মল বসু ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুলাই বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মালখান নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পশুপতি বসু তাঁকে কবিতা রচনায় অনুপ্রেরণা যোগায়। ১৯২০ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করার পর তিনি কলকাতায় সেন্ট পলস কলেজে ভর্তি হন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হল ‘হাওয়ার দোলা’, ‘ছানাবড়া’, ‘হইচই’, ‘হুলস্থুল’, ‘বীর শিকারি’, ‘আমার ছড়া’ ইত্যাদি।
ক) সুনির্মল বসু কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:সুনির্মল বসু ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুলাই, বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মালখান নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
খ) সুনির্মল বসুর পিতার নাম কি এবং তার কর্মস্থল কোথায়?
উত্তর:সুনির্মল বসুর পিতার নাম পশুপতি বসু, তার কর্মস্থল বিহারের গিরিডি নামক স্থানে।
গ) কবি কীসের দ্বারা অনুপ্রেরণা পেয়ে কবিতা রচনায় মনোনিবেশ করেন?
উত্তর:কবি তার পিতার দ্বারা অনুপ্রেরণা পেয়ে কবিতা রচনায় মনোনিবেশ করেন।
ঘ) সুনির্মল বসু কবে, কোথা থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন?
উত্তর:সুনির্মল বসু ১৯২০ সালে, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
ঙ) সুনির্মল বসু লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:সুনির্মল বসু লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম ‘ছানাবড়া’ও ‘হইচই’।
Chapter 8 পথের গল্প