Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 4 মা
Complete solutions for the Chapter 4 মা of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
মা
শব্দার্থ লেখো:
সুধা – অমৃত।
কোনোখানে-কোথায়
মেশা- মেলা
আদর- স্নেহ
দুখ- ক্লেশ
ভরান- পূর্ণ করে
দিনরাত- সারাদিন সারারাত
ঘন- পুরু
ভাবনা- মানসিক অবস্থা
দোষ- পাপ
পরাণ- প্রাণ
সবে-মাত্র
গরবে-গর্ব
নতকরি-নিচু করি
মা-জননী
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখো:
ক) বিদ্রোহী কবি কাকে বলা হয়?
উত্তর: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বলা হয়।
খ) কাজী নজরুল ইসলাম কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
গ) কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ঘ) ‘মা’ কবিতায় কার প্রশস্তি করা হয়েছে?
উত্তর:’মা’ কবিতায় মায়ের প্রশস্তি করা হয়েছে।
ঙ) মায়ের কথায় কী ঝরে?
উত্তর: মায়ের কথায় সুধা ঝরে ।
চ) মায়ের কোলেতে শুয়ে কী হয়?
উত্তর:মায়ের কোলে শুয়ে প্রাণ টা জুড়িয়ে যায় ।
ছ) সন্তানের ‘যাতনা’ কীসে দূর হয়?
উত্তর: সন্তানের ‘যাতনা’ মায়ের শীতল কোলে শুলে দূর হয়।
জ) ‘মা’ দিবানিশি কী ভাবেন?
উত্তর:’মা’ দিবানিশি সন্তানেরা যাতে কষ্ট না পায় আর কিভাবে বড় হয়ে সঠিক মানুষ হবে সেই ব্যাপারে ভাবেন ।
ঝ) ‘মা’ কবিতাটির উৎসগ্রন্থের নাম কি?
উত্তর:’মা’ কবিতাটির উৎসগ্রন্থের নাম হল ‘ঝিঙেফুল’।
ঞ) ‘মা’ হাসি মুখে কী সহ্য করেন?
উত্তর:’মা’ হাসি মুখে সারাদিনের উৎপাত ও আবদার সহ্য করেন।
ট)”নিজে রণ নাহি খেয়ে”-কে না খেয়ে থাকেন?
উত্তর:মা নিজে সন্তানদের জন্য না খেয়ে থাকেন ।
ঠ) ‘দিবানিশি’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর:’দিবানিশি’ শব্দের অর্থ দিন রাত।
ড) ‘নত করি’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: এখানে ‘নত করি’বলতে মায়ের সামনে সকল সন্তানদের মাথা নিচু করে মা আমার বলতে বলা হয়েছে ।
ঢ) ‘আয় তবে ভাই বোন’-কে কীসের জন্য এই আহ্বান জানিয়েছেন?
উত্তর:’আয় তবে ভাই বোন’ – এখানে কবি সকল ভাই বোনেদের গান গেয়ে মায়ের পদধূলি মাথায় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
ণ) ‘সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর:’সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা।
ত) ‘ফণিমনসা’ কাব্যের লেখক কে?
উত্তর:’ফণিমনসা’ কাব্যের লেখক কাজী নজরুল ইসলাম।
থ) কে, কার সামনে মাথা নত করেছেন?
উত্তর: সকল সন্তানেরা, মায়ের সামনে মাথা নত করেছেন।
২। রচনাধর্মী প্রশ্ন:
ক) “আর কোনোখানে কেহ পাইবে না ভাই”
অ) কোন্ কবির, কোন্ কবিতার অংশ?
আ) মায়ের ভালোবাসা সম্পর্কে কবি কী বলেছেন তা সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ অ) বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘মা’ কবিতার অংশ।
আ) মায়ের দেওয়া ভালোবাসা, আদর এবং সোহাগ আর কোথাও পাওয়া যাবে না। মায়ের কথা বলতে গিয়ে কবি একথা বলেছেন। জগতে সব কিছুই পাওয়া যায়। কিন্তু মায়ের মতো ভালোবাসা, সন্তানের প্রতি তাঁর আগ্রহ এবং ব্যস্ততা আর কোথাও পাওয়া যায় না। মায়ের মতো দ্বিতীয় কেউ হয় না। মা এমনই একজন, তিনি সেভাবে নিজ সন্তানকে ভালোবাসেন, এমন ভালবাসা কোন মূল্যই কোথাও পাওয়া যায় না।
খ) “হেরিলে মায়ের মুখ / দূরে যাবে সব দুখ”- মর্মার্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:উক্ত লাইনটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘মা’ কবিতার অংশ। প্রতিটি সন্তানের শ্রেষ্ঠ, নিরাপদ আশ্রয়স্থল হল মা । মায়ের মত বিশ্বস্ত আর কেউ নেই এ জগতে । মায়ের কথাগুলো এতটাই মধুর যে মায়ের কথা শুনলে সকল ক্লান্তি মিটে যায়। এই পৃথিবীতে মায়ের মতন করে কেউ কোনো সন্তানকে বুঝবে না । সন্তানেরা অশান্তিতে থাকলে মায়েরা এমনিতেই সেটি বুঝতে পারে । মায়েরা সন্তানের মঙ্গল কামনায় সমস্ত রকম চিন্তা করে । তাই কবি এই কবিতায় বলতে চেয়েছেন যে মায়ের মুখ দেখলে, সকল দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায় ।
গ) “দিবিনিশি ভাবনা”
অ) দিবানিশি ভাবনাটি কার?
আ) কাকে নিয়ে তার ভাবনা?
ই) কখন, কার বুক ভরে ওঠে?
ঈ) মায়ের আশিষে কী হয়?
উত্তর:অ) “দিবিনিশি ভাবনা” – দিবানিশি ভাবনাটি মায়ের ।
আ) সন্তানকে নিয়ে তার ভাবনা।
ই) সন্তানের সফলতায় মায়ের বুক ভরে ওঠে।
ঈ) কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘মা’কবিতায় কবি মায়ের প্রশস্তি বিস্তার করেছেন । মায়েরা তার সন্তানদেরকে নিয়ে দিন রাত ভেবে যায় । কিভাবে তার সন্তান ভালো থাকবে । কিভাবে তার সন্তান বড় হয়ে ভালো মানুষ হবে । মায়েরা কখনো কোন সন্তানের দুঃখ দেখতে পারে না । ছেলের ভালো কাজে মায়ের বুক গর্বে ভরে ওঠে । মায়ের আশীর্বাদ সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার । মায়ের আশীর্বাদে সকল দুঃখ মুছে গিয়ে সন্তানের জীবন সুখময় হয়ে ওঠে ।
ঘ) ‘মা যেন ত্যাগের মূর্ত প্রতীক’-আলোচনা করো।
উত্তর: মায়ের মত পরম আত্মীয় এবং একান্ত আপনজন আর কেউ নেই এই পৃথিবীতে। তিনি হল স্বর্গের চেয়েও মহান ও উদার। তার কাছে অসাধারন সহ্য শক্তি আছে । মাটির থেকেও তিনি অনেক সহনশীল। নিঃস্বার্থ ভাবে তিনি সন্তানদেরকে ভালবেসে যান । সন্তানের এত জ্বালাতন, উৎপাত তিনি হাসি মুখে মেনে নেন । মায়েরা সন্তানদের সকল আবদার হাসিমুখে মেনে নিয়ে সেটি পূরণ করবার চেষ্টা করে যায়। তিনি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে বড় করে তোলে ।
ঙ) ‘মা’-র বড়ো কেউ নাই কেউ নাই, কেউ নাই।”
অ) আলোচ্য অংশটির রচয়িতা কে?
আ) কোন্ কবিতার অংশ?
ই) প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:’মা’-র বড়ো কেউ নাই কেউ নাই, কেউ নাই।”- আলোচ্য অংশটির রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম।
আ) ‘মা’ কবিতার অংশ।
ই) ‘মা’-র বড়ো কেউ নাই কেউ নাই, কেউ নাই।”- কবি এই কবিতায় বলেছেন যে মায়ের মতন আপনজন কেউ হয় না । তিনি প্রতিটি সন্তানের বিশ্বস্ত আশ্রয়স্থল । তিনি ছোট থেকে সন্তানদেরকে স্নেহ, মায়া, মমতা এবং অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তোলেন । তিনি সবসময় সন্তানের জন্য মঙ্গল কামনা করেন । নিঃস্বার্থ ভাবে সন্তানের সকল আবদার মেটান । সন্তানের সকল উৎপাত হাসি – মুখে সহ্য করে যান। তাই মায়ের মত পরম আত্মীয় কেউ নেই এই দুনিয়ায়।
চ) “কীসে মানুষ হব, বড়ো হবো কীসে।”
অ) কার লেখা, কোন্ কবিতার অংশ?
আ) লাইনটি মর্মার্থ ব্যাখ্যা করো?
উত্তর:অ) উক্ত লাইনটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘মা’ কবিতার অংশ।
আ) মায়ের কাছে সন্তানেরা যে কতটা মুল্যবান সেটি হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না । মা তার সন্তানের সুখের জন্য সব অসম্ভব কে সম্ভব করতে পারে । মায়ের মত নিজের জন আর কেউই নয় । তিনি সন্তানের মঙ্গলার্থে সবসময় ব্যস্ত থাকেন । সন্তানের কিসে ভালো হবে কিসে খারাপ হবে সব দিকে নজর রাখেন তিনি। মায়েরা কখোনো ছেলেমেয়েদের দুঃখ – কষ্ট সহ্য করতে পারে না । তিনি ছোটো থেকে কিভাবে সন্তানদের সুশিক্ষায় ভালোভাবেমানুষ করবে সেই চিন্তায় থাকেন । তিনি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া ও মমতা দিয়ে সন্তানদেরকে বড় করে তোলেন।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক) পদ পরিবর্তন করো:
নিশি – নৈশ
বড়-বড়ত্ব
মুখ- মৌখিক
দুঃখ-দুঃখী
সোহাগ-সোহাগী
দোষ- দোষী
দুখ- দুখি
দূর-দূরত্ব
কথা- কথ্য
সুধা- সৌধ
দিন– দৈনিক
খ) বিপরীত শব্দ লেখো:
পদ – মস্তক
সুধা- বিষ
সুখ-দুখ
হাসি-কান্না
ভোলে- মনে রাখে
দিবা- নিশি
শীতল- উষ্ণ
দোষ- নির্দোষ
গরবে-লজ্জা
আশিসে- অভিশাপে
আদর-অনাদর
দূরে- কাছে
দুখ- সুখ
নিশি-দিবা
গ) বাক্য রচনা করো:
মা- বিনা স্বার্থে ভালোবাসে শুধু-ই আমার মা।
পদধূলি: মায়ের পদধূলিতে আশিস থাকে ।
গরব: সন্তানের ভালো কাজে মায়েরা গরব করে ।
ভাবনা: রামের সবসময় পড়ার ভাবনা আসে মাথায় ।
ক্লেশ:মায়ের আদরে মুছে যায় সব ক্লেশ ।
দোষী: রামের কাজটি খারাপ হওয়ার জন্য রানি দোষী ।
জুড়ায়: চারিদিকের শীতল বাতাসে শরীর জুড়িয়ে গেল ।
শীতল:সারাদিনের বৃষ্টিতে পরিবেশটি শীতল হয়ে উঠেছে ।
সোহাগ: মায়ের মত সোহাগ কেউ করে না ।
সুধা: সুধা পান করলে মরণ কে জয় করা যায় ।
ঘ) শুদ্ধ রূপটি লেখো:
ক্লেশ/ ক্লেস / ক্লেষ
শুদ্ধঃ ক্লেশ
পরান / পরাণ / পড়ান
শুদ্ধঃপরান
শীতোল / শিতল / শীতল
শুদ্ধঃশীতল
দোষী / দোসী / দোশী
শুদ্ধঃদোষী
ত্যাজ / ত্যেজে / ত্যজে
শুদ্ধঃত্যজে
উৎপাত / উতপাৎ / উৎপাৎ
শুদ্ধঃউৎপাত
জুরায় / যুড়ায় / জুড়ায়
শুদ্ধঃজুড়ায়
যাতনা / জাতনা / যাতনা
শুদ্ধঃযাতনা
সুহান / সোহাগ / সৌহাগ
শুদ্ধঃসোহাগ
ঙ) সমার্থক শব্দ লেখো:
আদর – সোহাগ
মমতা- মায়া
পদ- পা
নিশি- রাত
ভাই- ভ্রাতা
ছেলে- পুত্র
স্নেহ- ভালোবাসা
প্রীতি- প্রেম
পরাণ– প্রাণ
বোন- ভগিনী
যাতনা- বেদনা
দিন- দিবা
মায়া-মমতা
মুখ-মুখমণ্ডল
সুধা-অমৃত
মা- জননী
শির- মাথা
চ) সন্ধি বিচ্ছেদ করো:
পদধূলি = পদ +ধূলি
দিবানিশি= দিবা + নিশি
ছ) লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
মায়ের= বাবার
মা= বাবা
ভাই= বোন
বোন= ভাই
ছেলেরই= মেয়েরই
জ) এক কথায় প্রকাশ করো:
অতিরিক্ত কষ্ট = ক্লেশ।
পায়ের ধুলো= পদধূলি
দিন রাত প্রতিনিয়ত= দিবানিশি
অতিরিক্ত আদর ও ভালোবাসা= সোহাগ
ঠ) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। কীসে………… হব, …………হব
উত্তর: কীসে মানুষ হব, বড়ো হব কীসে।
২। শত দোষে………তবু মাতো …………… না।
উত্তর:শত দোষে দোষী তবু মাতো ত্যজে না।
৩। সব ………… মুখে, ওরে সে যে…………।
উত্তর:সব সন হাসি মুখে, ওরে সে যে মা।
8।……………… দিন রাত।
উত্তর: আবদার দিন রাত।
৫। কত করি………।
উত্তর:কত করি উৎপাত ।
৬।……… বড়ো কেউ নাই
উত্তর:মা বড়ো কেউ নাই।
৭। নত করি ………..সবে ……… ! মা আমার!
উত্তর:নত করি বল সবে মা আমার ! মা আমার!
৮। মায়ের ………………শুয়ে জুড়ায় পরান।
উত্তর:মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরান।
৯। সব দুঃখ সুখ হয় মায়ের………………।
উত্তর:সব দুঃখ সুখ হয় মায়ের আশিসে।
১০। কত না ………… মাতা বুকটি……………
উত্তর: কত না সোহাগে মাতা বুকটি ভরান।
ড) সঠিক উত্তরে (খ) চিহ্ন দাও:
১। ‘মা’ কবিতাটির উৎস গ্রন্থ (সর্বহারা / বিশের বাঁশি / ঝিঙেফুল)।
উত্তর:’মা’ কবিতাটির উৎস গ্রন্থ- ঝিঙেফুল।
২। ‘মা’ কবিতাটির রচয়িতা (সত্যেন্দ্রনাথ / রবীন্দ্রনাথ / নজরুল)।
উত্তর:’মা’ কবিতাটির রচয়িতা- নজরুল।
৩। ছেলের ভালো কাজের জন্য (গর্বে / দুঃখে / আনন্দে) মায়ের বুক ভরে ওঠে
উত্তর:ছেলের ভালো কাজের জন্য গর্বে মায়ের বুক ভরে ওঠে।
৪। মায়ের কথায় (সুধা / অমৃত/গরল) মেশা থাকে।
উত্তর:মায়ের কথায় সুধা মেশা থাকে।
৫। কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম (চরুলিয়া / বামুটিয়া/ নৈহাটি) গ্রামে।
উত্তর:কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম চরুলিয়া গ্রামে।
৬। কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম (১৮৯৯ / ১৮৮৯ / ১৮৯৫) সালে।
উত্তর:কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৮৯৯ সালে।
৪। নিচের পদ্যাংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
হেরিলে মায়ের মুখ
দূরে যাবে সব দুখ,
মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরান,
মায়ের শীতল কোলে
সকল যাতনা ভোলে
কত না সোহাগে মাতা বুকটি ভরান
কত করি উৎপাত
আবদার দিন রাত,
সব সন হাসি মুখে, ওরে সে যে মা!
১। একটি বাক্যে উত্তর লেখো:
ক) কার মুখ দেখলে সব দুঃখ দূরে চলে যায়?
উত্তর:মায়ের মুখ দেখলে সব দুঃখ দূরে চলে যায়।
খ) মায়ের শীতল কোল পেয়ে আমরা কী ভুলে যাই?
উত্তর:মায়ের শীতল কোল পেয়ে আমরা সকল যন্ত্রণা ভুলে যাই।
গ) কোথায় শুয়ে আমাদের প্রাণ জুড়ায়?
উত্তর:মায়ের কোলে শুয়ে আমাদের প্রাণ জুড়ায়।
ঘ) মা হাসি মুখে কি সহ্য করেন?
উত্তর:মা হাসি মুখে উৎপাত এবং সব ধরনের আবদার সহ্য করেন।
ঙ) মা তার বুকটি কীসের দ্বারা ভরিয়ে তোলেন?
উত্তর:মা তার বুকটি সোহাগে ভরিয়ে তোলেন।
চ) ‘মা’ কবিতাটির কবি কে?
উত্তর:’মা’ কবিতাটির কবি হল কাজী নজরুল ইসলাম ।
২। সঠিক উত্তর নিবার্চন করো:
ক) কত করি-
(অ) আনন্দ
(আ) উৎপাত
(ই) দুঃখ
(ঈ) কান্না
উত্তর:(আ) উৎপাত
খ) কত না সোহাগ বুকটি ভরান-
(অ) বাবা
(আ) মা
(ই) ভাই
(ঈ)বোন
উত্তর:(আ) মা
গ) হেরিলে মায়ের-
(অ) মুখ
(আ) স্নেহ
(ই) চরণ
(ঈ) হাত
উত্তর:(অ) মুখ
৩। শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বাক্যটি নিবার্চন করো:
ক) কত করি আনন্দ
উত্তর:কত করি আনন্দ- অশুদ্ধ
খ) সকল যাতনা ভোলে
উত্তর:সকল যাতনা ভোলে- শুদ্ধ
গ) হেরিলে মায়ের মুখ।
উত্তর:হেরিলে মায়ের মুখ।-শুদ্ধ
৪। শূন্যস্থান পূরণ করো:
ক) দূরে যাবে সব……
= দুখ ।
খ) মায়ের …………কোলে।
= শীতল ।
গ) আবদার…………।
= দিন রাত ।
৫। নীচের অনুচ্ছেদগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯১-১৯৭৬) বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ফকির আহমেদ ও মায়ের নাম জাহেদা খাতুন। নজরুলের বাল্যনাম দুখু মিঞা। অতি দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে তাঁর শৈশব ও বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৮ বছর বয়সে তিনি বাঙালি রেজিমেন্টে ভর্তি হন এবং সৈনিক বৃত্তি অবলম্বন করেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম ‘মুক্তি’। তিনি ‘নবযুগ’, ‘ধুমকেতু’ ও ‘লাঙল’ নামে তিনটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
১। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
ক) কাজী নজরুল ইসলাম কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯১ সালে, বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
খ) নজরুলের পিতা ও মাতার নাম কি?
উত্তর:নজরুলের পিতা ফকির আহমেদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন।
গ) নজরুলের সম্পাদিত দুটি পত্রিকার নাম লেখো।
উত্তর:নজরুলের সম্পাদিত দুটি পত্রিকার নাম ‘নবযুগ’ও ‘ধুমকেতু’।
ঘ) নজরুল ইসলামের ছদ্মনাম কি ছিল?
উত্তর:নজরুল ইসলামের ছদ্মনাম ছিল ধূমকেতু।
ঙ) নজরুল কত বছর বয়সে বাঙালি রেজিমেন্টে ভর্তি হন এবং কোন্ বৃত্তি গ্রহণ করেন?
উত্তর: নজরুল ১৮ বছর বয়সে বাঙালি রেজিমেন্টে ভর্তি হন এবং সৈনিক বৃত্তি গ্রহণ করেন।
Text Book Solutions
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
ক। ‘মা’ কবিতাটি কার লেখা, কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ ‘মা’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘ঝিঙেফুল’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
খ। কার কথায় সুধা ঝরে?
উত্তরঃ মায়ের কথায় সুধা ঝরে ।
গ। পৃথিবীতে কে সবার বড়ো?
উত্তরঃ পৃথিবীতে মায়ের থেকে বড় কেউ নেই ।
ঘ। সব দুঃখ কীভাবে দূর হয়?
উত্তরঃ মায়ের কোলেতে শুলে সব দুঃখ দূর হয় ।
ঙ। কার কোলে শুয়ে পরান জুড়ায়?
উত্তরঃ মায়ের কোলে শুয়ে পরান জুড়ায়।
চ। দিবানিশি কে, কাদের জন্য ভাবেন?
উত্তরঃ দিবানিশি মায়েরা, সন্তানদের জন্য ভাবেন।
ছ। মা হাসি মুখে সন্তানের সকল আবদার ও উৎপাত সহ্য করেন।
উত্তরঃ মা হাসি মুখে কী সহ্য করেন
জ। কাদের মুখ চেয়ে কে খান না?
উত্তরঃ সন্তানদের মুখ চেয়ে মায়েরা খান না ।
ঝ। শিরে কী নিতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ মায়ের পদধূলি শিরে নিতে বলা হয়েছে ।
ঞ। ‘নত করি’ বলতে কী বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ‘নত করি’ বলতে সকল সন্তানদেরকে মায়ের সামনে মাথা নিচু করার কথা বলা হয়েছে ।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। “হেরিলে মায়ের মুখ, দূরে যাবে সব দুখ-“
– কথাগুলি কার কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে?
– কথাটির তাৎপর্য গুছিয়ে লেখো।
উত্তর:- কথাগুলি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘মা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
– মা হলেন সহিষুতার প্রতিমূর্তি। জন্মদায়িনী মা-এর স্নেহ ভালোবাসায় সবার প্রাণ-মন জুড়িয়ে যায়। প্রতিটি মানুষের জীবনে দুঃখ আসে। মায়ের স্নেহ-ভালোবাসা ভরা মুখের হাসি সব যন্ত্রণাকে ভুলিয়ে দেয়। মায়ের মুখ দর্শনই তীর্থদর্শন। তাই মায়ের মুখ দেখলেই সব দুঃখ যন্ত্রণার লাঘব হয়।
খ। “আয় তবে ভাই বোন, আয় সবে আয় শোন-“
– কোন কবিতা থেকে এবং কোন্ মূল কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
কবি কাদের কেন আহ্বান করছেন?
উত্তর:”আয় তবে ভাই বোন, আয় সবে আয় শোন-“কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘মা’ কবিতা থেকে এবং ‘ঝিঙ্গেফুল’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
এই কবিতায় কবি সকল ভাই বোনেদের আহ্বান করছেন মায়ের নামে গান করার জন্য। সবাইকে মায়ের পদধূলি মাথায় নিতে বলেছেন। মায়ের আশীর্বাদে সন্তানেরা সকল সাফল্য অর্জন করতে পারে জীবনে । তার মত আপনজন কেউ নেই আর এই পৃথিবীতে। তাই তিনি সবাইকে মায়ের সামনে মাথা নিচু করে মায়ের জয় জয়কার করতে বলেছেন ।
গ। “কত করি উৎপাত আবদার দিন রাত,”
– কার লেখা কোন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে?
– যার কাছে আবদার, তিনি কী করেন?
উত্তর:”কত করি উৎপাত আবদার দিন রাত,”- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘মা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
সন্তানেরা মাকে সারাক্ষন উৎপাত করে তবুও মা কখনো অসহ্যবোধ করে না । তিনি হাসিমুখে সবটা সহ্য করে যায় । সন্তানের সকল আবদার হাসি মুখে মেনে নেন মায়েরা । নিজের সবকিছু দিয়ে সন্তানদের ভালো রাখার চেষ্টা করেন । মায়েরা নিজেরা না খেয়ে সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেয় । ছেলে- মেয়েরা হাজার দোষ করলেও মায়েরা ক্ষমা করে দেয় ।
ঙ। “সব সন হাসি মুখে,”
কে কী হাসিমুখে সহ্য করেন আলোচনা করো।
উত্তর: “সব সন হাসি মুখে,”- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘মা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে মায়ের সহ্য করার কথা বলা হয়েছে। তিনি সন্তানের সকল দুষ্টামি, অত্যাচার হাসিমুখে সহ্য করে। কখনও বিরক্ত বোধ করে না । সন্তানের সব আবদার মেটানোর চেষ্টা করে। নিজের সাধ্যের বাইরে থাকলেও, সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য একজন মা সবরকম চেষ্টা করতে পারে। কেবল যাতে তার সন্তান সর্বদা হাসিখুশি থাকতে পারে।
চ। “আর কোনোখানে কেহ পাইবে না ভাই।”
আলোচনা করো।
উত্তর: সকল সন্তানের সবচেয়ে শান্তির আশ্রয়স্থল হল মা । তার মতন একান্ত নিজের আর কেউ নেই । তার কাছ থেকে যে মায়া মমতা, ভালোবাসা পাওয়া যায় সেটা আর কোথাও পাওয়া যাবে না। মায়ের মতন ভালো কেউ বাসবে না । মায়ের স্নেহাশিস আর আশিসের মত অমুল্য পাথেয় আর কোথায় মিলবে না । মা হল চিরস্মরণীয় এবং অতুলনীয় ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। পদ পরিবর্তন করো:
১১) দুখ-দুখী।
২) গরব –গর্বিত
৩) সুখ- সুখি
৪) শীতল-শীতলতা
৫) হাসি- হাস্য
৬) ক্লেশ- ক্লিষ্ট
খ। বিপরীত শব্দ লেখো:
১) দিন-রাত।
২) সুধা- বিষ
৩) শীতল – উষ্ণ
৪) হাসি- কান্না
৫) দুখ- সুখ
গ। বাক্য রচনা করো:
১) বুক-সন্তানের গর্বে পিতামাতার বুক ফুলে ওঠে।
২) আশিস- মায়ের আশিসে জীবন সুখময় হয়ে ওঠে ।
৩) আবদার – সে তার মায়ের কাছে একটি বই এর আবদার করেছে ।
৪) উৎপাত- মশাগুলো খুব উৎপাত করছে ।
৫) দিবানিশি- দিবানিশি সে পরিশ্রম করে যায় ।
৬) আদর- মায়েরা আদর ভালোবাসা দিয়ে সন্তানদেরকে বড় করে তোলে ।
ঘ। শূদ্ধ রূপটি লেখো:
১১) উৎপাত/উতপাৎ/উৎপাৎ
শুদ্ধ – উৎপাত
২) সুধা/সুধা/সুর্ধা
শুদ্ধ – সুধা
৩) পদধুলি/পদধূলো/পদধূলি
শুদ্ধ – পদধূলি
Chapter 13: নিশাচর