Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 13 নিশাচর
Complete solutions for the Chapter 13 নিশাচর of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
নিশাচর
শব্দার্থ
ঠুকরিয়ে– ঠোঁট দিয়ে আঘাত করে।
সইতে- সহ্য করতে
ঝলসে যায়- পুড়ে যায়
নেহাত- একেবারে
ঝাপটে- হঠাৎ জোরে আঘাত
অনিষ্ট- ক্ষতি
মিছামিছি-মিথ্যে
গা ঢাকা দিয়ে- লুকিয়ে
অদ্ভুত- সৃষ্টিছাড়া
উৎসাহ- উদ্দীপনা
ক্ষুদে- খুব ছোট
রাক্ষসদের- দৈত্য
ধরণ-রকম
খাটতে-পরিশ্রম করতে
চলাফেরা- হাঁটাচলা
খোঁজে- সন্ধানে
শরীর- দেহ
পছন্দ- ভালোলাগা
আড়াল- লুকিয়ে রাখা
চালচলন- রীতিনীতি
পোকামাকড়- কীট- পতঙ্গ
নিশাচর- রাত্রিকালে বিচরণকারী
ঝোপ- ছোট গাছের জঙ্গল
শক্ত- কঠিন
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখো:
১) ‘নিশাচর’ গদ্যাংশটির মূলগ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: ‘নিশাচর’ গ্যদাংশটির মূলগ্রন্থের নাম ‘সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলি’।
২) ‘নিশাচর’ গদ্যাংশটি কার লেখা?
উত্তর: ‘নিশাচর’ গদ্যাংশটি কার লেখা সুকুমার রায়ের লেখা ।
৩) যারা রাত জেগে চলাফেরা করে তাদের কী বলে?
উত্তর:যারা রাত জেগে চলাফেরা করে তাদের নিশাচর বলে।
৪) কাকাপো কী?
উত্তর: কাকাপো হল একটি নিশাচর পাখি। এরা দিনের আলোয় লুকিয়ে থাকে রাত হলে বাইরে বেরিয়ে আসে।
৫) প্যাঁচাটিয়া কী?
উত্তর:প্যাঁচাটিয়া হল একধরনের নিশাচর পাখি ।
৬) প্যাঁচার চোখ দেখতে কেমন?
উত্তর: প্যাঁচার চোখ দেখতে এমন অদ্ভুত রকমের, বড় আর গোল গোল, যে সে আলোর দিকে ভাল করে তাকাতেই পারে না, সহজেই চোখ ঝলসে যায় ।
৭) ‘অন্য পাখিরা ঠুকরিয়ে অস্থির করে তোলে।’- কাদের অস্থির করে তোলে?
উত্তর: কাকাপোদের অস্থির করে তোলে।
৮) একটি নিরীহ জন্তুর নাম লেখো।
উত্তর:একটি নিরীহ জন্তুর নাম হল ইঁদুর ।
৯) ইদুর সারাদিন লুকিয়ে থাকে কেন?
উত্তর:ইদুর একরকম শত্রুর ভয়ে সারাদিন লুকিয়ে থাকে।
১০) ‘ভূত বানর’ কাকে বলা হয়?
উত্তর: টার্সিয়ের নামক একধরনের বানর আছে যাদের চোখ মুখ আর চলাফেরা এমন অদ্ভুত গোছের হয় যে দেখলে অনেক সময় ভয় হয় । যেদেশে এরা বসবাস করে সেই দেশের লোকেরা একে ‘ভূত বানর’বলে।
১১) সুকুমার রায় কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:সুকুমার রায় ১৮৮৭, ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১২) দুটি পতঙ্গভুক্ প্রাণীর নাম বলো।
উত্তর: দুটি পতঙ্গভুক্ প্রাণী হল টিকটিকি, ইঁদুর ।
১৩)লেমার কী খায়?
উত্তর:লেমার ফড়িং, পোকামাকড় ইত্যাদি খায়।
১৪) কার ভোজটা সন্ধ্যেবেলায় ভালো জমে?
উত্তর: টিকটিকির ভোজটা সন্ধ্যেবেলায় ভালো জমে।
১৫) টার্সীয়েরকে মানুষের ভয় করার একটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর:টার্সীয়ের চলাফেরা অদ্ভুত রকমের হওয়ায় মানুষ এদেরকে ভয় পায় ।
১৬) এ যুগের সভ্য মানুষ রাতকে কী করে রাখে?
উত্তর:এ যুগের সভ্য মানুষ রাতকে দিন করে রাখে।
১৭) ঘুমন্ত মানুষের সর্বনাশ করে কারা?
উত্তর:ঘুমন্ত মানুষের সর্বনাশ করে চোর, ডাকাতরা।
১৮) নিশাচর জন্তুদের চোখ কীরকম হয়?
উত্তর:নিশাচর জন্তুদের চোখ প্যাঁচার মতো বড় গোল গোল হয়।
১৯) টার্সীয়েকে লোকে কিসের মতো ভয় করে?
উত্তর:টার্সীয়েকে লোকে ভুতের মতো ভয় করে।
২০) ‘পাগলা দাশু’ রচনাটি কার?
উত্তর:’পাগলা দাশু’ রচনাটি সুকুমার রায়ের ।
২। রচনাধর্মী প্রশ্ন:
১) “টিকটিকির ভোজটাও সন্ধ্যার পরে তাই জমে ভালো।”
ক) উদ্ধৃতাংশটি কোন্ প্রসঙ্গে করা হয়েছে?
খ) সন্ধ্যার পরে টিকটিকির ভোজ ভালো জমে কেন?
উত্তর: ক) টিকটিকির খাদ্যান্বেষণের সময় সম্বন্ধে আলোচনা করার প্রসঙ্গক্রমে লেখক উদ্ধৃতাংশটি উল্লেখ করেছেন।
খ) সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে যখন আলো জ্বালানো হয়, তখন পোকামাকড় আলোর চারপাশে এসে বসে। তখন টিকটিকিও আলোর পাশে যেখানেই পোকা, সেখানে খাদ্যের লোভে বেশি করে আসা যাওয়া করে। তাই সন্ধ্যের পর তাদের খাদ্য বা ভোজটা বেশি ভালো করে জমে।
২) “কারও কোনো অনিষ্ট করে না, কেবল পোকামাকড় খেয়ে থাকে অথচ লোকে তাকে মিছিমিছি ভূতের মতো ভয় করে।”
ক) আলোচ্য অংশটি কার লেখা?
খ) কোন্ রচনার অন্তর্গত?
গ) এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে?
ঘ) এদের ভূতের মতো ভয় করার কারণ কী?
উত্তর:ক) “কারও কোনো অনিষ্ট করে না, কেবল পোকামাকড় খেয়ে থাকে অথচ লোকে তাকে মিছিমিছি ভূতের মতো ভয় করে।”- আলোচ্য অংশটি সুকুমার রায়ের লেখা।
খ) অংশটি নিশাচর রচনার অন্তর্গত।
গ) এখানে টার্সিয়েরদের কথা বলা হয়েছে।
ঘ) টার্সিয়েরদের কপালজোড়া বড় বড় চোখ, আর রোগা রোগা কাঠির মত হাত পা । এর চাল চলনের ধরন – গাছের আড়াল থেকে হঠাৎ উঁকি মেরেই রবারের মতো নিঃশব্দে লাফ দিয়ে আবার দশ হাত দূর থেকে উঁকি মারা। কারো কোন কিছু নষ্ট করে না, শুধু পোকামাকড় খায় তবুও মানুষ এদেরকে দেখে ভয় পায় ।
৩) “উড়তে উড়তে পোকা ফড়িং খেয়ে বেড়ায়”- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:পৃথিবীতে আরেক ধরনের নিশাচর প্রাণী আছে যারা রাতে শিকারের জন্য বের হয় । কারন সেই সময় ভালোরকম শিকার পাওয়া যায় । বাঘ, সিংহের মত বড় মাংসখোর জন্তুরা এর জন্যই অনেক সময় নিশাচর হয় । সন্ধ্যার পর অনেক রকমের পোকামাকড় বের হয় তার ফলে অনেক পোকাখোর জন্তুরা খাবারের আশায় ওই সময়ে ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যার সময় ভোজের আনন্দে অনেক চামচিকারা ব্যস্ত হয়ে আকাশময় ঘুরে বেড়ায় । ভাল করলে লক্ষ করলে দেখা যায় তারা উড়তে উড়তে পোকামাকড় খেয়ে বেড়াচ্ছে।
৪) “নিশাচরেরা রাত্রে আহার করে কেন? তার নানা কারণ আছে
ক) উদ্ধৃতাংশটি কার, কোন্ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে?
খ) কোন্ কোন্ মানুষকে এরকম নিশাচর বলা হয়েছে?
গ) কেন নিশাচর বলা হয়েছে?
উত্তর:ক)”নিশাচরেরা রাত্রে আহার করে কেন? তার নানা কারণ আছে। – উদ্ধৃতাংশটি সুকুমার রায়ের, ‘নিশাচর’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
খ) ‘নিশাচর’ গল্পে – কবি চোর, ডাকাত, অনেক ভদ্র মানুষ যারা কাজের খাতিরে রাত জাগে সেই ক্ষেত্রে এদেরকেও এক রকম নিশাচর বলা হয়েছে ।
গ) নিশাচর বলা হয়েছে তার কারণ অনেক ভদ্র মানুষ রাতকে দিন করে রাখে । রাতেও হাজার আলো জ্বালিয়ে দিয়ে কলকারখানা, রেল, স্টিমার ইত্যাদি চালায় । সুতরাং ভদ্র মানুষকেও কাজ – কর্মের জন্য নিশাচর হতে হয় । প্রতিদিনের খবরের কাগজের জন্য কত মানুষ রাত জেগে খাটে । রেল, স্টিমারে ড্রাইভার গার্ড প্রভৃতি মানুষকে দিন – রাত মজুরি খাটতে হয় । রাত জেগে এরা এত পরিশ্রম করে দেখে এদেরকে নিশাচর বলা হয়েছে ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক) পদ পরিবর্তন করো:
রাক্ষস- রাক্ষুসে
আনন্দ- আনন্দিত
রস- রসালো
দিন- দৈনিক
পুরাণ- পুরানিক
ব্যস্ত-ব্যস্ততা
মুখ-মুখ্য
রক্ত- রক্তাক্ত
সাহস- সাহসী
অস্থির- অস্থিরতা
শত্রু- শত্রুতা
শিকার-শিকারি
গঠন- গঠনতা
রোগা- রোগ
সর্বনাশ- সর্বনাশা
ডাকাত- ডাকাতি
খ) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
ক্ষুদে-বড়ো
সভ্য- অসভ্য
উৎসাহ- নিরুৎসাহ
আশা- নিরাশা
গরম- ঠাণ্ডা
সুবিধা- অসুবিধা
জেগে- ঘুমিয়ে
শত্রু-মিত্র
রাত- দিন
রোদ- বৃষ্টি
অভ্যাস- অনভ্যাস
ছায়া- রোদ
নিরীহ- হিংস্র
ব্যস্ত- অলস
পছন্দ- অপছন্দ
ছোট- বড়
গ) এক কথায় প্রকাশ করো:
১। রাতে চরে যে– নিশাচর
২। শব্দ না করে- নিশব্দ
৩। মাংস খায় যে- মাংসাশী
৪। ঘুমিয়ে আছে এমন- ঘুমন্ত
৫। গাড়ি চালায় যে- ড্রাইভার
ঘ) বাক্য রচনা করো:
গোলগোল – প্যাঁচার চোখ গোলগোল। –
পোকাখোর- চামচিকারা পোকাখোর হয় ।
মাংসখোর-বাঘ, সিংহ, হায়না এরা মাংসখোর হয় ।
ঝলসে – প্যাঁচার চোখ বেশি আলোয় ঝলসে যায়।
ঙ) শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১। সর্বনাস / সর্বনাশ / সর্বনাষ
= সর্বনাশ
২। শীকার / সীকার / শিকার
= শিকার
৩। পোকামাকর / পোকামাকড় / পোকামাকঢ়
= পোকামাকড়
৪। ব্যঙ/ ব্যাঙ / ব্যাং
= ব্যাঙ
৫। রাক্ষষ / রাক্ষস / রাক্ষশ
= রাক্ষস
৬। নিশব্দ / নীশব্দ / নিঃশব্দ
= নিঃশব্দ
৭। নিচ্চয়/ নিশ্চয় / নীশ্চয়
= নিশ্চয়
৮। নিশাচড় / নীশাচর / নিশাচর
= নিশাচর
৯। চামচিকা / চমচিক / চামচীকা
= চামচিকা
১০। স্টিমার / ষ্টিমার / ইসটিমার
= স্টিমার
চ) সমার্থক শব্দ লেখো:
পাখি – বিহঙ্গ,
বিহগ- পাখি
বাঘ- ব্যাঘ্র
পক্ষী- পাখি
বানর- বাঁদর
সাপ-সর্প
খেচর- পাখি
সিংহ- পশুরাজ
শরীর – দেহ
ছ) লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
রাক্ষস- রাক্ষসী
সভ্য- সভ্যা
সাপ- সাপিনি
বাঘ- বাঘিনী
বানর-বানরী
সিংহ- সিংহী
জ) পদ নির্ণয় করো:
ঘুমন্ত – বিশেষণ
শিকার- শিকারি
ডাকাত- ডাকাতি
অস্থির- অস্থিরতা
রাক্ষস- রাক্ষসী
শক্ত- শক্তি
মজুরি- মজুর
শরীর- শারীরিক
উৎসাহ- উৎসাহী
ঞ) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। ……… ভোজটাও সন্ধ্যার পরে জমে ভালো। (টিকটিকির / প্যাঁচা)
উত্তরঃ টিকটিকির ভোজটাও সন্ধ্যার পরে জমে ভালো।
২। আর একদল…………… আছে, যারা রাত্রে বেরোয় ভালরকম …………… জোটে বলে। (নিশাচর / শিকার)
উত্তরঃ আর একদল নিশাচর আছে, যারা রাত্রে বেরোয় ভালরকম শিকার জোটে বলে।
৩। …………… রাত্রে ……………করে কেন? (নিশাচর / আহার)
উত্তরঃনিশাচর রাত্রে আহার করে কেন?
৪। তার নানা …………আছে। (কারণ / ব্যাপার)
উত্তরঃতার নানা কারণ আছে।
৫। দিনের ………… বেরুতে সাহস পায় না, রাত্রে …………তাদের গা ঢাকা দিয়ে চলবার সুবিধা হয়।(আলোতে / অন্ধকারে)
উত্তরঃদিনের আলোতে বেরুতে সাহস পায় না, রাত্রে অন্ধকারে তাদের গা ঢাকা দিয়ে চলবার সুবিধা হয়।
ট) সঠিক উত্তরে (√) চিহ্ন দাও:
১। টার্সীয়েরকে বলা হয় (প্রেত / যম / ভূত) বানর।
উত্তরঃটার্সীয়েরকে বলা হয় ভূত বানর।
২। এক ধরনের ক্ষুদে (পেঁচা / বানর/ টিকটিকি) আছে যার নাম লেমার।
উত্তরঃএক ধরনের ক্ষুদে বানর আছে যার নাম লেমার।
৩। চামচিকিার অপর নাম (পাটকাটি / চাকাটি / নাকাটি)।
উত্তরঃ চামচিকিার অপর নাম নাকাটি।
৪। নিশাচর প্রাণীরা (দিনে/ দুপুরে/ রাতে) জেগে থাকে।
উত্তরঃনিশাচর প্রাণীরা রাতে জেগে থাকে।
৫। ‘নিশাচর’ শব্দের অর্থ (উড়ে যে / খায় যে / চরে যে)।
উত্তরঃ’নিশাচর’ শব্দের অর্থ চরে যে।
ঠ) সত্য মিথ্যা যাচাই করো:
১। ‘কলেবর’-এর প্রতিশব্দ পাখি।
উত্তর: ‘কলেবর’-এর প্রতিশব্দ পাখি।- মিথ্যা
২। ‘প্যাঁচা’-কে বলা হয় নিশাচর প্রাণী।
উত্তর:’প্যাঁচা’-কে বলা হয় নিশাচর প্রাণী।- সত্য
৩। ‘খাইদাই’ রচনাংশটি সুকুমার রায়ের লেখো।
উত্তর:’খাইদাই’ রচনাংশটি সুকুমার রায়ের লেখো।- মিথ্যা
৪। নিশাচর জন্তুদের প্রায় সকলের মধ্যেই একটি অভ্যাস দেখা যায়- সেটি হচ্ছে জোরে চলা।
উত্তর:নিশাচর জন্তুদের প্রায় সকলের মধ্যেই একটি অভ্যাস দেখা যায়- সেটি হচ্ছে জোরে চলা।- মিথ্যা
ড) সাধুভাষা থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর করো:
১। ইহাদের পক্ষ ক্ষুদ্র বলিয়া ভাল করিয়া উড়িতে পারে না।
উত্তর: এদের ডানা ছোট বলে ভাল করে উড়তে পারে না।
২। নিশাচর বলা হয় তাহাদের যাহারা রাত্রিতে জাগ্রত থাকিয়া চলাফেরা করে, অর্থাৎ আহার অনুসন্ধান করে।
উত্তর:নিশাচর বলা হয় তাদের যারা রাতে জেগে থেকে চলাফেরা করে, অর্থাৎ খাবার খোঁজ করে ।
৩। আর একদল নিশাচর রহিয়াছে, যাহারা রাত্রে বাহির হয় উত্তম রূপে শিকার প্রাপ্তি হয় বলিয়া।
উত্তর: আর একদল নিশাচর আছে, যারা রাতে বের হয় উত্তম ভালোরকম শিকার জোটে বলে ।
৪। রাত্রে অন্ধকারে দেখিতে হয় বলিয়া তাহাদের চক্ষু দুইটিও তেমন করিয়া তৈয়ার হইয়াছে।
উত্তর: রাতে অন্ধকারে দেখতে হয় বলে তাদের চোখ দুটিও তেমন করে তৈরি হয়েছে ।
৫। বৃক্ষের অন্তরাল হইতে অকস্মাৎ উঁকি মারিয়াই রবারের ন্যায় নিঃশব্দে লক্ষ দিয়া পুনরায় দশ হস্ত দূর হইতে উঁকি মারে।
উত্তর: গাছের আড়াল থেকে হঠাৎ উঁকি মারে রবারের মত নিঃশব্দে লক্ষ রেখে আবার দশ হাত দূর থেকে উঁকি মারে ।
৪। নীচের অনুচ্ছেদগুলো পড়ে সাথে দেওয়া প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
নিশাচরেরা রাত্রে আহার করে কেন? তার নানা কারণ আছে। প্রথমত, যারা শত্রুর ভয়ে দিনের আলোতে বেরুতে সাহস পায় না, রাত্রে অন্ধকারে তাদের গা ঢাকা দিয়ে চলবার সুবিধা হয়। যেমন আফ্রিকার ‘কাকাপো’ অথবা ‘প্যাচাটিয়া’। এদের ডানা ছোটো বলে ভালো করে উড়তে পারে না, দিনের বেলা বেরোলেই অন্য পাখিরা ঠুকরিয়ে অস্থির করে তোলে। ইঁদুর জাতীয় নানারকম নিরীহ জন্তু আছে, তারাও একরকম শত্রুর ভয়ে সারাদিন লুকিয়ে থাকে, রাত্রে শিকারের খোঁজে বেরোয়।
ক) নিশাচরেরা রাত্রে আহার করে কেন?
উত্তর:নিশাচরেরা রাত্রে আহার করার অনেক কারন আছে যেমন এরা শত্রুর ভয়ে দিনে বেরোতে পারে না, এদের ডানা ছোট বলে ভাল করে উড়তে পারে না, দিনের বেলা বেরোলেই অন্য পাখিরা ঠুকরিয়ে অস্থির করে তোলে । তাই নিশাচরেরা রাত্রে আহার করে ।
খ) আফ্রিকার ……অথবা ……। (শূণ্যস্থান পূরণ করো)
উত্তর: আফ্রিকার কাকাপো অথবা প্যাচাটিয়া।
গ) ইঁদুর কি জাতীয় জন্তু?
উত্তর:ইঁদুর নিরীহ জাতীয় জন্তু।
ঘ) যারা শত্রুর ভয়ে দিনের আলোতে বেরোতে পারে না তাদের কি বলে?
উত্তর:যারা শত্রুর ভয়ে দিনের আলোতে বেরোতে পারে না তাদের নিশাচর বলে ।
ঙ) রাত্রে শিকারের খোঁজে কারা বের হয়?
উত্তর:রাত্রে শিকারের খোঁজে ইঁদুর, প্যাচাটিয়া বের হয়।
চ) ‘কাকাপো’ কী?
উত্তর:’কাকাপো’ হল প্যাচাটিয়া।
ছ) ‘প্যাচাটিয়া’ কী?
উত্তর:প্যাচাটিয়া হল আফ্রিকার এমন একটি পাখি এদের ডানা ছোটো বলে ভালো করে উড়তে পারে না। এরা কাকাপো নামে পরিচিত ।
৫। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে সাথে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর লেখো:
সুকুমার রায় ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী। শিশুকাল থেকে তিনি সাহিত্য সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন। তিনি ‘সন্দেশ’ পত্রিকার নিয়মিত লেখক। তাঁর প্রায় সমস্ত লেখা শিশুদের জন্য। ‘হযবরল’, ‘আবোলতাবোল’, ‘খাই খাই’, ‘পাগলাদাসু’, ঝালাপালা ইত্যাদি তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় মারা যান।
ক। কত সালে, কোথায় সুকুমার রায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে, ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামে সুকুমার রায় জন্মগ্রহণ করেন
খ। সুকুমার রায়ের পিতার নাম লেখো?
উত্তর:সুকুমার রায়ের পিতার নাম উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী।
গ। সুকুমার রায় কোন পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন?
উত্তর:সুকুমার রায় ‘সন্দেশ’ পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন ।
ঘ। সুকুমার রায় কাদের জন্য সবচেয়ে বেশী লিখেছেন?
উত্তর:সুকুমার রায় শিশুদের জন্য জন্য সবচেয়ে বেশী লিখেছেন।
ঙ। সুকুমার রায়ের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম লেখো?
উত্তর:সুকুমার রায়ের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম ‘হযবরল’ ও ‘আবোলতাবোল’ ।
Text Book Solutions
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
ক। ‘নিশাচর’ রচনাটি কার লেখা?
উত্তর: ‘নিশাচর’ রচনাটি শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের লেখা।
খ। নিশাচর কাদের বলে?
উত্তর: যারা রাত জেগে চলাফেরা করে বা খাবার খোঁজে তাদের নিশাচর বলে ।
গ। কাদের ডানা ছোটো?
উত্তর: কাকাপোদের ডানা ছোটো ।
ঘ। আফ্রিকার দুটি নিশাচর পাখির নাম করো।
উত্তর:আফ্রিকার দুটি নিশাচর পাখির নাম হল কাকাপো এবং প্যাচাটিয়া।
ঙ। লেমার কী জাতীয় প্রাণী?
উত্তর:লেমার খুদে বানর জাতীয় প্রাণী।
চ। টিকটিকির ভোজ কখন ভালো জমে?
উত্তর:টিকটিকির ভোজ সন্ধ্যার পর ভালো জমে।
ছ। নিশাচর জন্তুদের একটি বিশেষ অভ্যাস কী?
উত্তর:নিশাচর জন্তুদের একটি বিশেষ অভ্যাস হল নিঃশব্দে চলা ।
জ। সন্ধ্যার সময় চামচিকারা কোথায় ছোটাছুটি করে?
উত্তর:সন্ধ্যার সময় চামচিকারা আকাশময় ছোটাছুটি করে।
ঝ। প্যাঁচা আলোর দিকে ভালো করে তাকাতে পারে না কেন?
উত্তর:প্যাঁচা আলোর দিকে ভালো করে তাকাতে পারে না কারণ আলোর দিকে তাকালে সহজেই এদের চোখ ঝলসে যায় ।
ঞ। টার্সিয়ের কী?
উত্তর:টার্সিয়ের হল একধরনের বানর ।
ট। ‘ভূত বানর’ কাকে বলে?
উত্তর: টার্সিয়ের যেদেশে বসবাস করে সে দেশের মানুষেরা একেই ভূতবানর বলে ।
ঠ। সভ্য মানুষ এখন রাতকে কী করে রাখে?
উত্তর:সভ্য মানুষ এখন রাতকে দিন করে রাখে।
ড। চোর ডাকাত কখন মানুষের সর্বনাশ করে?
উত্তর:চোর ডাকাত রাতে মানুষের সর্বনাশ করে।
ঢ। উড়বার সময় কার ডানার ঝাপটা শোনা যায় না?
উত্তর:উড়বার সময় প্যাঁচার ডানার ঝাপটা শোনা যায় না।
ণ। আমাদের পুরাণে কাদের নিশাচর বলা হত?
উত্তর:আমাদের পুরাণে রাক্ষসদেরও নিশাচর বলা হত।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। “নিশাচরেরা রাত্রে আহার করে কেন?”
– উদ্ধৃতিটি কার কোন রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে?
– কাদের কেন নিশাচর বলা হয়?
উত্তর:- বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের ‘নিশাচর’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে
যারা রাতে চলাফেরা করে তাদের বলা হয় নিশাচর। কারণ কিছু প্রাণী দিনের আলোর তাপ সহ্য করতে পারে না। কিছু প্রাণী রাতেই ভালো শিকার জোটে বলে রাতে বেরোয়। তারা রাতে আহার সংগ্রহ করে এবং আহার করে। যেমন: ইঁদুর, প্যাঁচা, চামচিকা, টিকটিকি, বাঘ, সিংহ প্রভৃতি। রাতে আহারের সন্ধানে চলাফেরা করে বলে এসব প্রাণীকে নিশাচর বলা হয়।
খ। “তারাও একরকম নিশাচর বই-কি।”
– কার লেখা, কোন রচনার অংশ এবং ‘তারাও’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
– ‘তারাও একরকম নিশাচর বই-কি’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর:- “তারাও একরকম নিশাচর বই-কি।”- উক্তিটি সুকুমার রায়ের লেখা, ‘নিশাচর’ রচনার অংশ এবং ‘তারাও’ বলতে মানুষদের কথা বলা হয়েছে।
– নিশাচর বলা হয়েছে তার কারণ অনেক ভদ্র মানুষ রাতকে দিন করে রাখে । রাতেও হাজার আলো জ্বালিয়ে দিয়ে কলকারখানা, রেল, স্টিমার ইত্যাদি চালায় । সুতরাং ভদ্র মানুষকেও কাজ – কর্মের জন্য নিশাচর হতে হয় । প্রতিদিনের খবরের কাগজের জন্য কত মানুষ রাত জেগে খাটে । রেল, স্টিমারে ড্রাইভার গার্ড প্রভৃতি মানুষকে দিন – রাত মজুরি খাটতে হয় । রাত জেগে মানুষেরা এত পরিশ্রম করে দেখে মানুষকেও নিশাচর বলা হয়েছে ।
গ। “এই হচ্ছে এর চালচলনের ধরন।”
– কার লেখা, কোন্ রচনার অংশ এবং ‘এর’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
– ‘এর’ চালচলনের ধরন সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উত্তর:- “এই হচ্ছে এর চালচলনের ধরন।”- উদ্ধৃতাংশটি সুকুমার রায়ের লেখা, ‘নিশাচর’ রচনার অংশ এবং ‘এর’ বলতে টার্সিয়ের বোঝানো হয়েছে।
– টার্সিয়েরদের অনেকটা ভুতের মত। এরা গাছের আড়াল থেকে হঠাৎ করে উঁকি মারে । তারপর রবারের মত নিঃশব্দে লাফ লাফ দিয়ে আবার দশ হাত দূরত্ব থেকে উঁকি মারে । এটাই হচ্ছে টার্সিয়ের চলার ধরন ।
ঘ। “কেবল পোকামাকড় খেয়ে থাকে অথচ তাকে মিছিমিছি ভূতের মতো ভয় করে” আলোচনা করো।
উত্তর:-“কেবল পোকামাকড় খেয়ে থাকে অথচ তাকে মিছিমিছি ভূতের মতো ভয় করে” উদ্ধৃতাংশটি সুকুমার রায়ের লেখা, ‘নিশাচর’ রচনার অংশ। এখানে টার্সিয়েরদের কথা বলা হয়েছে। টার্সিয়েরদের কপালজোড়া বড় বড় চোখ, আর রোগা রোগা কাঠির মত হাত পা । এর চাল চলনের ধরন – এরা গাছের আড়াল থেকে হঠাৎ উঁকি মেরেই রবারের মতো নিঃশব্দে লাফ দিয়ে আবার দশ হাত দূর থেকে উঁকি মারে। কারো কোন কিছু নষ্ট করে না, শুধু পোকামাকড় খায় তবুও মানুষ এদেরকে দেখে মিথ্যে ভুতের ভয় পায় ।
চ। ‘নিশাচর জন্তুদের প্রায় সকলের মধ্যেই একটি অভ্যাস দেখা যায়।”
– অভ্যাসটি কী আলোচনা করো।
উত্তর:-নিশাচর জন্তুদের প্রায় সকলের মধ্যেই একটি অভ্যাস দেখা যায় সেটি হল নিঃশব্দে চলা । প্যাঁচার শরীরটি বড় হলেও সে ভাল উড়তে পারে । অথচ ওড়ার সময় তার ডানা ঝাপটের শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না । রাতে অন্ধকারে দেখতে হয় বলে তাদের চোখ দুটোও সেই ভাবেই তৈরি। নিশাচর জন্তুদের চোখ প্যাঁচার মতো বড় আর গোল গোল হয় । এজন্য এদেরকে দেখতেও অনেকটা অদ্ভুত লাগে । খুদে বানরদের চোখ- মুখ আর চলাফেরা এমন অদ্ভুত গোছের হয় দেখলে অনেক সময় ভয় লাগে ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। পদ পরিবর্তন করো:
১) শরীর – শারীরিক
২) আহার- আহারী
৩) জন্তু- জান্তব
৪) আলো- আলোকিত
৫) উৎসাহ- উৎসাহী
৬) অভ্যাস- অভ্যস্ত
৭) ভূত- ভূতুরে
খ। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
১১) ঘুমন্ত জাগ্রত
২) রোগা- মোটা
৩) আনন্দ- নিরানন্দ
৪) নিঃশব্দ – আওয়াজ
৫) অন্ধকার – আলো
৬) অস্থির- স্থির
গ। এক কথায় প্রকাশ করো:
১১) শব্দ না করে –নিঃশব্দে
২) রাতে চরে যে- নিশাচর
৩) গাড়ি চালায় যে-ড্রাইভার
৪) ঘুমিয়ে আছে এমন- ঘুমন্ত
ঘ। বাক্য রচনা করো:
১১) নিশাচর – প্যাঁচা একটি নিশাচর প্রাণী।
২) শত্রু- কারো সাথে শত্রুতা রাখতে হয় না ।
৩) ব্যস্ত- রাম খুব ব্যস্ত লোক ।
৪) উৎসাহ- সে উৎসাহের সাথে সব কাজগুলো শেষ করে নিল।
৫) মজুরি – অনেক কর্মচারীরা কাজ করলেও ঠিক ঠাক মজুরি পায় না ।
৬) নিঃশব্দে – প্যাঁচারা নিঃশব্দে চলাফেরা করে ।
৭) অন্ধকার- রাতের অন্ধকারে অনেক প্রাণী খাবারের সন্ধানে বেড়োয় ।
ঙ। শুদ্ধ রূপটি লেখোঃ
১) অদ্ভুত/অদ্ভুত/অদ্ভুৎ
শুদ্ধ – অদ্ভুত
২) নীরিহ/নিরীহ/নিরিহ
শুদ্ধ – নিরীহ
৩) ব্যাস্ত/ব্যস্থ/ব্যস্ত
শুদ্ধ -ব্যস্ত
Chapter 6: খোকার আকাঙ্ক্ষা