Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 12 লালু
Complete solutions for the Chapter 12 লালু of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
লালু
শব্দার্থ লেখো:
কৌশল – চালাকি
উপদ্রব- অত্যাচার
পরিত্রাণ-রেহাই
চটে- ক্ষেপে
সিদ্ধ- লাভ করা
আহ্নিক- দৈনিক
অকস্মাৎ- হঠাৎ
শশব্যস্ত- অতিব্যস্ত
জো নেই- সাধ্য নেই
দোর-দরজা
শ্রান্তি-অবসাদ
অবশ-অসাড়
তিক্ত- অপ্রীতিকর
অনভ্যস্ত-অভ্যেস নেই
অম্ল- টক
উদ্রেক- উদয়
বাহিনি- দল
বিরত- বিরাম
হেতু- কারণ
উপচার-সেবা
দস্যি- দুরন্ত
কোঠি- বাংলো
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখো:
১) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ১৫ই সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২) লালু কে ছিলেন?
উত্তর:লালু ছিলেন কবি শরৎচন্দ্রের ছোট বেলাকার এক বন্ধু ।
৩) লালুর বয়স কত ছিল?
উত্তর: লালুর বয়স ছিল দশ- এগারো বছর ।
৪) লালুর মায়ের নাম কি?
উত্তর:লালুর মায়ের নাম নন্দরানি ।
৫) ‘লালু’ গল্পটি কোন্ মূলগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর:’লালু’ গল্পটি ‘ছোটবেলার গল্প’ মূলগ্রন্থ থেকে সংকলিত ।
৬) লালুর প্রকৃতি কী রূপ ছিল?
উত্তর:লালু খুব দুষ্ট প্রকৃতির ছেলে ছিল ।
৭) লালুর বাবা কী কাজ করতেন?
উত্তর:লালুর বাবা পেশায় উকিল ছিল ।
৮) লালুদের বাড়িটি ক’তলা?
উত্তর:লালুদের বাড়িটি তিন ‘তলা ।
৯) “কিন্তু তিনি বৃদ্ধ।”-‘তিনি’ কে?
উত্তরঃ ‘তিনি’ হলেন গুরুদেব স্মৃতিরত্ন।
১০) “সে জানত”- কে কী জানত?
উত্তর:”সে জানত” – এখানে লালু জানত যে বাড়িতে মাস্টার ডেকে আনা আর পুলিশ আনা সমান ।
১১) “ইচ্ছে ছিল” কার কী ইচ্ছে ছিল?
উত্তর:”ইচ্ছে ছিল”- এখানে লালুর মায়ের গুরুদেবকে বাড়িতে নিয়ে আসার ইচ্ছে ছিল ।
১২) গুরুদেব স্মৃতিরত্নের দেশ কোথায় ছিল?
উত্তর:গুরুদেব স্মৃতিরত্নের দেশ ফরিদপুরে ছিল ।
১৩) ‘অগত্যা’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর:’অগত্যা’ শব্দের অর্থ অকারণ ।
১৪) ‘নন্দরানির গুরুদেবের উপাধি কী ছিল?
উত্তর:নন্দরানির গুরুদেবের উপাধি ছিল ‘রত্ন’ ।
১৫) ‘সংখ্যায় এরা অগণিত।’-‘এরা’ কারা?
উত্তর:’এরা’ হল মশা ।
১৬) “হঠাৎ এমনি সময় অভাবনীয় নতুন উপদ্রব।”-এখানে কোন উপদ্রবের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:”হঠাৎ এমনি সময় অভাবনীয় নতুন উপদ্রব।” এখানে পশ্চিমের বড় বড় মশার উপদ্রবের কথা বলা হয়েছে ।
১৭) ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটি কার লেখা?
উত্তর:’শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ।
১৮) শরৎচন্দ্রের ছদ্মনাম কি?
উত্তর:শরৎচন্দ্রের ছদ্মনাম অনিলা দেবী।
১৯) “দেশের হৃদয় তারে রাখিয়াছে ধরি।”-উক্তিটি কার?
উত্তর:”দেশের হৃদয় তারে রাখিয়াছে ধরি।”-উক্তিটি শরৎচন্দ্রের।
২। রচনাধর্মী প্রশ্ন:
ক ) “ফিতের খাট ভারী নয়, মশারিশুদ্ধ সেটা ঘরের আরেক ধারে টেনে নিয়ে গিয়ে আবার শুয়ে পড়লেন।”
অ) কে খাট টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন?
আ) কেন খাট টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন?
ই) মশারি থেকে বেরিয়ে এসেও তিনি নিস্তার পাননি কেন?
ঈ) ফিতের খাট ভারী না হওয়ার কারণ কী?
উত্তর:অ) শিষ্যা নন্দরানি খাট টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আ) হঠাৎ ঠান্ডা জল ওপর থেকে গায়ের উপর পড়ায় তিনি খাট টেনে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
ই) মশারি থেকে বার হলেও মাত্র আধ মিনিটের মধ্যে আবার তাঁর গায়ে জল পড়ায় তিনি নিস্তার পাননি।
ঈ) ফিতের ঘাটে শুধু কাঠের খোপ থাকে, তাতে ফিতে দিয়ে শয্যা তৈরি হয়। তাই সেটি হালকা ছিল।
খ) ‘যে গাড়ি প্রথমে পাব সে গাড়িতে দেশে পালাবো’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:’যে গাড়ি প্রথমে পাব সে গাড়িতে দেশে পালাবো’ – ওপরের লাইনটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘লালু’ গদ্যের অন্তর্গত। এই উক্তিটি লালুদের বাড়িতে আসা গুরুদেব করেছিলেন। তিনি লালুর মা নন্দরানির অনুরোধে লালুদের বাড়িতে এসেছিলেন নন্দরানিকে আশীর্বাদ করে যাবার জন্য । ভালমত রাতের খাবার খাইয়ে গুরুদেবকে শোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে যায় জলের ফোঁটা ছাঁদ ফেটে শরীরে পড়ার কারনে, এবং বিছানা খুব ভিজে যাওয়ায় তিনি ঘরের বাইরে বেড়িয়ে যান। নানাবিধ শ্রান্তি ও দুর্বিপাকে দেহ অবশ, মন তিক্ত, ঘুমে চোখের পাতা ভারাতুর হয়ে গিয়েছিল গুরুদেবের। এর পরে আরও নতুন উপদ্রব শুরু হল । অগণিত মশা তাকে আক্রমণ করেছিল । এই পরিস্থিতিতে গুরুদেব ওপরের উক্তিটি করেছিলেন ।
গ) ‘গুরুদেব অগত্যা তাতেই বসলেন’- গুরুদেব কীসের উপর কেন বসলেন?
উত্তর:ছাদ ভেঙ্গে বৃষ্টির ফোঁটায় গুরুদেবের বিছানা খুব ভিজে গিয়েছিল। তাই তিনি ছাদ ভেঙ্গে মাথায় পরার ভয়ে বাইরের বারান্দায় বেরিয়ে গেলেন । বাইরে গিয়ে দেখলেন ঝোড় হাওয়ার সাথে প্রচুর বৃষ্টি, ঘোর অন্ধকার । কেউ কোথাও নেই, চাকর – বাকর কোথায় শোয় সেটাও তিনি জানতেন না এবং চেঁচিয়ে ডাকার পরে কেউ সাড়াও দিচ্ছিল না । বারান্দার একধারে একটা বেঞ্চি ছিল, যেখানে লালুর বাবার গরিব মক্কেলরা বসত, আত্ম মর্যাদার লাঘব ঘটিয়ে তিনি সেখানেই বসেছিলেন নিরুপায় হয়ে ।
ঘ) অ) লালুকে নিয়ে লেখক কতগুলি গল্প লিখেছিলেন?
আ) লালুর মাস্টার রাখার ব্যাপারে তার বাবার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল?
উত্তর:অ) লালুকে নিয়ে লেখক তিনটি গল্প লিখেছিলেন।
আ) লালু মানুষকে ভয় দেখাতে ও জব্দ করতে পটু ছিল । একবার লালু তার মাকে রবারের সাপ দেখিয়ে এমন বিপদে ফেলেছিল যে তিনি পা মচকে প্রায় সাত- আটদিন খুঁড়িয়ে চলতেন । তাই তিনি রাগ করে লালুর বাবাকে লালুর জন্য একজন মাস্টার ঠিক করতে বলেছিলেন । যাতে লালুর উপদ্রব থেকে খানিক সময়ের জন্য রেহাই পাওয়া যায়। কিন্তু তার বাবা এতে রাজি ছিল না । তিনি চাইতেন যে, তিনি যেমন কোন মাস্টার ছাড়া, নিজের চেষ্টায় অনেক দুঃখ সহ্য করে লেখাপড়া চালিয়ে একজন বড় উকিল হয়েছেন, তার ছেলেও যেন সেভাবেই বিদ্যা লাভ করে । কিন্তু তিনি এক শর্ত রাখেন যে, কোন বার লালু পরীক্ষায় প্রথম না হতে পারলে তখন বাড়িতে তার জন্য টিউটর রাখা হবে ।
ঙ) “সেখান থেকে লিখে পাঠিয়েছেন।”
অ) কে, কোথা থেকে লিখে পাঠিয়েছেন?
আ) পত্র পেয়ে নন্দরানির মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল?
ই) গুরুদেবের জন্য তিনি কী করেছিলেন?
উত্তর:অ) “সেখান থেকে লিখে পাঠিয়েছেন।”- গুরুদেব স্মৃতিরত্ন সূর্যগ্রহন উপলক্ষে কাশী এসেছিলেন, সেখান থেকে লিখে পাঠিয়েছেন ।
আ) লালুর মায়ের অনেকদিনের আশা ছিল গুরুদেবকে বাড়িতে এনে তাঁর পায়ের ধুলো নিবে। গুরুদেবের পত্র পেয়ে নন্দরানি অনেক খুশি হয়েছিলেন ।
ই) গুরুদেব আসবে শুনে তাঁর জন্য সবরকম জিনিসের জোগাড় শুরু করলেন। গুরুদেবের শোয়ার জন্য নীচের বড় ঘরটা থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে, নতুন ফিতের খাট বিছিয়ে নতুন শয্যা তৈরি করে ফেললেন । সেই ঘরের এক কোনে তাঁর পূজা – আহ্নিকের জায়গা করলেন যাতে তিনতালার ঠাকুর ঘরে তাঁকে উঠে কষ্ট না করতে হয় ।
চ) নন্দরানি গুরুদেবের সেবাযত্নে কী আয়োজন করেছিলেন?
উত্তর:নন্দরানি গুরুদেবের আসার কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়েছিলেন কারন তার অনেক দিনের মনস্কামনা পুরন হতে যাচ্ছিল । তাই তিনি গুরুদেবের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছিলেন । এমনকি তার জন্য নতুন ঘরের সাথে নতুন ফিতের খাট সহ শয্যা তৈরি করেছিলেন । একা হাতে তিনি মিষ্টান্নাদি, ফল – ফুল সাজাতে লাগলেন । তারই মধ্যে নিজের হাতে ঝেরে- ঝুড়ে মশারি গুঁজে দিয়ে বিছানা করে দিয়েছিলেন ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক) পদ পরিবর্তন করো:
পথ- পাথেয়
গঙ্গা- গাঙ্গেয়
কোন-কৌণিক
রক্ত-রক্তাক্ত
অচেতন-অচেতনিক
ইচ্ছা- ইচ্ছুক
ঘুম- ঘুমন্ত
মন- মানসিক
দেহ- দৈহিক
উদ্বেগ- উদ্বিগ্ন
মুখ- মৌখিক
ব্যস্ত- ব্যস্ততা
রাগ- রাগি
আহার-আহার্য
কোমল- কোমলতা
দিন- দৈনিক
আশঙ্কা- আশঙ্কিত
ভোজন- ভজনীয়
দূর- দূরত্ব
চোখ-চাক্ষস
পাগল- পাগলামি
বাতাস- বাতাসী
কথা- কথ্য
ক্ষোভ-ক্ষোভিত
কাজ- কেজো
শ্রম- শ্রমিক
ক্লান্ত- ক্লান্তি
খ) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
আহার –অনাহার
উপায়-নিরুপায়
সম্ভব- অসম্ভব
জাগরণ- নিদ্রা
দেশ- বিদেশ
ধীরে-দ্রুত
বিরাম- অবিরাম
ঠান্ডা- গরম
এলোমেলো- সাজানো
বাইরে-ভেতরে
আনন্দ-নিরানন্দ
ঘন- লঘু
দিন- রাত
অগণিত- গণিত
অর্থ- অর্থহীন
দক্ষিণ- পশ্চিম
কেঁদে- হেসে
সমান- অসমান
রাজী- অরাজি
প্রসন্ন-অপ্রসন্ন
পবিত্র- অপবিত্র
ঘ) শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১। মনোস্কামনা / মনস্কামনা / মনঃস্কামনা
= মনস্কামনা
২। কেম্বিস / ক্যাম্বিষ / ক্যাম্বিস
= ক্যাম্বিস
৩। পারিপাটি / পরিপাটি / পরিপাটী
= পরিপাটি
৪। হারামজাদা / হারামযাদা / হাড়ামজাদা
= হারামজাদা
৫। পরিচর্যা / পরিচর্যা / পরীচর্যা
= পরিচর্যা
৬। নিঃচিন্ত/নিচ্চিন্ত / নিশ্চিন্ত
= নিশ্চিন্ত
৭। যথেষ্ঠ / যথেষ্ট / যথেস্ট
= যথেষ্ট
৮। সয্যা / শজ্যা / শয্যা
= শয্যা
৯। মশারি / মসারী / মযারি
= মশারি
১০। আশংখা / আসঙ্কা / আশঙ্কা
= আশঙ্কা
ঙ) বাক্য রচনা করো:
বীরপুরুষ – বীরপুরুষ বীরের মতো আত্মবলিদান করে থাকেন
আক্রমণ: রামকে একদল গুন্ডা আক্রমণ করেছিল ।
অনভ্যস্ত: সে বেশি খাওয়ায় অনভ্যস্ত ।
প্রসন্ন: গুরুদেব প্রসন্ন হয়ে তাকে আশীর্বাদ করলেন ।
উদ্যোগ: সে একটি কাজ করার উদ্যোগ নিল ।
আশীর্বাদ: বাবা – মার আশীর্বাদ সকল সন্তানদের ওপর থাকে ।
উপদ্রব : আমাদের পাড়ায় মশার উপদ্রব খুব বেড়ে গেছে ।
ক্লান্ত:অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে সে খুব ক্লান্ত ।
সুপ্ত: অনেক আগ্নেয়গিরি আছে যারা সুপ্ত অবস্থায় থাকে ।
টিউটর:আমার ভাইকে পড়ানোর জন্য বাড়িতে টিউটর আসে।
তেতলা: রামেদের বাড়ি তেতালা।
চ) পদ নির্ণয় করো:
আসবাবপত্র-বিশেষ্য
বাড়ি-বিশেষ্য
বারান্দা-বিশেষ্য
পাগল-বিশেষণ
ঘর-বিশেষ্য
গাড়ি-বিশেষ্য
ঠান্ডা-বিশেষণ
বৃষ্টি-বিশেষ্য
প্রাণ- বিশেষ্য
বজ্জাত- বিশেষণ
দস্যি-বিশেষণ
ছাদ-বিশেষ্য
ধনী-বিশেষণ
ছ) লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
চাকর- ঝি
মাসি- মেসো
রানি –রাজা
বৃদ্ধ- বৃদ্ধা
গরুদেব –গুরুমা
বন্ধু- বান্ধবী
মাস্টার-ম্যাডাম
মা- বাবা
বুড়ো- বুড়ো
পাগল –পাগলি
স্ত্রী- স্বামী
ঝ) সমার্থক শব্দ লেখো:
ভোজন- খাওয়া, আহার।
পুজো- আরাধনা
মন-হৃদয়
মাথা- মস্তক
হাত- হস্ত
পথ- পদ
বন্ধু- মিত্র
মানুষ- লোক
বাবা- পিতা
ছেলে- পুত্র
বাতাস- বায়ু
আকাশ- গগন
সূর্য- রবি
জল- বারি
বাড়ি- ঘর
সাপ- সর্প
দেহ- শরীর
মা- মাতৃ
স্ত্রী- অর্ধাঙ্গিনী
রাত্রি- নিশি
পা- পদ
চোখ- নেত্র
ঞ) এক কথায় প্রকাশ করো:
১। যা বলা যায় না- অব্যক্ত
২। স্মৃতি শাস্ত্রে যিনি রত্ন –স্মৃতিরত্ন
৩। হত হয়েছে বুদ্ধি যার – হতবুদ্ধি
৪। সম্ভবকে অতিক্রম না করে- অসম্ভব
৫। তিন সীমানার সমাহার- ত্রিসীমানা
৬। বুদ্ধি নষ্ট হয়েছে যার- নিরবুদ্ধিতা
৭। চেতনা নেই যার – অচেতন
৮। গৃহে বাস করেন যিনি – গৃহবাস
৯। তিন তলার সমাহার- তেতালা
১০। শশকের ন্যায় ব্যস্ত যিনি –শশব্যস্ত
ট) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। দিন কয়েক পরে এসে উপস্থিত হলেন। (গুরুদেব/লালু)
উত্তর: দিন কয়েক পরে গুরুদেব এসে উপস্থিত হলেন।
২। …বাপ –গৃহস্থ। (লালুর/ধনী)
উত্তর:লালুর বাপ ধনী গৃহস্থ।
৩। বছর কয়েক হলো…… ভেঙে…… বাড়ি করেছেন। (পুরোনো বাড়ি/তেতলা)
উত্তর: বছর কয়েক হলো পুরোনো বাড়ি ভেঙে তেতলা বাড়ি করেছেন।
৪। সেই অবধি লালুর মায়ের আশা …………এ বাড়িতে এনে তাঁর পায়ের ………নেন। (গুরুদেবকে/ধুলো)
উত্তর: সেই অবধি লালুর মায়ের আশা গুরুদেবকে এ বাড়িতে এনে তাঁর পায়ের ধুলো নেন।
৫। গভীর ………… অকস্মাৎ তাঁর ………… ভেঙ্গে গেল। (রাতে / ঘুম)
উত্তর: গভীর রাতে অকস্মাৎ তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেল।
৬। পশ্চিমের বড়ো বড়ো ……. দুই কানের পাশে এসে ……… জুড়ে দিল। (মশা / গান)
উত্তর: পশ্চিমের বড়ো বড়ো মশা দুই কানের পাশে এসে গান জুড়ে দিল।
ঠ) সঠিক উত্তরে (√) চিহ্ন দাও:
১। লালুর বাবা ছিলেন (ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার/ উকিল)।
= লালুর বাবা ছিলেন উকিল।
২। মশারির থেকে যে জল পড়েছিল, তা ছিল (বরফ / নুন / পাথর) গলা জল।
= মশারির থেকে যে জল পড়েছিল, তা ছিল বরফ গলা জল।
৩। লালুর কান্ড জেনে গুরুদেব (রেগে যান/হাসতে থাকেন/ বকতে থাকেন)।
= লালুর কান্ড জেনে গুরুদেব হাসতে থাকেন ।
৪। লালু গল্পটির লেখক (বঙ্কিমচন্দ্র / শরৎচন্দ্র / তারাশঙ্কর)।
= লালু গল্পটির লেখক শরৎচন্দ্র।
৫। গুরুদেব (ফরিদপুর / জব্বলপুর / মারহানপুর) অঞ্চলে বাস করতেন।
= গুরুদেব ফরিদপুর অঞ্চলে বাস করতেন।
ড) সাধুভাষা থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তরিত করো:
১। মাসিমা তাহাকে আসিতে দিলেন না।
উত্তর: মাসিমা তাহাকে আসতে দিলেন না।
২। নন্দরানি কাঁদিয়া ফেলিয়া বলিলেন।
উত্তর:নন্দরানি কেঁদে ফেলে বললেন ।
৩। শীঘ্র নামাইয়া লইয়া দেখিতে পাইলেন।
উত্তর:তাড়াতাড়ি নামিয়ে নিয়ে দেখতে পারলেন ।
৪। ইচ্ছা হইল ডাক ছাড়িয়া চিৎকার করেন।
উত্তর:ইচ্ছা হল ডাক ছেরে চিৎকার করেন ।
৫। গরুদেব অগত্যা তাহাতেই বসিলেন।
উত্তর:গুরুদেব নিরুপায় সেটাতেই বসল ।
৬। দিবস কয়েক পরে গুরুদেব আসিয়া উপস্থিত হইলেন।
উত্তর:কয়েকদিন পর গুরুদেব এসে হাজির হলেন ।
৭। ফিরিবার পথে নন্দরানিকে আশীর্বাদ করিয়া যাইবেন।
উত্তর:ফেরার পথে নন্দরানিকে আশীর্বাদ করে যাবেন ।
৮। এই বাড়িতে আনিয়া তাহার পদধূলি ফেলিয়াছেন।
উত্তর:এই বাড়িতে এনে তার পায়ের ধূলো ফেলেছেন ।
৯। সর্প দেখাইয়া একদা এমন বিপদে ফেলিয়াছিল।
উত্তর:সাপ দেখিয়া একসময় এমন বিপদে ফেলেছিল ।
১০। তোমরা ঠিকমত ধারণা করিতে পারিবে না।
উত্তর: তোমরা ঠিকমত ধারণা করতে পারবে না ।
ঢ) সত্য মিথ্যা বিচার করো:
১। শরৎচন্দ্র ‘ছেলেবেলা গল্প’ নাম দিয়ে কয়েকটি গল্প লিখেছেন-সত্য
২। ‘লালু’ নামে দুটি গল্প রয়েছে। -মিথ্যা
৩। শরৎচন্দ্রের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবীপুর গ্রামে।- মিথ্যা
৪। ছোটবেলায় ‘লালু’ নামে লেখকের এক বন্ধু ছিল।- সত্য
৫। শরৎচন্দ্রের ছদ্মনাম অনিলা দেবী।- সত্য
৪। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে সাথে দেওয়া প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
ছোটবেলায় ‘লালু’ নামে লেখকের এক বন্ধু ছিল। লেখক ও লালু একই ক্লাসে পড়তেন। লালুর মাথায় ছিল দুষ্টু বুদ্ধি সবাইকে ভয় দেখিয়ে জব্দ করত। একবার সে তার মাকে রবারের সাপ দিয়ে এমন ভয় দেখিয়েছিল যে পা মচকে তিনি সাত-আটদিন খুঁড়িয়ে হেঁটে ছিলেন। তিনি রাগ করে লালুর বাবাকে বললেন একজন মাস্টার রেখে দিতে।
ক) ছোট বেলায় লেখকের বন্ধু ছিল……… । (বলাই / লালু)
উত্তর:ছোট বেলায় লেখকের বন্ধু ছিল লালু ।
খ) লালুর একই ক্লাসে ………… বন্ধুটি পড়তেন। (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়/ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
উত্তর: লালুর একই ক্লাসে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বন্ধুটি পড়তেন।
গ) লালুর মাকে ……… সাপ দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। (রবারের / প্লাস্টিকের)
উত্তর: লালুর মাকে রবারের সাপ দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়।
ঘ) লালু মাথায় ছিল………। (দুষ্টু বুদ্ধি/ কূট বুদ্ধি)
উত্তর: লালু মাথায় ছিল দুষ্টু বুদ্ধি।
ঙ) লালু মা ………… দিন খুঁড়িয়ে হেঁটেছিলেন। (পাঁচ-সাতদিন / সাত-আটদিন)
উত্তর: লালু মা সাত-আটদিন দিন খুঁড়িয়ে হেঁটেছিলেন।
৫। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে সাথে দেওয়া প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায় এবং মাতা ভুবনমোহিনী দেবী। তাঁর শৈশব কেটেছে বিহারের জগলপুর তাঁর মামার বাড়িতে, তাই তাঁর লেখায় বারবার ভাগলপুরে প্রকৃতি ও জনপদ ঘুরে ফিরে এসেছে। শরৎচন্দ্র অসংখ্য গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লিখেছেন। ‘মন্দির’ গল্পটির জন্য ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার লাভ করেন। ‘শ্রীকান্ত’ তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস। শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাসগুলি ‘বড়দিদি’, ‘পল্লিসমাজ’, ‘বিরাজবৌ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেবদাস’ প্রভৃতি। এই মহান কথাশিল্পী ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।
ক। কত সালে শরৎচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন।
খ। শরৎচন্দ্রের পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ও মাতার নাম লেখো?
উত্তর:শরৎচন্দ্রের পিতা ও মাতার নাম ভুবনমোহিনী দেবী।
গ। শরৎচন্দ্রের শৈশব কোথায় কেটেছে?
উত্তর:শরৎচন্দ্রের শৈশব কেটেছে বিহারের ভাগল্পুর তাঁর মামার বাড়িতে।
ঘ। কোন্ গল্পটির জন্য শরৎচন্দ্র ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর: ‘মন্দির’ গল্পটির জন্য শরৎচন্দ্র ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার লাভ করেন।
ঙ। শরৎচন্দ্রের দুটি উপন্যাসের নাম লেখো?
উত্তর:শরৎচন্দ্রের দুটি উপন্যাসের নাম হল ‘বড়দিদি’ ও ‘পল্লিসমাজ’।
Text Book Solutions
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ (মান- ১)
ক। ‘লালু’ গল্পটি কার লেখা?
উত্তর: ‘লালু’ গল্পটি অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা।
খ। ‘লালু’ গল্পটি লেখকের কোন গল্পগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর:’লালু’ গল্পটি লেখকের ‘ছেলেবেলার গল্প’ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
গ। লালুর মা-র পা মচকে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: লালু একদিন বদমাইশি করে তাঁর মাকে একটি রবারের সাপ দেখিয়ে এমন বিপদে ফেলেছিল যে, লালুর মায়ের পা মচকে গিয়েছিল ।
ঘ। নন্দরানি কে?
উত্তর: নন্দরানি হল লালুর মা ।
৬। লালু তার মাকে কী দিয়ে ভয় দেখিয়েছিল?
উত্তর:লালু তার মাকে সাপ দিয়ে ভয় দেখিয়েছিল ।
চ। সূর্যগ্রহণ উপলক্ষ্যে কে কাশী এসেছেন?
উত্তর:সূর্যগ্রহণ উপলক্ষ্যে গুরুদেব স্মৃতিরত্ন কাশী এসেছেন ।
ছ। লালুর বাবা কী করতেন?
উত্তর:লালুর বাবা পেশায় একজন উকিল ছিলেন ।
জ। ‘স্মৃতিরত্ন’ কে?
উত্তর: ‘স্মৃতিরত্ন’ হলেন একজন নামকরা গুরুদেব ।
ঝ। স্মৃতিরত্বের বাড়ি কোথায় ছিল?
উত্তর:স্মৃতিরত্বের বাড়ি ফারিদপুরে ছিল।
ঞ। গুরুদেবের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল কোথায়?
উত্তর:গুরুদেবের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল লালুদের বাড়ির নীচতলার বর ঘরে ।
ট। গুরুদেব মনে মনে নন্দরানিকে আশীর্বাদ করলেন কেন?
উত্তর: সুকোমল শয্যার পারিপাট্যে প্রসন্ন হয়ে গুরুদেব মনে মনে নন্দরানিকে আশীর্বাদ করলেন ।
ঠ। গুরুদেব যেদিন লালুদের বাড়ি এসেছিল সে রাতটি কেমন ছিল?
উত্তর:গুরুদেব যেদিন লালুদের বাড়ি এসেছিল সে রাতটিতে খুব ঝড় – বৃষ্টি হয়েছিল এবং সেই রাতটি গুরুদেবের জন্য খুব কষ্টকর ছিল ।
ড। বাইরে বসে গুরুদেব কোন উপদ্রবের সম্মুখীন হয়েছিলেন?
উত্তর:বাইরে বসে গুরুদেব পশ্চিমের বড় বড় মশার সম্মুখীন হয়েছিলেন ।
ড। নন্দরানির দু চোখ অশ্রু-সজল হয়ে উঠেছিল কেন?
উত্তর:সারারাত স্মৃতিরত্ন খুব অসুবিধার মধ্যে দিয়ে ঘুমাতে পারেনি এবং সে খুব অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে রাত কাটিয়েছে তার এই করুন অবস্থা দেখে নন্দরানির দু চোখ অশ্রু-সজল হয়ে উঠেছিল।
ণ। নন্দরানি মশারি নামিয়ে কী দেখেছিল?
উত্তর:নন্দরানি মশারি নামিয়ে দেখেছিল ন্যাকড়ায় বাঁধা এক চাঙ্গর বরফ, সবটা গলেনি, তখনও একটুকরো বাকি আছে ।
ত। নন্দরানির বাড়িটি কত তলার?
উত্তর: নন্দরানির বাড়িটি তিন তলার ।
থ। নিজের নির্বুদ্ধিতা বুঝতে পেরে বৃদ্ধ কী করেছিলেন?
উত্তর:নিজের নির্বুদ্ধিতা বুঝতে পেরে বৃদ্ধ হা হা করে হেসে ফেলেছিলেন।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। “সেখান থেকে লিখে পাঠিয়েছেন”
কোন্ গল্পের অন্তর্গত ও লেখক কে?
তাঁর পত্রে কী লেখা ছিল এবং নন্দরানির আনন্দ হয়েছিল কেন?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশটি ‘লালু’ গল্পের অন্তর্গত। লেখক হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
– ‘তাঁর’ বলতে লালুর মা নন্দরানির গুরুদেব স্মৃতিরত্নকে বোঝানো হয়েছে। তাঁর পত্রে লেখা ছিল যে, তিনি সূর্যগ্রহণ উপলক্ষ্যে ফরিদপুর থেকে কাশীতে এসেছেন; ফেরবার পথে তাঁর শিষ্যা নন্দরানিকে আশীর্বাদ করে যাবেন। কয়েকবছর আগে লালুর বাবা তেতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। নন্দরানির আশা ছিল গুরুদেবকে বাড়িতে এনে তাঁর পায়ের ধুলো নেবেন; সেবাযত্ন করবেন। কিন্তু বৃদ্ধ গুরুদেব ফরিদপুর থেকে এত দূরে আসতে রাজি হননি। এবার সে সুযোগ আসায় নন্দরানির আনন্দ হয়েছিল।
খ। “হঠাৎ এমনি সময় অভাবনীয় নতুন উপদ্রব -” –
– ‘এমন সময়’ বলতে কোন সময় এবং নতুন উপদ্রবটি কী?
– উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি কী করেছিলেন?
উত্তর:নন্দরানীর পরিপাটি শয্যাতে গুরুদেব ঘুমানোর পর হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে যায় ঠাণ্ডা জলের ফোটা গুরুদেবের গায়ের ওপর পড়ায় । বার বার খাট এদিক থেকে ওদিক সরানোর পরও সেই সমস্যা থেকে তিনি রেহাই পাচ্ছিলেন না । একসময় পুরো বিছানাটাই ভিজে গিয়েছিল তার। তিনি ভেবেছিলেন নন্দরানীর বাড়ির ছাঁতটাই ফেটে গিয়েছে হয়ত । তাই ছাদ ভেঙ্গে মাথায় পড়ার ভয়ে স্মৃতিরত্ন বাইরের বারান্দায় বেরিয়ে গেলেন । বাইরেও ঘোর অন্ধকার, ঝোড় হাওয়ার সাথে বৃষ্টি সেখানেও দাঁড়াবার উপায় ছিল না তার। তাই তিনি লালুর বাবার গরিব মক্কেলের বসার বেঞ্চিতেই বসলেন । আর সেই সময়ই পশ্চিমের বড় বড় পঙ্গপালের মত ডাইস মশার উপদ্রব হল তার ওপর ।
– মশার উপদ্রব থেকে বাচতে দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করলেন তিনি। কিন্তু মশা তার পিছু ছাড়ল না । ঘরের মধ্যে জল আর ঘরের বাইরে মশার উৎপাত তাকে অসহ্য করে তুলেছিল । সেই মশার কামড় থেকে বাচতে গায়ের চারপাশে গামছার সঞ্চালন করতে থাকলেন তিনি । এতেও তিনি মশাদের হাত থেকে রেহাই পেলেন না ।
গ। “বলতে বলতেই তাঁর সহসা মনে হল-“
– এখানে তাঁর বলতে কার এবং তাঁর কী মনে হয়েছিল?
– তারপর তিনি কী করেছিলেন? কী দেখলেন তিনি?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটিতে তাঁর বলতে লালুর মা নন্দরানির কথা বলা হয়েছে । গুরুদেবের সাথে কথা বলতে বলতে তার মনে হয়েছিল এরকম শয়তানি বুদ্ধি তাঁর ছেলে লালু ছাড়া আর কারোর থাকতে পারে না ।
– যখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এরকম দুষ্টুমি তার ছেলেই করতে পারে তখন তিনি ছুটে গিয়ে বিছানা হাতড়ে দেখেন মাঝখানে চাদর অনেকখানি ভিজে মশারি বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরছে । তাড়াতাড়ি মশারি নামিয়ে নিয়ে দেখতে পেলেন ন্যাকড়ায় বাঁধা এক চাঙ্গর বরফ । সবটা তখনও গলেনি, একটুকরো বাকি ছিল ।
ঘ। “ফিতের খাট ভারি নয়, মশারি সুদ্ধ সেটা ঘরের আর একধারে টেনে নিয়ে গিয়ে আবার শুয়ে পড়লেন।”
– উদ্ধৃতাংশের লেখক কে ও কোন্ গল্প থেকে গৃহীত?
– ঘরে কী ঘটেছিল এবং তিনি কী করেছিলেন? –
উত্তর:উদ্ধৃতাংশের লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও ‘লালু’ গল্প থেকে গৃহীত।
– লালুর মা পরিপাটি করে শয্যা তৈরি করে দিয়ে যাবার পর গুরুদেব খুব সন্তুষ্টিতে ঘুমাচ্ছিলেন । কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেল । ছাদ চুইয়ে মশারি ভেদ করে তার পেটের ওপর জল পড়তে থাকল । তখন তিনি ভাবলেন নন্দরানির বাড়ির ছাদ পশ্চিমের কড়া রোদের কারনে এই মধ্যেই হয়তো ফেটে গিয়েছে । তাই তিনি বার বার খাটটিকে এদিক থেকে ওদিক করতে লাগলেন । কিন্তু কোথাও জল পড়া বাকি ছিল না। ইতি মধ্যে সমস্ত বিছানাই ভিজে গিয়েছিল ওনার। সেই বিছানার মধ্যে আর শোবার উপায় ছিল না । অচেনা জায়গায় বাইরে বেরোতেও ভয় পাচ্ছিলেন তিনি । ছাদ ভেঙ্গে মাথায় পরে যদি সেই ভয়ও ছিল তার তাই তিনি দরজা খুলে বাইরের বারান্দায় বেরিয়ে গেলেন ।
৫। “গায়ের অর্ধেক রক্ত বোধ করি আর নেই মা।”
– কে, কাকে এবং কেন বলেছিলেন? –
উত্তর:”গায়ের অর্ধেক রক্ত বোধ করি আর নেই মা।”- এই গল্পে স্মৃতিরত্ন লালুর মাকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তিটি করেছিলেন ।
কারণ সারারাতের বৃষ্টি -বাদল গুরুদেবের গায়ে ওপর পরেছে । ঘরের ভেতর খাট টেনে এদিক ওদিক সরালেও তার থেকে রেহাই পাননি তিনি । খাট ভেঙ্গে মাথায় পড়ার ভয়ে তিনি বাইরে পালিয়ে গেলেন । কিন্তু সেখানেও তাকে নতুন উপদ্রবের সম্মুখীন হতে হয়েছিল । পঙ্গপালের মত ডাঁশ মশা ঝাঁকে ঝাঁকে সারারাত তাকে কামড়ে খেয়েছে । এরজন্য সারারাত তিনি ছুটোছুটি করেছেন । তাঁর শরীরের অর্ধেক রক্ত যেন মশা খেয়ে নিয়েছে এই ভেবে তিনি নন্দরানিকে মন্তব্যটি করেছেন ।
চ। “তাঁর নিজের কখনো মাস্টার ছিল না।”
– তিনি কীভাবে লেখাপড়া করেছেন ও ছেলের জন্য তিনি কী চান?
উত্তর:এখানে লালুর বাবার কথা বলা হয়েছে । তিনি একজন বড় উকিল । তাঁর নিজের কখনো মাস্টার ছিল না । নিজের চেষ্টায় অনেক দুঃখ – কষ্ট সয়ে লেখা – পড়া করেছেন তিনি । এবং জীবনে সফলও হয়েছেন ।
তিনি যেভাবে কোন মাষ্টার ছাড়া নিজের চেষ্টায় অনেক বড় উকিল হয়েছে তার ছেলেও যাতে সেভাবেই বিদ্যালাভ করতে পারে । এটাই চান তিনি।
ছ। গুরুদেব আসার পর লালুর মার ব্যস্ততার বিষয়টি গুছিয়ে লেখো।
উত্তর:গুরুদেব বাড়িতে আসার পর নন্দরানি তার আদর – আপ্যায়নে যথেষ্ট ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। একদিকে মিষ্টান্নাদি তৈরি করতে লাগলো । আরেকদিকে ফল-ফুল সাজাতে লালুর মা নিশ্বাস নেওয়ার সময় পাচ্ছিল না । তারই মধ্যে পরিপাটী করে বিছানাও করে দিলেন গুরুদেবের জন্য।
জ। “আত্মমর্যাদা যথেষ্ট লাঘব হল”
– কার, কেন আত্মমর্যাদা যথেষ্ট লাঘব হয়েছিল?
উত্তর: উপরিউক্ত লাইনটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর ‘লালু’ নামক গল্পের অংশ । – এখানে গুরুদেব স্মৃতিরত্নের আত্মমর্যাদা লাঘবের কথা বলা হয়েছে ।
ঘরের ভেতরে বৃষ্টির জলের জন্য গুরুদেব সেখানে ঘুমোতে পারছিলেন না । অন্ধকারে বাইরে বেরোতেও ভয় পাচ্ছিলেন তিনি । কিন্তু ঘরের ছাদ মাথায় ভেঙ্গে পরার ভয়ে তিনি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে চেঁচিয়ে সবাইকে ডাকার পরও কেউ সাড়া দিচ্ছিল না । বারান্দার একধারে একটি বেঞ্চি ছিল, যেটাতে লালুর বাবার গরিব মক্কেলরা বসত। কোন উপায় না পেয়ে গুরুদেব সেটাতেই বসল।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। পদ পরিবর্তন করো:
১) আক্রমণ –আক্রান্ত
২) দোষ- দোষী
৩) উকিল- ওকালতি
৪) জল- জলীয়
৫) লজ্জা- লজ্জিত
৬) ব্যস্ত- ব্যস্ততা
গ। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
১) অন্ধকার- আলো
৩) ধনী- গরীব
৪) আশীর্বাদ- অভিশাপ
৫) উপস্থিত- অনুপস্থিত
৬) অর্ধ- সম্পূর্ণ
৭) অব্যক্ত- ব্যক্ত
ছ। শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১) চট্টোপাধ্যায়/চট্টোপাধ্যায়/চট্টপাধ্যায়
শুদ্ধঃ চট্টোপাধ্যায় –
২) গৃহস্ত/গৃহস্থ/গ্রিহস্থ
শুদ্ধঃগৃহস্থ
৩) আশীর্ব্বাদ/আশির্বাদ/আশীর্বাদ
শুদ্ধঃআশীর্বাদ
৪) আত্মমর্যাদা/আত্মময্যাদ্য/আত্মমর্য্যাদা
শুদ্ধঃআত্মমর্যাদা
৫) স্তানপ্রস্ট/স্থানভ্রস্ট/স্থানভ্রষ্ঠ
শুদ্ধঃস্থানভ্রষ্ঠ
Chapter 11: Chelebela