Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 10 ইতর প্রাণীদের দয়া
Complete solutions for the Chapter 10 ইতর প্রাণীদের দয়া of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
Text Book Solution
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
ক। ইতর প্রাণীদের সম্পর্কে আমাদের সাধারণ ধারণা কী?
উত্তর: ইতর প্রাণীদের সম্পর্কে আমাদের সাধারণ ধারণা এই যে, তাদের কোনো স্নেহ, দয়া, মায়া ও কর্তব্য বোধ নেই।
খ। কোনো বানরশিশু মাতৃহারা হলে অন্য বানরী কী করে?
উত্তর:কোনো বানরশিশু মাতৃহারা হলে অন্য বানরী তাকে অপত্য নির্বিশেষে লালন পালন করে।
গ। জনৈক ইংরেজ ভদ্রলোক কোন পাখির অদ্ভুত পরসেবার কথা বলেছেন?
উত্তর:জনৈক ইংরেজ ভদ্রলোক টিয়া পাখির অদ্ভুত পরসেবার কথা বলেছেন।
ঘ। ডারউইন কী দেখেছিলেন?
উত্তর:ডারউইন মুরগিরদের মধ্যে অন্ধের সেবা করতে দেখেছিলেন।
ঙ। আমাদের দেশে কাকেরা কী করে?
উত্তর:আমাদের দেশে কাকেরাও স্বজাতীয় অন্ধের সেবা ও যত্ন করে।
চ। জনৈক ইংরেজ ভদ্রলোক তাঁর ভ্রমণ বৃত্তান্তে যে দেশের কথা বলেছেন সেই দেশের নাম কী?
উত্তর:জনৈক ইংরেজ ভদ্রলোক তাঁর ভ্রমণ বৃত্তান্তে যে দেশের কথা বলেছেন সেই দেশের নাম আবিসিনিয়া।
ছ। ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ রচনায় উল্লেখিত ক্ষুদ্র বেবুনটিকে কারা ঘিরে ফেলেছিল?
উত্তর:’ইতর প্রাণীদের দয়া’ রচনায় উল্লেখিত ক্ষুদ্র বেবুনটিকে কুকুরেরা ঘিরে ফেলেছিল।
জ। কোন ক্ষুদ্র প্রাণীর মধ্যে বন্ধুত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর:কোন ক্ষুদ্র প্রাণীর মধ্যে বন্ধুত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে
ঝ। বেবুন কোন্ জাতীয় প্রাণী?
উত্তর:বেবুন বানর জাতীয় প্রাণী।
ঞ। মানুষ অহংকারে অন্ধ হয়ে কাদের অবজ্ঞা করে?
উত্তর:মানুষ অহংকারে অন্ধ হয়ে পশু-পাখিদের অবজ্ঞা করে।
ট। ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ রচনাটি কার লেখা?
উত্তর:’ইতর প্রাণীদের দয়া’ রচনাটি জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা।
ঠ। শামুক দেখে কোনো কোনো ছেলে কী করে?
উত্তর:শামুক দেখে কোনো কোনো ছেলে পা দিয়ে পিষিয়ে দেয়।
ড। ক্ষুদ্রাকার বেবুনটিকে কে রক্ষা করেছিল?
উত্তর: ক্ষুদ্রাকার বেবুনটিকে বৃহৎ সবল বেবুন রক্ষা করেছিল।
ঢ। লেখক কাদের জীবজন্তুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতে বলেছেন?
উত্তর:লেখক মানুষদের জীবজন্তুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতে বলেছেন।
ণ। কী দেখামাত্র কত ছেলে পা দিয়ে পিষে মারে?
উত্তর:শামুক দেখামাত্র কত ছেলে পা দিয়ে পিষে মারে।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। “আমাদের সাধারণ ধারণা এই যে, স্নেহ, মায়া, মমতা প্রভৃতি বুঝি মানুষেরই একচেটিয়া অধিকার।”
– কোন রচনায় ‘আমাদের’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
‘একচেটিয়া অধিকার’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর:- জগদীশচন্দ্র বসুর ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ রচনায় ‘আমাদের’ বলতে মানব সম্প্রদায়কে বোঝানো হয়েছে।
– কেউ কেউ মনে করেন, সবকিছুতেই কেবল তারই একমাত্র অধিকার। একচেটিয়া অধিকার বলতে এটাই বোঝায়। সাধারণ মানুষের ধারণা এই যে দয়া, মায়া, মমতা এইসব গুণ কেবল মানুষেরই আছে, আর কোনো প্রাণীর নেই। মানুষ মনে করে এইসব হল মানবিক গুণ। বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর মতে এইসব গুণাবলি ইতর প্রাণীদের মধ্যেও বর্তমান। এ বিষয়ে তিনি কয়েকটি দৃষ্টান্তেরও উল্লেখ করেছেন।
খ। “পশু-পক্ষীদের মধ্যে মাতৃস্নেহ ও ভালোবাসার দৃষ্টান্ত তোমরা অনেক শুনিয়া থাকিবে।”
‘তোমরা’ বলতে এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে?
পশুপক্ষীদের মধ্যে মাতৃস্নেহ ও ভালোবাসার কিছু দৃষ্টান্ত দাও।
উত্তর:- ‘তোমরা’ বলতে এখানে মানুষ জাতির কথা বলা হয়েছে।
– সন্তানদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পশু- পক্ষী মাতাও আমাদের মায়ের মতোই প্রাণ দিতে সবসময় প্রস্তুত। সেরকম ই দৃষ্টান্ত হিসাবে বলা যায়- বানরদের মধ্যে দেখা গিয়েছে যে, কোনো বানর শিশু যদি মাতৃহীন হয় তাহলে অন্য বানরী তাকে মায়ের মতন করে লালন- পালন করে। পাখিদের যুগলের মধ্যে একজন মারা গেলে অন্য জন গভীরভাবে শোকাগ্রস্ত হয়।
গ। “মানুষ এই অহংকারে অন্ধ হইয়া পশুপাখিদিগকে অবজ্ঞা করে।”
– মানুষ পশু পাখিদের অবজ্ঞা করে কেন?
উত্তর:- উপরিউক্ত অংশটি জগদীশচন্দ্র বসুর ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ গদ্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে। মানুষ হল সামাজিক জীব। মানুষ জাতিরা মনে করে এই যে স্নেহ, মায়া, দয়া, মমতা প্রভৃতি অনুভূতি কেবল মাত্র মানুষেরই থাকতে পারে। এই অধিকার মানুষদের এক চেটিয়া অধিকার। ইতর প্রাণীদের মধ্যে এইসব কোনো অনুভূতি বা অধিকার নেই। পশু- পাখিরা কেবল নিজেদের মধ্যে সবসময় নিষ্ঠুর ব্যবহার করে। এই সব ভুল ধারণার কারণেই মানুষ পশু- পাখিদের অবজ্ঞা করে। এক সাথে এক জগতে বাস করেও তাদের সুখ – দুঃখের প্রতি নিতান্ত উদাসীন থাকে।
ঘ। ‘এক সঙ্গে একজগতে বাস করিয়াও তাহাদের সুখ-দুঃখের প্রতি উদাসীন থাকে।’
কাদের সুখ-দুঃখের প্রতি কারা উদাসীন থাকে?
এই উদাসীনতার কারণ কী?
উত্তর:- উপরিউক্ত লাইনটি জগদীশচন্দ্র বসুর ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ গদ্য থেকে গৃহীত হয়েছে। এই গল্পে ইতর প্রাণীদের সুখ- দুঃখের প্রতি মানুষ সম্প্রদায় উদাসীন থাকে।
মানুষ হল একটি সামাজিক জীব। এরা ভাবে এদেরই কেবল মায়া, মমতা, সুখ, দুঃখ প্রভৃতি অনুভূতি আছে। মানুষদের মতে পশু- পাখিদের মায়া, মমতা বা সুখ, দুঃখ কোনো ধরণের অনুভূতি নেই। ইতর প্রাণী পরস্পরের মধ্যে সর্বদাই নিষ্ঠুর ব্যবহার করে। তাই মানুষেরা একই পৃথিবীতে বসবাস করেও ইতর প্রাণীদের প্রতি উদাসীন থাকে। তবে মানুষের এই ধারণা একেবারেই ভুল। ইতর প্রাণীদের মধ্যেও এইসব গুণাবলী দেখা যায়।
ঙ। ক্ষুদ্র পিপীলিকাদের মধ্যে বন্ধুত্বের কী প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর:- ক্ষুদ্র পিপীলিকাদের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। একদল পিপীলিকাকে নানাভাগে বিভক্ত করে তিন- চার মাস পরে একস্থানে ছেড়ে দিলে তাদের মধ্যে যে বন্ধুর সমাগমে আনন্দ দেখা যায় , তা থেকেই বোঝা যায় তিন- চার মাসেও এদের বন্ধুত্ব বিস্মৃত হয় না এটাই প্রমান হয়। কোনো পিপীলিকা অপরিচিত হলে এক জাতীয় পিপীলিকার মধ্যে দিলেই বিরোধ শুরু হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে বিরোধিতার সময় বন্ধুর সাথে বন্ধুই সংঘর্ষণ হয়, কিন্তু সেটি টের পাওয়া মাত্র পরস্পরের মধ্যে যেন অনুনয় – বিনয় ক্ষমা প্রার্থনা চলতে থাকে।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। বাক্য রচনা করো:
১) মমতা পশু-পাখিদের প্রতি মমতা প্রদর্শন কর্তব্য।
২) উদাসীন-সে উদাসীন হয়ে ঘুরে বেড়ায় ।
৩) দৃষ্টান্ত- পশু- পাখিদের মধ্যেও বন্ধুত্বের অনেক দৃষ্টান্ত লক্ষ করা যায়।
৪) লালন-পালন- আমার মা আমাকে লালন- পালন করে বড়ো করেছে ।
৫) ক্ষুদ্রকায়- সেই বেবুনটি দেখতে ক্ষুদ্রকায় ছিল।
৬) বিরোধ- শত্রুদলের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ দেখা যায়।
৭) ক্ষুধার্ত- পৃথিবীতে অনেক ক্ষুদার্থ মানুষ পথে পথে ঘুরে বেড়ায়।
গ। পদ পরিবর্তন করো:
১১) আহার –আহার্য
২) অধিকার-আধিকারিক
৩) পরস্পর-পরস্পরতা
৪) উদাসীন-উদাসীনতা
৫) অন্ধ- অন্ধত্ব
৬) বিরোধ- বিরোধিতা
৭) মমতা-মমতাময়
ঘ। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
১) বন্ধু-শত্রু
২) অহংকার –নিরহঙ্কার
৩) দুর্বল- সবল
৪) নির্জীব –সজীব
৫) ক্ষুদ্র-বৃহৎ
৬) সুস্থ- অসুস্থ
৭) নিষ্ঠুর- অনিষ্ঠুর
৮) নির্জীব –জীব
ঙ। শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১) অদ্ভূত/অদ্ভুত/অদ্ভুৎ
শুদ্ধ – অদ্ভুত
২) ব্যক্তি/ব্যাক্তি/বেস্তি
শুদ্ধ -ব্যক্তি
৩) পিপিলিকা/পীপিলিকা/পিপীলিকা
শুদ্ধ -পিপীলিকা
৪) পরিষ্কার/পরিস্কার/পরীষ্কার
শুদ্ধ -পরিষ্কার
৫) নী:স্বার্থ/নি:স্বার্থ/নিস্বার্থ
শুদ্ধ -নি:স্বার্থ
Work Book Solution
শব্দার্থ লেখো:
১। স্নেহ- ভালোবাসা
২। একচেটিয়া-একচেটে
৩। ইতর- অভদ্র
৪। পরস্পর- একে অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত
৫। অবজ্ঞা- অনাদর
৬। নিতান্ত- খুব
৭। উদাসীন- নিরপেক্ষ
৮। ন্যয়- সুবিচার
৯। অপত্য- সন্তান
১০। শোক- মানসিক আঘাত
১১। দৃষ্টান্ত- উদাহরন
১২। নিঃস্বার্থতা- স্বার্থহীন
১৩। পীড়িত- রোগগ্রস্ত
১৪। হৃষ্টপুষ্ট- মোটাসোটা
১৫। অনুসন্ধান- তদন্ত
১৬। স্বজাতীয়- নিজের জাতির অন্তর্ভুক্ত
১৭। বৃত্তান্ত- বিবরণ
১৮। পাল- দল
১৯। বিভক্ত- খণ্ডিত
২০। বিস্মৃত- স্মরনে নেই।
২১। বিরোধ- কলহ
২২। প্রতিদ্বন্দ্বিতা- পরস্পর দ্বন্দ্ব
২৩। সংঘর্ষণ- সঙ্ঘাত
২৪। টের- আন্দাজ
২৫। অনুনয়- অনুরোধ
২৬। সচরাচর- প্রায়শই
২৭। প্রাচীর- দেওয়াল
২৮। পুনরায়- আবার
২৯। নিতান্ত- একান্ত
৩০। নির্বিশেষে- সমভাবে
৩১। সাক্ষাৎ- সদৃশ
৩২। পিষিয়া- পেষা
৩৩। সুস্থ- রোগহীন
৩৪। সুবিখ্যাত- সুখ্যাত
৩৫। দয়া- কৃপা
৩৬। বিনয়- শান্ত
৩৭। জগত- বিশ্ব
৩৮। পন্ডিত- জ্ঞানী
৩৯। প্রমাণ- সাক্ষী
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
ক।’ইতর প্রাণীদের দয়া’ গদ্যাংশটি কার লেখা?
উত্তর: ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ গদ্যাংশটি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা।
খ) জগদীশ চন্দ্র বসু কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:জগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
গ) ‘অহংকারে অন্ধ’- লেখক কাদের সম্পর্কে একথা বলেছেন?
উত্তর:’অহংকারে অন্ধ’ – লেখক মানুষদের সম্পর্কে একথা বলেছেন।
ঘ) “প্রাণ দিতে সর্বদাই প্রস্তুত।”-কারা, কাদের জন্য সর্বদা প্রাণ দিতে প্রস্তুত?
উত্তর:পশু- পাখিদের মায়েরা তাদের সন্তানের জন্য সর্বদা প্রাণ দিতে প্রস্তুত।
ছ) ডারউইন কে?
উত্তর:ডারউইন ছিলেন একজন ইংরেজ প্রকৃতিবিদ।
জ) পাখিটি কী রকম ছিল?
উত্তর: পাখিটি ছিল পঙ্গু ও শীতে মৃতপ্রায়।
ঝ) আবিসিনিয়া কোথায় অবস্থিত?
উত্তর:আবিসিনিয়া আফ্রিকার শিং অঞ্চলটিতে অবস্থিত।
ঞ) কে, কখন একপাল বেবুনের সম্মুখীন হন?
উত্তর:একজন ইংরেজ আবিসিনিয়া দেশে ভ্রমণ করতে করতে একপাল বেবুনের সম্মুখীন হন।
ট) ‘বেবুন’ কী?
উত্তর: বেবুন হল বানর জাতীয় একটি প্রাণী।
ঠ) আবিসিনিয়া কী?
উত্তর: আবিসিনিয়া একটি জায়গা যেখানে ইংরাজি ভাষীর লোক বসবাস করে।
ড) “ইহারা বন্ধুত্ব বিস্মৃত হয় না”- ‘ইহারা’ কারা?
উত্তর:”ইহারা বন্ধুত্ব বিস্মৃত হয় না”- ‘ইহারা’ হল পিঁপড়েরা।
ঢ) প্রাণীতত্ত্ববিদ পন্ডিত’ কোন্ দেশের লেখক ছিলেন?
উত্তর: প্রাণীতত্ত্ববিদ পন্ডিত’ রাশিয়ার লেখক ছিলেন।
ণ)’ক্ষুধার্ত’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর:’ক্ষুধার্ত’ শব্দের অর্থ ভোজনের ইচ্ছা।
ত)পেলিকান কী?
উত্তর: পেলিকান একটি পাখি।
থ) কোন্ দেশ ভ্রমণ করতে গিয়ে বেবুনের দেখা পাওয়া গিয়েছিল?
উত্তর: আবিসিনিয়া দেশ ভ্রমণ করতে গিয়ে বেবুনের দেখা পাওয়া গিয়েছিল।
২। রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর:
ক) “সেই ইংরাজের কুকুরগুলি তাহাকে ঘিরিয়া ফেলিল।”
অ) উদ্ধৃত অংশটি কার লেখা, কোন্ গদ্যাংশের অন্তর্গত?
আ) ‘কুকুরগুলি তাহাকে ঘিরিয়া ফেলিল’ কেন?
উত্তর: অ) উদ্ধৃত অংশটি জগদীশচন্দ্র বসু-র লেখা এবং ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ গদ্যাংশের অন্তর্গত।
আ) কুকুর তার স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে অপরিচিত কোন প্রাণী বা লোককে দেখে চিৎকার করতে থাকে এবং তাকে আক্রমণ করে। আবিসিনিয়া দেশে ভ্রমণরত ঐ ইংরেজের সঙ্গে তার একপাল কুকুর ছিল। একপাল বানরের মুখোমুখি হন এক ভদ্রলোক। ইংরেজ ভদ্রলোককে দেখে বানরের দল পালাল। একটি দুর্বল বানরকে আক্রমণের জন্য ও তাকে ভয় দেখানো জন্যে ইংরেজ ভদ্রলোকের কুকুরগুলি ঘিরে ফেলল।
খ) বেবুনের মতন বীরত্ব আমাদের কয়জনের আছে?”
অ) অংশটি কার লেখা ও কোন্ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত?
আ) বেবুনের বীরত্বের বর্ণনা দাও।
উত্তর:অ)”বেবুনের মতন বীরত্ব আমাদের কয়জনের আছে?”- অংশটি জগদীশচন্দ্র বসু-র লেখা ও ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ পাঠ্যাংশের অন্তর্গত
আ) একদা একদল বেবুনের দল একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছিল। হঠাৎ করে তারা মানুষের সামনে এসে পরে এবং সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায় সেখান থেকে। কেবল একটা দুর্বল ক্ষুদ্রকায় বেবুন সেখান থেকে পালাতে পারে না এবং সে একটি ছোট পাথরের ওপরে পরে থাকে। এমন সময়ে ইংরেজ সাহেবের কতগুলো কুকুর তাকে ঘিরে ফেলে এবং সে ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। তারপর এক বড় শক্তিশালী বেবুন এসে কুকুরগুলোকে তাড়িয়ে সেই ক্ষুদ্রকায় বন্ধুকে পিঠে করে মহাজয়োল্লাস করতে করতে চলে যায়। বেবুনের এই কাজে বীরত্ব এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
গ) “মানুষ এই অহংকারে অন্ধ হইয়া পশু-পাখিদিগকে অবজ্ঞা করে”
অ) কোন্ রচনায়, কে একথা বলেছেন?
আ) আদৌ কী পশু-পাখি-অবজ্ঞার যোগ্য?
উত্তরঃ অ) উপরিউক্ত আংশটি ‘ইতর প্রাণীদের দয়া’ রচনায়, জগদীশচন্দ্র বসু একথা বলেছেন।
আ) কবি এই গদ্যাংশের মধ্য দিয়ে পশু- পাখিদের স্নেহ, মায়া, মমতা প্রভৃতি অনুভূতিকে তুলে ধরেছেন। মানুষ ও তাদের মধ্যে অনেক তফাৎ থাকলেও, মানুষের যেমন অনুভূতি আছে সেরকম ইতর প্রাণীদেরও আছে। কিন্তু মানুষেরা ভাবে ইতর প্রাণীদের মধ্যে স্নেহ, মায়া, মমতা কোনো রকমের অনুভূতি নেই, তারা শুধু পরস্পরের সাথে নিষ্ঠুর ব্যবহার করে। যে সকল সহৃদয়ের ব্যক্তিরা পশু- পাখিদের জীবন নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা দেখেছেন যে তাদের জীবনও ঠিক মানুষের মত সুখ-দুঃখ পূর্ণ। তাদের মধ্যেও স্নেহ- দয়া- মায়া- আছে এমনকি তাদের থেকে মানুষের অনেক কিছু শেখার আছে। তাই পশু- পাখিরা আদেও অবজ্ঞার যোগ্য না।
ঘ) “তাঁহার ভ্রমণ বৃত্তান্তে লিখিয়াছেন যে”
–ভ্রমণ বৃত্তান্তে কী লেখা আছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর:’ইতর প্রাণীদের দয়া’এই গদ্যাংশে একজন ইংরেজ তার ভ্রমণ বৃত্তান্তে লিখিছেন যে তিনি আবিসিনিয়া দেশে ভ্রমনে গিয়েছিলেন। সেখানে ঘুরতে ঘুরতে একদল বেবুনের সাথে তার দেখা হয়। তারা দল বেঁধে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছিল। হঠাৎ তারা মানুষের সম্মুখে পরে এবং তারা ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু তাদের মধ্যেকার এক ক্ষুদ্র দুর্বল বেবুন পালাতে পারে না এবং একটি ছোট পাথরের ওপরে পরে থাকে। তারপর পরে থাকা দুর্বল বেবুনটিকে ইংরেজ সাহেবের কুকুর ঘিরে ফেলে। এরপর সেই বেবুনটি ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। ইংরেজ ভদ্রলোকটি কুকুরের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে যাবার আগেই পাল থেকে এক বড় শক্তিশালী বেবুন এসে কুকুরগুলোকে তাড়িয়ে দেয়। তারপর সেই দুর্বল বন্ধুকে পিঠে নিয়ে মহাজয়ল্লাস করতে করতে চলে যায়।
ঙ) “আমাদের জননীর ন্যায় প্রাণ দিতে সর্বদাই প্রস্তুত।”
অ) কারা, কাদের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত?
আ) আমাদের জননীর ন্যায় বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: অ)”আমাদের জননীর ন্যায় প্রাণ দিতে সর্বদাই প্রস্তুত।”পশু- পক্ষী মাতারাও তাদের সন্তানদের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত।
আ) সকল মায়েদেরই সন্তানদের প্রতি একটি আলাদাই টান থাকে। কোনো মায়েরাই সন্তানকে অসুখী থাকতে দেখতে পারে না। বিশেষত সন্তানেরা কোনো বিপদে পরলে মায়েরা তাদের বিপদমুক্ত করতে প্রাণ পর্যন্ত দিতে পারে। তাই আমদের মায়েদের যেমন তাদের সন্তানের প্রতি স্নেহ – মায়া – মমতা আছে তেমনই পশুপাখিদের মায়েদেরও তাদের সন্তানদের প্রতি স্নেহ – মায়া – মমতা আছে। তারাও আমাদের মায়ের মত সন্তানের জন্য প্রাণও দিতে পারে। তাই পশু- পাখিদের জননীকে আমাদের জননীর ন্যায় বলা হয়েছে।
জ) “আজ জন্তুদের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি দৃষ্টান্ত দিব।”
অ) বক্তব্যটি কার ও কোন্ রচনার অন্তর্গত?
আ) এই প্রসঙ্গ বন্যটিয়ার যে দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করো।
উত্তর:অ) বক্তব্যটি বিজ্ঞানী জগদীশ্বচন্দ্র বসুর ও ইতর প্রাণীদের দয়া রচনার অন্তর্গত।
আ) বাউটন নামক একজন ইংরেজ প্রকৃতিবীদ এক বন্য টিয়ার অদ্ভুত পরিসেবার কথা বলেছেন। বন্য টিয়াটি অন্য জাতীয় একটি পঙ্গু ও শীতে মৃতপ্রায় পাখিকে আশ্রয় দিয়ে প্রতিদিন তার পালকগুলি পরিষ্কার করে দিত। তার জন্য খাবারের জোগাড় করতো। এবং তাকে অন্য অন্য পাখিদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক) বাক্য রচনা করো:
১। চিৎকারঃ বেশি জোরে চিৎকার করো না, গলা ব্যথা করবে।
২। দুর্বল: বেবুনটি ছিল দুর্বল ও ক্ষুদ্র।
৩। অনেক: রাম তাদের বাড়িতে অনেকগুলো ফুলগাছ লাগিয়েছে।
৪। জন্তু: জন্তুদের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো হল হাতী।
৫। অনুনয়: সে তার মাকে অনেক অনুনয় করে ঘুরতে যাওয়ার কথায় রাজি করিয়েছে।
গ) পদ পরিবর্তন করো:
১। লালন – লালিত
২। সবলতা- সবল
৩। প্রদর্শন- প্রদর্শিত
৪। দুর্বল- দুর্বলতা
৫। আশ্চর্য-আশ্চর্যনীয়
৬। প্রমাণ- প্রমান্য
৭। আনন্দ- আনন্দিত
৮। বন্ধু- বন্ধুত্ব
৯। আহরণ- আহরিত
১০। প্রত্যহ- প্রাত্যহিক
১১। জন্তু- জান্তব
১২। জগৎ- জাগতিক
১৩। ব্যবহার- ব্যবহারিক
১৪। নিষ্ঠুর –নিষ্ঠুরতা
১৫। সুখ- সুখী
১৬। দুঃখ- দুঃখী
১৭। ক্ষুধা- ক্ষুধার্ত
১৮। বীরত্ব-বীর
১৯। অপেক্ষা-আপেক্ষিক
২০। দয়া- দয়ালু
২১। অবজ্ঞা-অবজ্ঞেয়
২২। মায়া- মায়াবী
২৩। পালন- পালিত
২৪। শোক-শোকাগ্রস্ত
২৫। ঘৃণা- ঘৃণ্য
২৬। ভদ্র- ভদ্রতা
২৭। সাহায্য-সাহায্যকারী
২৮। শিক্ষা- শিক্ষিত
২৯। শীত- শীতলতা
ঘ) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
১। ঘৃণা- ভালোবাসা
২। একজাতীয়- বহুজাতীয়
৩। বিনয়-অসভ্য
৪। বীরত্ব –কাপুরুষ
৫। অপরিচিত – পরিচিত
৬। ক্ষুদ্রকায় –বৃহদাকায়
৭। দল- একা
৮। স্বজাতীয় – বিজাতীয়
৯। আশ্রয়- আশ্রয়হীন
১০। নি:স্বার্থতা- স্বার্থতা
১১। প্রস্তুত- অপ্রস্তুত
১২। জীবন-মরণ
১৩। সুখাদ্য- অখাদ্য
১৪। পূর্ণ- শুন্য
১৫। দুঃখ-আনন্দ
১৬। ইতর- নম্র
১৭। অধিকার-অনধিকার
১৮। দয়া-নির্দয়া
১৯। নিকট- দূর
২০। গভীর- অগভীর
২১। বৃহৎ- ক্ষুদ্র
২২। আনন্দ- নিরানন্দ
২৩। উপস্থিতি-অনুপস্থিতি
২৪। পরিষ্কার- নোংরা
২৫। সুস্থ- অসুস্থ
২৬। স্বার্থ- নিঃস্বার্থ
২৭। পূর্বে- পরে
২৮। জননী- পিতা
২৯। শীত- গরম
৩০। আরম্ভ- শেষ
৩১। ভুল- নির্ভুল
৩২। মৃত্যু- জন্ম
৩৩। বিভক্ত- অবিভক্ত
৩৪। দেশ- বিদেশ
ঙ) শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১। পীপিলিকা / পিপীলিকা / পিপিলিকা
শুদ্ধঃ পিপীলিকা
২। পীড়িত / পিড়ীত / পিড়িত
শুদ্ধঃ পীড়িত
৩। অপত্য / অপথ্য / অপাত্য
শুদ্ধঃ অপত্য
৪। দৃস্টান্ত/ দৃষ্টান্ত/ দৃস্টান্ত
শুদ্ধঃ দৃষ্টান্ত
৫। হৃষ্টপুষ্ট / হৃষ্টপুষ্ট / হস্টপুস্ট
শুদ্ধঃ হৃষ্টপুষ্ট
৬। আবিসনিয়া / আবিসানিয়া / আবিসিনিয়া
শুদ্ধঃ আবিসিনিয়া
৭। নির্বিশেষ / নির্বিশেষ / নির্বিসেশ
শুদ্ধঃ নির্বিশেষ
৮। জয়ল্লাস / জয়োল্লাস / জয়োল্লাস
শুদ্ধঃ জয়োল্লাস
৯। প্রদর্শন / প্রদর্সন / প্রদর্ষন
শুদ্ধঃ প্রদর্শন
১০। সঙ্ঘর্ষন / সংঘর্ষণ / সংঘর্ষন
শুদ্ধঃ সংঘর্ষণ
১১। পরস্পর / পরষ্পর / পড়স্পর
শুদ্ধঃ পরস্পর
১২। শুদার্থ / খুদার্ত / ক্ষুধার্ত
শুদ্ধঃ ক্ষুধার্ত
১৩। প্রতিদ্বন্দ্বিতা / প্রতীদ্বন্দিতা / প্রতিদ্বন্দ্বীতা
শুদ্ধঃ প্রতিদ্বন্দ্বিতা
চ) লিঙ্গ পরিবর্তন করো:
১। ছেলে -মেয়ে
২। পাঠক-পাঠিকা
৩। বন্ধু-বান্ধবী
৪। বৃদ্ধ- বৃদ্ধা
৫। কুকুর- কুকুরী
৬। জননী- পিতা
৭। ভদ্রলোক- ভদ্রমহিলা
৮।মাতৃস্নেহ-পিতৃস্নেহ
৯। বানর- বানরী
১০। মাতা- পিতা
ছ) সমার্থক শব্দ লেখো:
১। উদর – জঠর, পেট, কুক্ষি
২। জগত – পৃথিবী
৩। কুকুর- কুত্তা
৪। পাখি- খগ
৫। সন্তান-অপত্য
৬। মাতা- মা
৭। বন্ধু- সখা
৮। পন্ডিত- জ্ঞানী
৯। ক্ষুদ্র- ছোট
১০। পূর্বেই- আগেই
১১। আরম্ভ- শুরু
১২। বীরত্ব- বীর
জ) এক কথায় প্রকাশ করো:
১। পেটের ভিতরকার –কুক্ষিস্থ।
২। প্রাণীদের বিষয়ে গবেষণা করেন যিনি- প্রাণীবিদ
৩। পরিচয় নেই যার সঙ্গে- অপরিচিত
৪। অতি ক্ষুদ্র আকার – ক্ষুদ্রাকার
৫। অন্যস্থান –স্থানান্তর
৬। নিজের জাতের –স্বজাতি
৭। মৃত্যু আসন্ন যার –মরনাপন্ন
৮। বনে বাস করে যে-বন্য
৯। স্বার্থ চিন্তা না করে- নিঃস্বার্থ
ঝ) পদ নির্ণয় করো:
ক্ষমা- বিশেষ্য
পন্ডিত-বিশেষ্য
বিনয়- বিশেষণ
সুবিখ্যাত-বিশেষণ
বন্ধু-বিশেষ্য
ক্ষুদ্র-বিশেষণ
পশু-বিশেষ্য
সন্তান- বিশেষ্য
পক্ষী-বিশেষ্য
বৃহৎ-বিশেষণ
ভদ্রলোক-বিশেষণ
খাদ্য-বিশেষ্য
জন্তু-বিশেষ্য
জননী-বিশেষ্য
উদাসীন- ক্রিয়া পদ
প্রাণী- বিশেষ্য
পিপীলিকা- বিশেষ্য
ক্ষুদ্রকায়-বিশেষণ
বিস্মৃত-বিশেষণ
সাধারণ-বিশেষণ
হৃষ্টপুষ্ট-বিশেষণ
ট) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। ………………… প্রাণীদের মধ্যে বুঝি তাহা নাই। (ইতর/ক্ষুদ্র)
উত্তর: ইতর প্রাণীদের মধ্যে বুঝি তাহা নাই।
২। তাহারা বুঝি পরস্পরের মধ্যেই সর্বদাই …………… ব্যবহার করে। (নিষ্ঠুর/খারাপ)
উত্তর:তাহারা বুঝি পরস্পরের মধ্যেই সর্বদাই নিষ্ঠুর ব্যবহার করে।
৩। পশুপক্ষীদের মধ্যে ……………… ও ………… দৃষ্টান্ত তোমরা অনেক শুনিয়া থাকবে। (মাতৃস্নেহ/ভালোবাসা)
উত্তর:পশুপক্ষীদের মধ্যে মাতৃস্নেহ ও ভালোবাসা দৃষ্টান্ত তোমরা অনেক শুনিয়া থাকবে।
8। …………… প্রাণ বাঁচাইবার জন্য পশুপক্ষী-মাতাও আমাদের ………… ন্যায় প্রাণ দিতে সর্বদাই প্রস্তুত। (সন্তানদের/জননী)।
উত্তর:সন্তানদের প্রাণ বাঁচাইবার জন্য পশুপক্ষী-মাতাও আমাদের জননী ন্যায় প্রাণ দিতে সর্বদাই প্রস্তুত।
৫। আর একজন ইংরাজ তাঁহার ভ্রমণ বৃত্তান্তে লিখিয়াছেন যে তিনি …… দেশে ভ্রমণ করিতে করিতে একদা ……… মধ্যে পড়েন। (আবিসিনিয়া/বেবুনের)।
উত্তর:আর একজন ইংরাজ তাঁহার ভ্রমণ বৃত্তান্তে লিখিয়াছেন যে তিনি আবিসিনিয়া দেশে ভ্রমণ করিতে করিতে একদা বেবুনের মধ্যে পড়েন।
৬। ক্ষুদ্র ………… মধ্যেও বন্ধুত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। (পিপীলিকার/বেবুন)
উত্তর: ক্ষুদ্র পিপীলিকার মধ্যেও বন্ধুত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে।
৭। যাহাকে দেখিবামাত্র কত ……… পা দিয়া পিষিয়া মারিয়া ফেলে। (ছেলে/মেয়ে)
উত্তর:যাহাকে দেখিবামাত্র কত ছেলে পা দিয়া পিষিয়া মারিয়া ফেলে।
৮। ঐ ………… মধ্যেও পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করিবার দৃষ্টান্ত দেখা গিয়াছে। (শামুকদের/পিপীলিকাদের)
উত্তর: ঐ পিপীলিকাদের মধ্যেও পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করিবার দৃষ্টান্ত দেখা গিয়াছে।
৪। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে সাথে দেওয়া প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
অনেক সময় উপেক্ষার দৃষ্টিতে ইতর প্রাণীদের দেখা হয়। অধিকাংশই মনে করেন যে, মানুষের মতো স্নেহ, দয়া, মায়া-মমতা এইসব গুণ ইতর প্রাণীদের মধ্যে নেই। এই ভাবনাটা মোটেও ঠিক নয় এই সব গুণাবলী কিন্তু ইতর প্রাণীদের মধ্যেও দেখা যায়। অনেক পশুপাখিদের কাছ থেকে এ বিষয়ে মানুষেরও কিছু শেখার আছে।
ক) অনেক সময় ……… দৃষ্টিতে ইতর প্রাণীদের দেখা হয়। (ভালোবাসার / উপেক্ষার)
উত্তর:অনেক সময় উপেক্ষার দৃষ্টিতে ইতর প্রাণীদের দেখা হয়।
খ) মানুষের মতো স্নেহ, দয়া, মায়া-মমতা এই সব গুণাবলী ……… প্রাণীদের মধ্যে নেই। (ইতর / সবল)
উত্তর:মানুষের মতো স্নেহ, দয়া, মায়া-মমতা এই সব গুণাবলী ইতর প্রাণীদের মধ্যে নেই।
গ) এই ………… মোটেও ঠিক নয়। (ভাবনাটা / স্বভাবটা)
উত্তর:এই ভাবনাটা মোটেও ঠিক নয়।
ঘ) এই সব ………… কিন্তু ইতর প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়। (দোষাবলী / গুণাবলী)
উত্তর:এই সব গুণাবলী কিন্তু ইতর প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়।
ঙ) অনেক পশুপাখিদের কাছ থেকে এ বিষয়ে মানুষেরও কিছু ………… আছে। (শেখার / জানার)
উত্তর:অনেক পশুপাখিদের কাছ থেকে এ বিষয়ে মানুষেরও কিছু শেখার আছে।
৫। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে সাথে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর লেখো:
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ভগবানচন্দ্র বসু এবং মাতা বামাসুন্দরী। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন। বিজ্ঞান সাধনার পাশাপাশি সাহিত্য সাধনাও করতেন। ‘পালাতক তুফান’ নামে গল্পটির জন্য ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার পান। তিনি অনেক ইংরেজী গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান।
ক। কত সালে, কোথায় জগদীশচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় জগদীশচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন।
খ। জগদীশচন্দ্র বসুর পিতা ও মাতার নাম লেখো?
উত্তর:জগদীশচন্দ্র বসুর পিতা ভগবানচন্দ্র বসু ও মাতার নাম বামাসুন্দরী লেখো।
গ। তিনি কোন্ কলেজের অধ্যাপক ছিলেন?
উত্তর: তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।
ঘ। কোন্ গল্পটির জন্য তিনি ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর:’পালাতক তুফান’ গল্পটির জন্য তিনি ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার লাভ করেন।
ঙ। কত সালে জগদীশচন্দ্র বসু মারা যান?
উত্তর:১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে জগদীশচন্দ্র বসু মারা যান।
Chapter 9: বজরায় ডাকাতি